ভারতীয় ক্রিকেটাররা অমার্জনীয় অপরাধ করেছে: বেদি
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৯:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছে গেল রোববার। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। যেখানে সবশেষ যোগ দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদি।
জমজমাট ফাইনালি লড়াইয়ে ভারতীয় যুবাদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জেতায় মাঠে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতেন টাইগার যুবারা। বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি প্রিয়ম গর্গরা। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন তারা।
ছেড়ে কথা বলেননি আকবররাও। ফলে তা ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে পর্যন্ত গড়ায়। দুদলের খেলোয়াড়দের এ অশোভন আচরণ সবার চোখেই বড় হয়ে ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তারা। সেই জেরে বাংলাদেশের তিন এবং ভারতের দুই ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
তবে তাতেই ক্ষান্ত হলেন না বেদি। অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আচরণের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি। বরং ভারতীয় যুবাদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন সাবেক স্পিনার। এ জন্য বিশ্ব ক্রিকেটের নীতিনির্ধারণী সংস্থা-আইসিসির কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বেদি বলেন, দেখুন– বাংলাদেশ যা করেছে, সেটি তাদের সমস্যা। ভারতের ছেলেরা যা করেছে, সেটি আমাদের সমস্যা। তারা অশালীন শব্দ ব্যবহার করেছে। অসদাচরণ করেছে। এটি কোনোভাবেই মার্জনীয় নয়।
বিশেষ করে ম্যাচ হারের পর স্বাভাবিক না থেকে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের এমন ঔদ্ধত্য আচরণে বেশ মর্মাহত হয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা ব্যাটিং বা বোলিং খারাপ করতে পারে। এমনটি হয়েই থাকে। কিন্তু বাজে আচার-আচরণের জন্য কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। এটি পুরোপুরি ন্যক্কারজনক ও অসম্মানজনক ছিল।
পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফদের দায়ী করেছেন বেদি। জবাবদিহিতার জন্য তাদের ডাকতে আইসিসিকে অনুরোধ করেছেন তিনি। সর্বোপরি দলের সবার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এ ক্রিকেটার।
ভারত যুব দলের সাবেক কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও ছেড়ে কথা বলেননি বেদি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অসম্মান প্রদর্শনপূর্বক ছেলেদের অগ্রহণযোগ্য আচরণের জন্য তার জবাব চেয়েছেন তিনি।
তথ্যসূত্র:মিড ডে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা অমার্জনীয় অপরাধ করেছে: বেদি
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছে গেল রোববার। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। যেখানে সবশেষ যোগ দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদি।
জমজমাট ফাইনালি লড়াইয়ে ভারতীয় যুবাদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জেতায় মাঠে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতেন টাইগার যুবারা। বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি প্রিয়ম গর্গরা। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন তারা।
ছেড়ে কথা বলেননি আকবররাও। ফলে তা ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে পর্যন্ত গড়ায়। দুদলের খেলোয়াড়দের এ অশোভন আচরণ সবার চোখেই বড় হয়ে ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তারা। সেই জেরে বাংলাদেশের তিন এবং ভারতের দুই ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
তবে তাতেই ক্ষান্ত হলেন না বেদি। অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আচরণের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি। বরং ভারতীয় যুবাদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন সাবেক স্পিনার। এ জন্য বিশ্ব ক্রিকেটের নীতিনির্ধারণী সংস্থা-আইসিসির কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বেদি বলেন, দেখুন– বাংলাদেশ যা করেছে, সেটি তাদের সমস্যা। ভারতের ছেলেরা যা করেছে, সেটি আমাদের সমস্যা। তারা অশালীন শব্দ ব্যবহার করেছে। অসদাচরণ করেছে। এটি কোনোভাবেই মার্জনীয় নয়।
বিশেষ করে ম্যাচ হারের পর স্বাভাবিক না থেকে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের এমন ঔদ্ধত্য আচরণে বেশ মর্মাহত হয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা ব্যাটিং বা বোলিং খারাপ করতে পারে। এমনটি হয়েই থাকে। কিন্তু বাজে আচার-আচরণের জন্য কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। এটি পুরোপুরি ন্যক্কারজনক ও অসম্মানজনক ছিল।
পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফদের দায়ী করেছেন বেদি। জবাবদিহিতার জন্য তাদের ডাকতে আইসিসিকে অনুরোধ করেছেন তিনি। সর্বোপরি দলের সবার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এ ক্রিকেটার।
ভারত যুব দলের সাবেক কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও ছেড়ে কথা বলেননি বেদি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অসম্মান প্রদর্শনপূর্বক ছেলেদের অগ্রহণযোগ্য আচরণের জন্য তার জবাব চেয়েছেন তিনি।
তথ্যসূত্র:মিড ডে।