জহুরুল-মাশরাফি নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা
প্রথম কোয়ালিফায়ারে গ্রুপপর্বের সেরা দু’দলের ফাইনালে ওঠার মুখোমুখি লড়াইয়ে চট্টগ্রামকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন খুলনা।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জহুরুল ইসলামের ঝড়োব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় খুলনা। ২১১ রানেরটার্গেটে খেলতে নেমে মাশরাফির আগুন ঝরা বোলিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
খুলনার ইনিংসে ৫১ বলে ৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে দলের বিশাল স্কোর গড়তে অনবদ্যভূমিকা পালন করেনজহুরুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে ৩০ রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে মোস্তাফিজ ৩১ রানে দুই উইকেট শিকার করেন। সঞ্জিত সাহা ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট শিকার করেন।
আর খুলনার তিন ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন। ২১১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ২৭ রানেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। সৌম্য সরকার শূন্য ও লিটন দাস ২৪ রানে আউট হন। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরেনমোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদুল হাসান জয় দলের হাল ধরেন।
১২তম ওভারে দলীয় ১০০ সংগ্রহ করে চট্টগ্রামকে জয়ের স্বপ্ন দেখান এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু পরের ২৫ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর জয়ের পাল্লা হেলে পড়ে খুলনার দিকে। পরের ব্যাটসম্যানরা আর দলকে জয়ের ধারায় নিতে পারেননি।
মিঠুন করেন ৩৫ বলে ৫৩ রানেরইনিংস।
৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ জয়ের ফলে ফাইনালে উঠে গেল মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন খুলনা।
এর আগে গ্রুপপর্বে ৮ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছিল চট্টগ্রাম। তবে তাদের আশা শেষ হয়ে যায়নি। আজকের অপরম্যাচের বিজয়ী ঢাকার সঙ্গে মুখোমুখি হবে তারা। ওই ম্যাচে যারাই জিতবে তারাই যাবে ফাইনালে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জহুরুল-মাশরাফি নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা
প্রথম কোয়ালিফায়ারে গ্রুপপর্বের সেরা দু’দলের ফাইনালে ওঠার মুখোমুখি লড়াইয়ে চট্টগ্রামকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন খুলনা।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জহুরুল ইসলামের ঝড়ো ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় খুলনা। ২১১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাশরাফির আগুন ঝরা বোলিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
খুলনার ইনিংসে ৫১ বলে ৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে দলের বিশাল স্কোর গড়তে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন জহুরুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে ৩০ রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে মোস্তাফিজ ৩১ রানে দুই উইকেট শিকার করেন। সঞ্জিত সাহা ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট শিকার করেন।
আর খুলনার তিন ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন। ২১১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ২৭ রানেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। সৌম্য সরকার শূন্য ও লিটন দাস ২৪ রানে আউট হন। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদুল হাসান জয় দলের হাল ধরেন।
১২তম ওভারে দলীয় ১০০ সংগ্রহ করে চট্টগ্রামকে জয়ের স্বপ্ন দেখান এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু পরের ২৫ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর জয়ের পাল্লা হেলে পড়ে খুলনার দিকে। পরের ব্যাটসম্যানরা আর দলকে জয়ের ধারায় নিতে পারেননি।
মিঠুন করেন ৩৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস।
৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ জয়ের ফলে ফাইনালে উঠে গেল মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন খুলনা।
এর আগে গ্রুপপর্বে ৮ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছিল চট্টগ্রাম। তবে তাদের আশা শেষ হয়ে যায়নি। আজকের অপর ম্যাচের বিজয়ী ঢাকার সঙ্গে মুখোমুখি হবে তারা। ওই ম্যাচে যারাই জিতবে তারাই যাবে ফাইনালে।