শেষ ওভারে ৯ রানও করতে পারেনি ঢাকা
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। উইকেটে ছিলেন ২২ ও ৫ রানে অপরাজিত মুক্তার আলী ও জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মন।
এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও তরুণ মেহেদী হাসানের মতো অফ স্পিনারকে বাগে আনতে পারেননি তারা। শুধু তাই নয়, ওভারে নো বলের সুবাদে একটা ফ্রি হিট পেয়েও কোনো রান করতে পারেননি মুক্তার আলী। তিনি ওভারের প্রথম তিন বলে দেন ডট। চতুর্থ বলে বাউন্ডারিহাঁকালেও পঞ্চম বলে ফ্রি হিটে ব্যর্থ হন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু স্নায়ু চাপ সামলাতে পারেননি মুক্তার আলী। যে কারণে ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২ রানে হেরে যায় ঢাকা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। তাদের এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ঢাকা। কিন্তু দলীয় ১২৬ রানে ২৯ বলে ৩৪ করে আউট হন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর।
শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ১৮ বলে ৩৬ রান। ইবাদত হোসেনের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন মুশফিক। তিনি ফেরেন ৩৪ বলে ৪১ রান করে। ওই ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করেন ইবাদত।
১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজার করা ওভারে তিন ছক্ক হাঁকানোর পাশাপাশি তিন সিঙ্গেল মিলে ২১ রান আদায় করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মুক্তার আলী। কিন্তুশেষ ওভারে বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেনি এ অলরাউন্ডার। যে কারণে মেহেদী হাসানের করা শেষ ওভারে মাত্র ৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ রানে হেরে যায় ঢাকা। ব্যাট হাতে ১৬ বলে অপরাজিত ২৭ আর বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেও পরাজয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন মুক্তার আলী।
রাজশাহীর জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।তার ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় পায়রাজশাহী। ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মেহেদী।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে রাজশাহী। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩১ রানে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (১৭)। এরপর ১৭ রানের ব্যবধানে ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা রনি তালুকাদার (৬)।
৪৮ রানে দুই উইকেট পতনের পর ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি চারে ব্যাটিংয়ে নামা আশরাফুল। নয় মাস পর খেলতে নেমে ৯ বলে মাত্র ৬ রানে ফেরেন জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া এই তারকা ব্যাটসম্যান।
তবে শেষ দিকে মেহেদী হাসানের ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজশাহী। দলের হয়ে ৩২ বলে চারটি ছক্কা ও তিন চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মেহেদী হাসান। এছাড়া ৩৯ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। ৩৫ রান করেন ইমন।
রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৬৯/৯ (মেহেদী হাসান ৫০, সোহান ৩৯, আনিসুল ইসলাম ইমন ৩৫, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭; মুক্তার আলী ৩/২২ )।
ঢাকা: ২০ ওভারে ১৬৭/৫ (মুশফিকুর রহিম ৪১, আকবর আলী ৩৪, মুক্তার আলী ২৭* মোহাম্মদ নাঈম ২৬, তানজিদ হাসান ১৮)।
ফল: রাজশাহী ২ রানে জয়ী।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেষ ওভারে ৯ রানও করতে পারেনি ঢাকা
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। উইকেটে ছিলেন ২২ ও ৫ রানে অপরাজিত মুক্তার আলী ও জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মন।
এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও তরুণ মেহেদী হাসানের মতো অফ স্পিনারকে বাগে আনতে পারেননি তারা। শুধু তাই নয়, ওভারে নো বলের সুবাদে একটা ফ্রি হিট পেয়েও কোনো রান করতে পারেননি মুক্তার আলী। তিনি ওভারের প্রথম তিন বলে দেন ডট। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকালেও পঞ্চম বলে ফ্রি হিটে ব্যর্থ হন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু স্নায়ু চাপ সামলাতে পারেননি মুক্তার আলী। যে কারণে ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২ রানে হেরে যায় ঢাকা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। তাদের এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ঢাকা। কিন্তু দলীয় ১২৬ রানে ২৯ বলে ৩৪ করে আউট হন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর।
শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ১৮ বলে ৩৬ রান। ইবাদত হোসেনের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন মুশফিক। তিনি ফেরেন ৩৪ বলে ৪১ রান করে। ওই ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করেন ইবাদত।
১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজার করা ওভারে তিন ছক্ক হাঁকানোর পাশাপাশি তিন সিঙ্গেল মিলে ২১ রান আদায় করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মুক্তার আলী। কিন্তু শেষ ওভারে বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেনি এ অলরাউন্ডার। যে কারণে মেহেদী হাসানের করা শেষ ওভারে মাত্র ৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ রানে হেরে যায় ঢাকা। ব্যাট হাতে ১৬ বলে অপরাজিত ২৭ আর বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেও পরাজয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন মুক্তার আলী।
রাজশাহীর জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।তার ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় পায় রাজশাহী। ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মেহেদী।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে রাজশাহী। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩১ রানে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (১৭)। এরপর ১৭ রানের ব্যবধানে ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা রনি তালুকাদার (৬)।
৪৮ রানে দুই উইকেট পতনের পর ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি চারে ব্যাটিংয়ে নামা আশরাফুল। নয় মাস পর খেলতে নেমে ৯ বলে মাত্র ৬ রানে ফেরেন জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া এই তারকা ব্যাটসম্যান।
তবে শেষ দিকে মেহেদী হাসানের ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজশাহী। দলের হয়ে ৩২ বলে চারটি ছক্কা ও তিন চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মেহেদী হাসান। এছাড়া ৩৯ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। ৩৫ রান করেন ইমন।
রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৬৯/৯ (মেহেদী হাসান ৫০, সোহান ৩৯, আনিসুল ইসলাম ইমন ৩৫, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭; মুক্তার আলী ৩/২২ )।
ঢাকা: ২০ ওভারে ১৬৭/৫ (মুশফিকুর রহিম ৪১, আকবর আলী ৩৪, মুক্তার আলী ২৭* মোহাম্মদ নাঈম ২৬, তানজিদ হাসান ১৮)।
ফল: রাজশাহী ২ রানে জয়ী।