‘বিএনপির কর্মীরা কেউ চাইবেন না দেশের অমঙ্গল হোক, কিন্তু নেতারা...’
সংসদ প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:১৯:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি ‘লবিস্ট ফার্ম’ নিয়োগ করে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি তিনটি ‘লবিস্ট ফার্ম’ নিয়োগ করে।
তিনি আরও বলেন, খুবই তাজ্জবের বিষয় ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তাদের (বিএনপি) কিছু প্রতিনিধি আমেরিকায় গেছেন। সেখানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছেন। সেখানে লবিস্ট নিয়োগ করা অন্যায় না। লবিস্ট কী কারণে নিয়োগ হয়েছে, সেটা মুখ্য বিষয়। লবিস্টদের টাকা কোথা থেকে গেল? দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তাদের লবিস্টরা এমন সব বক্তব্য দিয়েছেন, এমন সব বক্তব্য তুলে ধরেছেন যেগুলো দেশের মানুষ জানলে শুধু দুঃখিত না, তারা ধিক্কার দেবে।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য বিএনপির প্রতি ধিক্কার জানিয়ে এ সময় মোমেন আরও বলেন, সরকার ও বিএনপির মধ্যে মতামতের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে দেশের অনিষ্ট করবেন?
যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু কিছু লোক জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন, বাংলাদেশের সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য। তারা চিঠি দিয়ে আমেরিকানদের বলেছে, তোমরা সাহায্য-সহায়তা বন্ধ করে দাও। বন্ধ করলে কী হবে? এতে দেশের নাগরিক দুই বেলা খেতে পারে, গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ পায়, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, তা ব্যাহত হবে। তারা দেশের উন্নয়ন বন্ধের জন্য আমেরিকা সরকারকে বলছে। নিশ্চয়ই বিএনপির কর্মীরা কেউ চাইবেন না, এ দেশের অমঙ্গল হোক। এদেশের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হোক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা কীভাবে এমন করে লিখতে পারেন! আপনার দলের মাঠে-ময়দানে যে কর্মীরা কাজ করে, তারা যদি এগুলো শোনে, তারা তখন আপনাদের (বিএনপি) নেতৃত্বকে প্রশ্ন করবে? আমি সেই দিনের প্রতিক্ষায় আছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘বিএনপির কর্মীরা কেউ চাইবেন না দেশের অমঙ্গল হোক, কিন্তু নেতারা...’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি ‘লবিস্ট ফার্ম’ নিয়োগ করে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি তিনটি ‘লবিস্ট ফার্ম’ নিয়োগ করে।
তিনি আরও বলেন, খুবই তাজ্জবের বিষয় ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তাদের (বিএনপি) কিছু প্রতিনিধি আমেরিকায় গেছেন। সেখানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছেন। সেখানে লবিস্ট নিয়োগ করা অন্যায় না। লবিস্ট কী কারণে নিয়োগ হয়েছে, সেটা মুখ্য বিষয়। লবিস্টদের টাকা কোথা থেকে গেল? দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তাদের লবিস্টরা এমন সব বক্তব্য দিয়েছেন, এমন সব বক্তব্য তুলে ধরেছেন যেগুলো দেশের মানুষ জানলে শুধু দুঃখিত না, তারা ধিক্কার দেবে।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য বিএনপির প্রতি ধিক্কার জানিয়ে এ সময় মোমেন আরও বলেন, সরকার ও বিএনপির মধ্যে মতামতের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে দেশের অনিষ্ট করবেন?
যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু কিছু লোক জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন, বাংলাদেশের সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য। তারা চিঠি দিয়ে আমেরিকানদের বলেছে, তোমরা সাহায্য-সহায়তা বন্ধ করে দাও। বন্ধ করলে কী হবে? এতে দেশের নাগরিক দুই বেলা খেতে পারে, গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ পায়, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, তা ব্যাহত হবে। তারা দেশের উন্নয়ন বন্ধের জন্য আমেরিকা সরকারকে বলছে। নিশ্চয়ই বিএনপির কর্মীরা কেউ চাইবেন না, এ দেশের অমঙ্গল হোক। এদেশের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হোক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা কীভাবে এমন করে লিখতে পারেন! আপনার দলের মাঠে-ময়দানে যে কর্মীরা কাজ করে, তারা যদি এগুলো শোনে, তারা তখন আপনাদের (বিএনপি) নেতৃত্বকে প্রশ্ন করবে? আমি সেই দিনের প্রতিক্ষায় আছি।