ফেরির বিদ্যুৎ এখন কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকারের পতন অনিবার্য। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন- ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। ফেরির বিদ্যুৎ এখন কোথায়? এখন তো দেখছি অধিকাংশ পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের’ প্রতিবাদে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী বলেন, এ সরকার জনগণের অধিকারকে কারাবন্দি করেছে। গোটা দেশকে বন্দিশালা করেছে। এ পরিস্থিতির অবসানের জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ।
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বিদেশি চাপের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। আপনি তো প্রধানমন্ত্রী, জনগণের কাছেই মাথানত করেন না। কই সীমান্তে যখন আমাদের লোকজনকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়, তখন তো আপনার মাথা উঁচু করতে দেখি না।
এদিকে ‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের’ প্রতিবাদে ঢাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার পথে বিএনপির মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর রাজধানীর পল্টন চায়না টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে ঢাকা জেলা বিএনপি। ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মিছিলটি আরামবাগ মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে বিএনপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এতে অংশ নেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তমিজ উদ্দিন, যুবদলের রেজাউল কবির পল, ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, এ সরকার বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয়। পরে আরামবাগ মোড় থেকে বিএনপির কয়েকজন নেতা মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপির কয়েকজন নেতা এ ভবনের নিচে পৌঁছান। সেখানে পুলিশের সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
‘সারা দেশে অসহনীয় লোডশেডিং, বারবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং এই খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে’ বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার এ কর্মসূচি ৬ জুন ঘোষণা করে বিএনপি।
ফেরির বিদ্যুৎ এখন কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৮ জুন ২০২৩, ১৮:৪৭:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকারের পতন অনিবার্য। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন- ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। ফেরির বিদ্যুৎ এখন কোথায়? এখন তো দেখছি অধিকাংশ পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের’ প্রতিবাদে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী বলেন, এ সরকার জনগণের অধিকারকে কারাবন্দি করেছে। গোটা দেশকে বন্দিশালা করেছে। এ পরিস্থিতির অবসানের জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ।
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বিদেশি চাপের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। আপনি তো প্রধানমন্ত্রী, জনগণের কাছেই মাথানত করেন না। কই সীমান্তে যখন আমাদের লোকজনকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়, তখন তো আপনার মাথা উঁচু করতে দেখি না।
এদিকে ‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের’ প্রতিবাদে ঢাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার পথে বিএনপির মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর রাজধানীর পল্টন চায়না টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে ঢাকা জেলা বিএনপি। ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মিছিলটি আরামবাগ মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে বিএনপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এতে অংশ নেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তমিজ উদ্দিন, যুবদলের রেজাউল কবির পল, ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, এ সরকার বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয়। পরে আরামবাগ মোড় থেকে বিএনপির কয়েকজন নেতা মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপির কয়েকজন নেতা এ ভবনের নিচে পৌঁছান। সেখানে পুলিশের সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
‘সারা দেশে অসহনীয় লোডশেডিং, বারবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং এই খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে’ বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার এ কর্মসূচি ৬ জুন ঘোষণা করে বিএনপি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023