মৌলবাদীদের রুখতে হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মৌলবাদী অপশক্তি দেশকে পিছিয়ে দেয়ার যে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, তা রুখে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্রের ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব খাজা মিয়া, বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার ভার্চুয়ালি যোগ দেন। খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশীদ খুলনা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো যুগে যুগে দেশ ও সমাজকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নানা বিষয়ে অপব্যাখ্যা ও ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। ফতোয়াবাজরা নানা সময়ে ফতোয়া দিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এদের অপচেষ্টা রুখতে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ যাতে প্রগতির দিকে যায় এবং একই সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দেশপ্রেম, মেধা ও মননের সমন্বয়ে আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের তৈরি করতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই গণমাধ্যমের অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিনোদন দেয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাহলেই আকাশ-সংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবেলা করে আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারব।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বেতারের খুলনা কেন্দ্রসহ পুরো বেতার পরিবারকে অভিনন্দন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সমুদ্র এবং পাহাড়চূড়াসহ সব প্রান্তে অবস্থিত জনমানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বেতার একটি অনন্য গণমাধ্যম। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গে বেতার জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশ বেতারের সবচেয়ে বড় অর্জন। ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে শুনিয়েছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ হান্নান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দেশের সব মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছিল। স্বাধীনতার পর দেশ গঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বেতার। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলাতেও বেতার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বেতারকে আরও এগিয়ে নিতে শিগগিরই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার শুরু হবে।
তথ্যসচিব খাজা মিয়া তার বক্তৃতায় খুলনা কেন্দ্রসহ বেতারের সব কেন্দ্রের কর্মীদের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মৌলবাদীদের রুখতে হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মৌলবাদী অপশক্তি দেশকে পিছিয়ে দেয়ার যে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, তা রুখে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্রের ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব খাজা মিয়া, বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার ভার্চুয়ালি যোগ দেন। খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশীদ খুলনা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো যুগে যুগে দেশ ও সমাজকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নানা বিষয়ে অপব্যাখ্যা ও ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। ফতোয়াবাজরা নানা সময়ে ফতোয়া দিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এদের অপচেষ্টা রুখতে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ যাতে প্রগতির দিকে যায় এবং একই সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দেশপ্রেম, মেধা ও মননের সমন্বয়ে আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের তৈরি করতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই গণমাধ্যমের অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিনোদন দেয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাহলেই আকাশ-সংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবেলা করে আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারব।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বেতারের খুলনা কেন্দ্রসহ পুরো বেতার পরিবারকে অভিনন্দন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সমুদ্র এবং পাহাড়চূড়াসহ সব প্রান্তে অবস্থিত জনমানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বেতার একটি অনন্য গণমাধ্যম। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গে বেতার জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশ বেতারের সবচেয়ে বড় অর্জন। ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে শুনিয়েছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ হান্নান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দেশের সব মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছিল। স্বাধীনতার পর দেশ গঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বেতার। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলাতেও বেতার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বেতারকে আরও এগিয়ে নিতে শিগগিরই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার শুরু হবে।
তথ্যসচিব খাজা মিয়া তার বক্তৃতায় খুলনা কেন্দ্রসহ বেতারের সব কেন্দ্রের কর্মীদের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান।