নৌকায় বেশি যাত্রী হলে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়: হাছান মাহমুদ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
১৫ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৫৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন যারা নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেই সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, এ দলে সুযোগ সন্ধানীদের কোনো স্থান নেই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, যারা দলের জন্য নিবেদিত, তারাই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাধান্য যেমন পাবেন, তেমনি দলীয়ভাবেও পদ-পদবিতে স্থান পাবেন। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির লোক আওয়ামী লীগকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে দলে ঢুকে পড়ছে। যারা অপকর্মে লিপ্ত, যারা অবৈধ আয়ের পথে রয়েছে, যারা অবৈধ আয়ের টাকা রক্ষা করতে মরিয়া, মূলত তারাই দলে অনুপ্রবেশকারী। তিনি বলেন, নৌকায় বেশি যাত্রী হলে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই আর কোনো যাত্রীর দরকার নেই।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারসহ পুরো দেশের চেহারাটাই উন্নয়ন দিয়ে বদলে দিয়েছেন। আজ থেকে এক যুগ আগে দেশের চেহারা কেমন ছিল তা ভাবতেই অবাক লাগে।
তিনি বলেন, দেড়শ বছর পর দেশের রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ কক্সবাজারেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে। ১২ বছর আগের উন্নয়ন এবং এখনকার উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরতে তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. হাছান মাহমুদ।
মতবিনিময় সভায় দলের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোসতাক আহমদ চৌধুরী, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নৌকায় বেশি যাত্রী হলে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন যারা নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেই সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, এ দলে সুযোগ সন্ধানীদের কোনো স্থান নেই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, যারা দলের জন্য নিবেদিত, তারাই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাধান্য যেমন পাবেন, তেমনি দলীয়ভাবেও পদ-পদবিতে স্থান পাবেন। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির লোক আওয়ামী লীগকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে দলে ঢুকে পড়ছে। যারা অপকর্মে লিপ্ত, যারা অবৈধ আয়ের পথে রয়েছে, যারা অবৈধ আয়ের টাকা রক্ষা করতে মরিয়া, মূলত তারাই দলে অনুপ্রবেশকারী। তিনি বলেন, নৌকায় বেশি যাত্রী হলে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই আর কোনো যাত্রীর দরকার নেই।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারসহ পুরো দেশের চেহারাটাই উন্নয়ন দিয়ে বদলে দিয়েছেন। আজ থেকে এক যুগ আগে দেশের চেহারা কেমন ছিল তা ভাবতেই অবাক লাগে।
তিনি বলেন, দেড়শ বছর পর দেশের রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ কক্সবাজারেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে। ১২ বছর আগের উন্নয়ন এবং এখনকার উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরতে তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. হাছান মাহমুদ।
মতবিনিময় সভায় দলের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোসতাক আহমদ চৌধুরী, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।