হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও ১১ ছাত্রসংগঠনের
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ মে ২০২২, ১৮:৩২:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্বদবিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক নেতারা ও ১১ ছাত্রসংগঠন।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর ওপর বর্বরোচিত হামলা করছে। এদের সশস্ত্র হামলায় দুই দিনে শতাধিক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এদের অনেকেই এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারি পেটোয়া বাহিনীর নির্মম হামলা ও অমানুসিক নির্যাতনের হাত থেকে ছাত্রদলের ছাত্রী বোনেরাও রেহাই পাননি।’
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, এবিএম মোশারফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।
তারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে প্রাণের ভয়ে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনজীবীদেরও বেধড়ক মারপিট করেছে। সরকার একদিকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা না দেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে বিরোধী দল ও মতকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। যা রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনায় ভোট ও ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের চরম বেসামাল অবস্থারই বহিঃপ্রকাশ।’
বিবৃতিতে সাবেক ছাত্রনেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের উপর্যুপরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম নির্লিপ্ততায় জাতি হতাশ হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিচারাঙ্গনের পবিত্রতা রক্ষা এবং হামলা নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের আপামর ছাত্রসমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান ছাত্রনেতারা।
আরেক বিবৃতিতে ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ১১টি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- ছাত্রলীগ জাগপা (লুৎফর) সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান শেখ, ডিএল গণতান্ত্রিক ছাত্রলীগের সভাপতি নাসিম আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার করিম মামুন, ছাত্রসমাজের (কাজী জাফর) সভাপতি কাজী ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অভি, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের (সেলিম) সভাপতি মো. সান্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. তুষার, ন্যাপ বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, ছাত্রশক্তির (ইসলামিক পার্টি) সভাপতি আদেল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সুজন মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি নিজাম উদ্দিন আদনান, সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রকেন্দ্রের সভাপতি সৈয়দা কানিজ রেশমা হ্যাপি, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন দুলু এবং বিপ্লবী ছাত্র মঞ্চের আহ্বায়ক এনামুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল হাওলাদার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও ১১ ছাত্রসংগঠনের
ঢাকা বিশ্বদবিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক নেতারা ও ১১ ছাত্রসংগঠন।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর ওপর বর্বরোচিত হামলা করছে। এদের সশস্ত্র হামলায় দুই দিনে শতাধিক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এদের অনেকেই এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারি পেটোয়া বাহিনীর নির্মম হামলা ও অমানুসিক নির্যাতনের হাত থেকে ছাত্রদলের ছাত্রী বোনেরাও রেহাই পাননি।’
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, এবিএম মোশারফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।
তারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে প্রাণের ভয়ে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনজীবীদেরও বেধড়ক মারপিট করেছে। সরকার একদিকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা না দেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে বিরোধী দল ও মতকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। যা রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনায় ভোট ও ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের চরম বেসামাল অবস্থারই বহিঃপ্রকাশ।’
বিবৃতিতে সাবেক ছাত্রনেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের উপর্যুপরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম নির্লিপ্ততায় জাতি হতাশ হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিচারাঙ্গনের পবিত্রতা রক্ষা এবং হামলা নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের আপামর ছাত্রসমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান ছাত্রনেতারা।
আরেক বিবৃতিতে ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ১১টি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- ছাত্রলীগ জাগপা (লুৎফর) সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান শেখ, ডিএল গণতান্ত্রিক ছাত্রলীগের সভাপতি নাসিম আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার করিম মামুন, ছাত্রসমাজের (কাজী জাফর) সভাপতি কাজী ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অভি, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের (সেলিম) সভাপতি মো. সান্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. তুষার, ন্যাপ বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, ছাত্রশক্তির (ইসলামিক পার্টি) সভাপতি আদেল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সুজন মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি নিজাম উদ্দিন আদনান, সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রকেন্দ্রের সভাপতি সৈয়দা কানিজ রেশমা হ্যাপি, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন দুলু এবং বিপ্লবী ছাত্র মঞ্চের আহ্বায়ক এনামুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল হাওলাদার।