বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকার পরিবর্তন ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। আগামীতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যারা সংবিধান তৈরি করেছেন, তাদের সংবিধান তৈরি করার কোনো অধিকার ছিল না। ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সংবিধান পরিবর্তনে কাজ করবে।’
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-অ্যাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা: ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমানে দেশে তীব্র প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনই প্রমাণ করে এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রস্তাবে আছে দুইবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এ প্রস্তাবটি দুইবারের বেশি কেউ মন্ত্রী-এমপি হতে পারবেন না- এ পর্যন্ত বিস্তৃত করলে রাজনীতিবিদরা তো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাবে কিন্তু তার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে। অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা, প্রতিহিংসার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।’
১৯৭২ সালে প্রণয়ন করা বাংলাদেশের সংবিধান পুরোপুরি বাতিল করে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের প্রস্তাব দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, ‘একদলীয় লোকেরা এই সংবিধান তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের বাইরে মাত্র দুজন সদস্য সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। তারা কেউই সেই সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি। তাই এটি একনায়কদের সংবিধান। এই সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া না করে পুরোটাই ফেলে দিন। নতুন করে একটি সংবিধান তৈরি করুন। যেখানে মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দলের স্থায়ী কমিটিকে বলব, আপনারা ঘোষণা দিন ক্ষমতায় গেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবেন। বর্তমান সংবিধানের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তাই সবার মতামত নিয়ে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’
অ্যাবের সভাপতি কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হেসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম প্রমুখ।