অর্থ পাচারের ঘেরাটোপ থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি
সংসদে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম
সংসদ প্রতিবেদক
২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৯:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির ঘেরাটোপ থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি তার বক্তৃতায় অর্থ পাচার রোধ, ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারের আর্থিক প্রণোদনা সমভাবে বণ্টন, করোনা মহামারি রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণসহ নানা বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির প্রসঙ্গ তুলে ধরে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির এ দুটি ঘৃণিত বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রতিদিনই খবর আসছে। একশ্রেণির চাকরিওয়ালারা বিদেশে গাড়ি-বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। বেগমপাড়ার খবর তো বেশ পুরনো। উন্নত দেশগুলোতে এখন নাকি এসব পাড়া আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমলাদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই রাজনীতিবিদ ও কিছু ব্যবসায়ী মহলও। তারা নাকি দেশে সম্পদ রাখতে ভয় পায়। কিন্তু কেন? হালালভাবে পয়সা উপার্জন করে থাকলে ভয় পান কেন?
তিনি বলেন, অর্থ পাচারের কথা শুনলে আমার মনে প্রথমেই একটি প্রশ্ন জাগে। তা হলো- কার টাকা কে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশে। যে ব্যাংক থেকে ভুয়া এলসির নামে অর্থ পাচার করা হচ্ছে সে তো জনগণের টাকা। আমার-আপনার সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকা। এটি ব্যাংক মালিকদের অর্থ নয়। বরং ব্যাংক মালিকদের অনেকে যৎসামান্য অর্থ দিয়ে ব্যাংকের মালিক হয়েছেন। বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তারা ভাগাভাগি করে ঋণ নিয়েছেন কয়েক হাজার গুণ বেশি।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমি বলছি না যে- সরকার অর্থ পাচাররোধে কিছু করছে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে গেছে এবং এখন পর্যন্ত রাঘববোয়াল পাচারকারীদের কারও কিছু হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে সব দেখা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আমি মনে করি, কোথাও কোনো একটা সমস্যা লুকিয়ে আছে। যে কারণে খরস্রোতা নদীর মতো অর্থ পাচারের স্রোত এখনো বহমান। এর ফলে দেশের অর্থনীতি নীরবে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ছে। বলা যায়, ঘুণে ধরা অর্থনীতি আমাদের। একবার ভেঙে পড়লে তা আর ঠেকানো যাবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সংসদে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম
অর্থ পাচারের ঘেরাটোপ থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি
সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির ঘেরাটোপ থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি তার বক্তৃতায় অর্থ পাচার রোধ, ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারের আর্থিক প্রণোদনা সমভাবে বণ্টন, করোনা মহামারি রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণসহ নানা বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির প্রসঙ্গ তুলে ধরে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির এ দুটি ঘৃণিত বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রতিদিনই খবর আসছে। একশ্রেণির চাকরিওয়ালারা বিদেশে গাড়ি-বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। বেগমপাড়ার খবর তো বেশ পুরনো। উন্নত দেশগুলোতে এখন নাকি এসব পাড়া আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমলাদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই রাজনীতিবিদ ও কিছু ব্যবসায়ী মহলও। তারা নাকি দেশে সম্পদ রাখতে ভয় পায়। কিন্তু কেন? হালালভাবে পয়সা উপার্জন করে থাকলে ভয় পান কেন?
তিনি বলেন, অর্থ পাচারের কথা শুনলে আমার মনে প্রথমেই একটি প্রশ্ন জাগে। তা হলো- কার টাকা কে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশে। যে ব্যাংক থেকে ভুয়া এলসির নামে অর্থ পাচার করা হচ্ছে সে তো জনগণের টাকা। আমার-আপনার সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকা। এটি ব্যাংক মালিকদের অর্থ নয়। বরং ব্যাংক মালিকদের অনেকে যৎসামান্য অর্থ দিয়ে ব্যাংকের মালিক হয়েছেন। বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তারা ভাগাভাগি করে ঋণ নিয়েছেন কয়েক হাজার গুণ বেশি।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমি বলছি না যে- সরকার অর্থ পাচাররোধে কিছু করছে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে গেছে এবং এখন পর্যন্ত রাঘববোয়াল পাচারকারীদের কারও কিছু হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে সব দেখা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আমি মনে করি, কোথাও কোনো একটা সমস্যা লুকিয়ে আছে। যে কারণে খরস্রোতা নদীর মতো অর্থ পাচারের স্রোত এখনো বহমান। এর ফলে দেশের অর্থনীতি নীরবে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ছে। বলা যায়, ঘুণে ধরা অর্থনীতি আমাদের। একবার ভেঙে পড়লে তা আর ঠেকানো যাবে না।