নাসুমকে মারতে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন মুশফিক
স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০২:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচ চলাকালে সতীর্থ নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচশেষেই তিনি নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ভক্ত-অনুগারীদের কাছেও এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি দিয়েছেন মুশফিক। তিনি ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন– ‘প্রথমেই আমি আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত আমি স্রষ্টার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সব কিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ কালকে দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কথা দিচ্ছি, নিকট ভবিষ্যতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে-বাইরে আর হবে না।'
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের এ ক্ষমা প্রার্থনা সোমবার ক্রিকেট মাঠে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
ওই ঘটনার যে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গেছে– ফিল্ডিং করার সময় উইকেটকিপার মুশফিক তার সহ-খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। এর পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় মুশফিকের আচরণ নিয়ে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তার এমন আচরণ ভালোভাবে নেননি ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সমর্থকরা।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলায় ঢাকা-বরিশাল ম্যাচে বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে একবার এবং ১৭তম ওভারে আরও একবার নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হন মুশফিক।
এক ম্যাচে পর পর দুবার একই ক্রিকেটারের ওপর মেজাজ হারালেন মুশফিক। দুবার বল নিয়ে নাসুম আহমেদের দিকে তেড়ে যান তিনি।
১৩তম ওভারে বল করতে আসা নাসুম বরিশালের ব্যাটসম্যান আফিফের রোষানলে পড়েন। তার করা ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আফিফ। পরের বলে মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে গেলে রান আটকাতে দৌড়ান নাসুম ও উইকেটকিপার মুশফিক। একসঙ্গে দুজন জড়ো হওয়ায় ব্যাটসম্যানদের রানআউটের সুযোগ তৈরি করা যায়নি। মুশফিক তখন বল ধরে নাসুমের দিকেই থ্রো করতে উদ্যত হন।
এর পর ১৭তম ওভারে আবারও তেড়ে যান মুশফিক। তখন খেলায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ ঢাকার। শফিকুলের বলে ফিফটি করা আফিফের ক্যাচ যায় উইকেটের পেছনে। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন মুশফিক। শর্ট ফাইন লেগে থাকা ফিল্ডার নাসুমও চলে আসেন ক্যাচ ধরতে। মুশফিক-নাসুমের মধ্যে ধাক্কা প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। তখন মেজাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় মুশফিকের। বল হাতে থাকা অবস্থায় নাসুমকে প্রায় ঘুষি মারতে উদ্যত হতে দেখা যায় ঢাকার অধিনায়ককে।
ভিডিও
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নাসুমকে মারতে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন মুশফিক
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচ চলাকালে সতীর্থ নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচশেষেই তিনি নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ভক্ত-অনুগারীদের কাছেও এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি দিয়েছেন মুশফিক। তিনি ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন– ‘প্রথমেই আমি আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত আমি স্রষ্টার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সব কিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ কালকে দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কথা দিচ্ছি, নিকট ভবিষ্যতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে-বাইরে আর হবে না।'
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের এ ক্ষমা প্রার্থনা সোমবার ক্রিকেট মাঠে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
ওই ঘটনার যে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গেছে– ফিল্ডিং করার সময় উইকেটকিপার মুশফিক তার সহ-খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। এর পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় মুশফিকের আচরণ নিয়ে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তার এমন আচরণ ভালোভাবে নেননি ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সমর্থকরা।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলায় ঢাকা-বরিশাল ম্যাচে বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে একবার এবং ১৭তম ওভারে আরও একবার নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হন মুশফিক।
এক ম্যাচে পর পর দুবার একই ক্রিকেটারের ওপর মেজাজ হারালেন মুশফিক। দুবার বল নিয়ে নাসুম আহমেদের দিকে তেড়ে যান তিনি।
১৩তম ওভারে বল করতে আসা নাসুম বরিশালের ব্যাটসম্যান আফিফের রোষানলে পড়েন। তার করা ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আফিফ। পরের বলে মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে গেলে রান আটকাতে দৌড়ান নাসুম ও উইকেটকিপার মুশফিক। একসঙ্গে দুজন জড়ো হওয়ায় ব্যাটসম্যানদের রানআউটের সুযোগ তৈরি করা যায়নি। মুশফিক তখন বল ধরে নাসুমের দিকেই থ্রো করতে উদ্যত হন।
এর পর ১৭তম ওভারে আবারও তেড়ে যান মুশফিক। তখন খেলায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ ঢাকার। শফিকুলের বলে ফিফটি করা আফিফের ক্যাচ যায় উইকেটের পেছনে। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন মুশফিক। শর্ট ফাইন লেগে থাকা ফিল্ডার নাসুমও চলে আসেন ক্যাচ ধরতে। মুশফিক-নাসুমের মধ্যে ধাক্কা প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। তখন মেজাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় মুশফিকের। বল হাতে থাকা অবস্থায় নাসুমকে প্রায় ঘুষি মারতে উদ্যত হতে দেখা যায় ঢাকার অধিনায়ককে।
ভিডিও