‘তাসকিন আসল কাজ রেখে নাটকে মন দিয়েছিল’
দেশের ক্রিকেটের বাঁক বদলে যাদের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হাসিবুল হোসেন শান্ত। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালে শেষ বলে এক রানের জন্য শান্তর যে ঐতিহাসিক দৌড়, তা আজও বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে আছে। ঐতিহাসিক সেই জয়ের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার পাশাপাশি টেস্ট মর্যাদা পায়।
দেশের ক্রিকেটের পটপরিবর্তনে অবদান রাখা হাসিবুল হোসেন শান্ত ক্যারিয়ারের মধুর স্মৃতিময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন স্পোর্টস রিপোর্টার আল-মামুন।
যুগান্তর: আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দেশে ক্রিকেটের যে ক্রেজ তৈরি হয়েছিল সে তুলনায় প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় কতটা হতাশ?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পরও এতদিনে আমাদের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় অবশ্যই খারাপ লাগে। এখানে অনেক ব্যাপার আছে, যেটা বোর্ড করতে পারেনি।যেসব কারণে ক্রিকেটের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে, বোর্ড যদি সেগুলো ফাইন্ডাউট করে সমাধানের চেষ্টা করে তাহলে আমার মনে উন্নয়ন হবে। এজন্যআমাদের যে ঘরোয়া স্ট্রাকচার আছে- সেখানেলঙ্গারভার্সনে আরওবেশি ম্যাচবাড়ানো যেতে পারে।তাহলে কম্পিটিশন বাড়ত, মানসম্মত প্লেয়ার বের হয়ে আসত।
কোচ যারা আছেন তাদের আরও বেটার হতে হবে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে ভালো কোচ হলেই হবে না, বিভাগীয় পর্যায়েও ভালোমানের কোচ থাকা প্রয়োজন। ভালোমানের কোচ থাকলে প্লেয়াররাও ভালো এবং মানসম্মত হবে। আমার কাছে মনে হয়, এ জায়গাগুলোতে বোর্ডের আরও বেশি নজর দেয়া উচিত। প্লেয়ারদের আরও সচেতন হতে হবে। তাদেরই মাঠে খেলতে হয়। তাদের চিন্তা-ধারণা আরও বেটার করতে হবে, আরও সাহসী হতে হবে; আরও ফ্লেভার হতে হবে। তাহলেই প্রত্যাশিত উন্নয়ন সম্ভব।
যুগান্তর: ভালোমানের পেসার না উঠে আসার কারণ যদি বলেন।
হাসিবুল হোসেন শান্ত: অনেক ভালো ভালো বোলার আমাদের দেশে এসেছে, জাতীয় পর্যায়ে আসার আগেই অনেকেই হারিয়েও গেছে। জাতীয় পর্যায়ে গেলে একজন প্লেয়ারের প্রোপার যে গাইডেন্স দরকার সেটায় ঘাটতি আছে। আমার মনে হয় তাদের নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করা হয়নি। তাছাড়া একটা প্লেয়ারকে নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি আলোচনা হয় তখন বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি মনোযোগী হয়ে যায়। এতে সে নিজের কাজটা ঠিক মতো করে না। যে কারণে তার পারফরম্যান্স পড়ে যায়। যারা ধরে রাখতে পেরেছে তারাই ভালো করছে। এমন অনেক বোলার আছে যারা অনূর্ধ্ব-১৯ টিমে ভালো করছে কিন্তু এরপর হারিয়ে গেছে। তবে এখন যে উঠতি বোলাররা আছে, তাদের যদি সঠিকভাবে গাইডিংটা করা হয় তাহলে আমার মনে হয় তারা দীর্ঘদিন জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে পারবে।
যুগান্তর: আপনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সেরা পেসার?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: এখন যারা আছে তাদের মধ্যে আমার দেখা ভালো বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। মোস্তাফিজের মতো তাসকিনও ক্যারিয়ার শুরুর দিকে অনেক ভালো করেছিল। তাসকিন নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি। আমি তাসকিনের একটা উদাহরণ দেই-সে যখন ভালো করল, তখন ওকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হলো। তখন সে নিজের আসল কাজ রেখে নাটকে মন দিল। ও যদি নিজের বোলিং নিয়েই পড়েথাকত, আরও বেশি মনোযোগী হতো তাহলে আরও বেটার পারফরম্যান্স করতে পারত। আসলে যার যেমন পারফরম্যান্স করার কথা সে সেভাবে করতে পারেনি।
তবে এখন এসব বিষয়ে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রেসিডেন্টস কাপে তাসকিন ভালো বোলিং করেছে। এখন দেখা যাক কতদূর যায়! আমাদের কিন্তু ভালোমানের পেস বোলার আছে। আমার দেখা মতো এখনও পর্যন্ত মোস্তাফিজ-রুবেল ভালো বোলার। তাসকিন ছিল, কিন্তু সে নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি। তরুণদের মধ্যে হাসান মাহমুদ নামে একটা পেস বোলার আছে, আশা করি সেও ভালো করবে।
যুগান্তর: তাসকিনের মতো একই অবস্থা মোস্তাফিজের। ক্যারিয়ারের শুরুতে মোস্তাফিজ যেভাবে পারফর্ম করেছে, আইপিএলখেলতে গিয়ে চোটাক্রান্ত হয়েসে এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে...?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: মোস্তাফিজ হারিয়ে গেছে এটা আমি বলব না। ও ইচ্ছে করলে এখনও ভালো করতে পারে, করছেও। তবে ওকে আমাদের ভালোভাবে গাইডিং করতে হবে। ও ক্যারিয়ারের শুরুতে আমাদের হোম সিরিজে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। কিন্তু আইপিএলে সেই পারফরম্যান্স করতে না পারার কারণ-সেখানে বিশ্বের বিগ বিগ স্টাররা খেলে, তাদের বিপক্ষে বোলিং করতে গিয়ে হয়তো ওর মধ্যে নার্ভাসনেস কাজ করেছে। যে কারণে মোস্তাফিজ তারআসল বোলিংটা করতে পারেনি। তাছাড়া ওখানে ভাষারও একটা ব্যাপার ছিল।এসব কারণে সে মোরালি ডাউন ছিল। তবে এখন তো সে ভালো বোলিং করছে।
যুগান্তর: মোস্তাফিজের কাটারেরকার্যকারীতা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে বিসিবির কী কোনো অদূরদর্শিতা রয়েছে বলে মনে করেন?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: না না না। আইপিএলে খেলতে গিয়েই যে মোস্তাফিজ তার কাটারের কার্যকারীতা হারিয়েছে এমনটি নয়। আপনি দেখেন- ভারতে যদি আইপিএল না হতো তাহলে শ্রীলঙ্কায় কোনো প্রিমিয়ার লিগ হলে ভারত অবশ্যই তাদের ক্রিকেটারকে সেখানে খেলতে দিত। যেহেতু ভারতে টাকার অভাব নেই, তাই তাদের কোনো ক্রিকেটারকে বিদেশি লিগে খেলার অনুমতি দিচ্ছে না। মোস্তাফিজ আইপিএল খেলতে গিয়েই যে শেষ হয়ে গেছে এমন নয়। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের প্লেয়াররা আগামী দিনে আরও ভালো করবে। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতাও রপ্ত করতে হবে। এজন্য তাদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
যুগান্তর: সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
হাসিবুল হোসেন শান্ত: আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকার চেষ্টা করুন।
সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘তাসকিন আসল কাজ রেখে নাটকে মন দিয়েছিল’
দেশের ক্রিকেটের বাঁক বদলে যাদের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হাসিবুল হোসেন শান্ত। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালে শেষ বলে এক রানের জন্য শান্তর যে ঐতিহাসিক দৌড়, তা আজও বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে আছে। ঐতিহাসিক সেই জয়ের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার পাশাপাশি টেস্ট মর্যাদা পায়।
দেশের ক্রিকেটের পটপরিবর্তনে অবদান রাখা হাসিবুল হোসেন শান্ত ক্যারিয়ারের মধুর স্মৃতিময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন স্পোর্টস রিপোর্টার আল-মামুন।
যুগান্তর: আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দেশে ক্রিকেটের যে ক্রেজ তৈরি হয়েছিল সে তুলনায় প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় কতটা হতাশ?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পরও এতদিনে আমাদের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় অবশ্যই খারাপ লাগে। এখানে অনেক ব্যাপার আছে, যেটা বোর্ড করতে পারেনি। যেসব কারণে ক্রিকেটের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে, বোর্ড যদি সেগুলো ফাইন্ডাউট করে সমাধানের চেষ্টা করে তাহলে আমার মনে উন্নয়ন হবে। এজন্য আমাদের যে ঘরোয়া স্ট্রাকচার আছে- সেখানে লঙ্গারভার্সনে আরও বেশি ম্যাচ বাড়ানো যেতে পারে। তাহলে কম্পিটিশন বাড়ত, মানসম্মত প্লেয়ার বের হয়ে আসত।
কোচ যারা আছেন তাদের আরও বেটার হতে হবে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে ভালো কোচ হলেই হবে না, বিভাগীয় পর্যায়েও ভালোমানের কোচ থাকা প্রয়োজন। ভালোমানের কোচ থাকলে প্লেয়াররাও ভালো এবং মানসম্মত হবে। আমার কাছে মনে হয়, এ জায়গাগুলোতে বোর্ডের আরও বেশি নজর দেয়া উচিত। প্লেয়ারদের আরও সচেতন হতে হবে। তাদেরই মাঠে খেলতে হয়। তাদের চিন্তা-ধারণা আরও বেটার করতে হবে, আরও সাহসী হতে হবে; আরও ফ্লেভার হতে হবে। তাহলেই প্রত্যাশিত উন্নয়ন সম্ভব।
যুগান্তর: ভালোমানের পেসার না উঠে আসার কারণ যদি বলেন।
হাসিবুল হোসেন শান্ত: অনেক ভালো ভালো বোলার আমাদের দেশে এসেছে, জাতীয় পর্যায়ে আসার আগেই অনেকেই হারিয়েও গেছে। জাতীয় পর্যায়ে গেলে একজন প্লেয়ারের প্রোপার যে গাইডেন্স দরকার সেটায় ঘাটতি আছে। আমার মনে হয় তাদের নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করা হয়নি। তাছাড়া একটা প্লেয়ারকে নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি আলোচনা হয় তখন বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি মনোযোগী হয়ে যায়। এতে সে নিজের কাজটা ঠিক মতো করে না। যে কারণে তার পারফরম্যান্স পড়ে যায়। যারা ধরে রাখতে পেরেছে তারাই ভালো করছে। এমন অনেক বোলার আছে যারা অনূর্ধ্ব-১৯ টিমে ভালো করছে কিন্তু এরপর হারিয়ে গেছে। তবে এখন যে উঠতি বোলাররা আছে, তাদের যদি সঠিকভাবে গাইডিংটা করা হয় তাহলে আমার মনে হয় তারা দীর্ঘদিন জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে পারবে।
যুগান্তর: আপনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সেরা পেসার?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: এখন যারা আছে তাদের মধ্যে আমার দেখা ভালো বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। মোস্তাফিজের মতো তাসকিনও ক্যারিয়ার শুরুর দিকে অনেক ভালো করেছিল। তাসকিন নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি। আমি তাসকিনের একটা উদাহরণ দেই-সে যখন ভালো করল, তখন ওকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হলো। তখন সে নিজের আসল কাজ রেখে নাটকে মন দিল। ও যদি নিজের বোলিং নিয়েই পড়ে থাকত, আরও বেশি মনোযোগী হতো তাহলে আরও বেটার পারফরম্যান্স করতে পারত। আসলে যার যেমন পারফরম্যান্স করার কথা সে সেভাবে করতে পারেনি।
তবে এখন এসব বিষয়ে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রেসিডেন্টস কাপে তাসকিন ভালো বোলিং করেছে। এখন দেখা যাক কতদূর যায়! আমাদের কিন্তু ভালোমানের পেস বোলার আছে। আমার দেখা মতো এখনও পর্যন্ত মোস্তাফিজ-রুবেল ভালো বোলার। তাসকিন ছিল, কিন্তু সে নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি। তরুণদের মধ্যে হাসান মাহমুদ নামে একটা পেস বোলার আছে, আশা করি সেও ভালো করবে।
যুগান্তর: তাসকিনের মতো একই অবস্থা মোস্তাফিজের। ক্যারিয়ারের শুরুতে মোস্তাফিজ যেভাবে পারফর্ম করেছে, আইপিএল খেলতে গিয়ে চোটাক্রান্ত হয়ে সে এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে...?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: মোস্তাফিজ হারিয়ে গেছে এটা আমি বলব না। ও ইচ্ছে করলে এখনও ভালো করতে পারে, করছেও। তবে ওকে আমাদের ভালোভাবে গাইডিং করতে হবে। ও ক্যারিয়ারের শুরুতে আমাদের হোম সিরিজে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। কিন্তু আইপিএলে সেই পারফরম্যান্স করতে না পারার কারণ-সেখানে বিশ্বের বিগ বিগ স্টাররা খেলে, তাদের বিপক্ষে বোলিং করতে গিয়ে হয়তো ওর মধ্যে নার্ভাসনেস কাজ করেছে। যে কারণে মোস্তাফিজ তার আসল বোলিংটা করতে পারেনি। তাছাড়া ওখানে ভাষারও একটা ব্যাপার ছিল। এসব কারণে সে মোরালি ডাউন ছিল। তবে এখন তো সে ভালো বোলিং করছে।
যুগান্তর: মোস্তাফিজের কাটারের কার্যকারীতা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে বিসিবির কী কোনো অদূরদর্শিতা রয়েছে বলে মনে করেন?
হাসিবুল হোসেন শান্ত: না না না। আইপিএলে খেলতে গিয়েই যে মোস্তাফিজ তার কাটারের কার্যকারীতা হারিয়েছে এমনটি নয়। আপনি দেখেন- ভারতে যদি আইপিএল না হতো তাহলে শ্রীলঙ্কায় কোনো প্রিমিয়ার লিগ হলে ভারত অবশ্যই তাদের ক্রিকেটারকে সেখানে খেলতে দিত। যেহেতু ভারতে টাকার অভাব নেই, তাই তাদের কোনো ক্রিকেটারকে বিদেশি লিগে খেলার অনুমতি দিচ্ছে না। মোস্তাফিজ আইপিএল খেলতে গিয়েই যে শেষ হয়ে গেছে এমন নয়। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের প্লেয়াররা আগামী দিনে আরও ভালো করবে। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতাও রপ্ত করতে হবে। এজন্য তাদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
যুগান্তর: সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
হাসিবুল হোসেন শান্ত: আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকার চেষ্টা করুন।
সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন