৩৭ এ-ও মাশরাফির ৫ উইকেট, জানালেন ‘রহস্য’
ক্যারিয়ারে আরও একটি অপূর্ণতা ঘুচল মাশরাফি বিন মুর্তজার। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়ার আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ প্রাণভ্রমরার। সেই অপূর্ণতা ঘুচল।
সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেসের বোলিংনৈপুণ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি জেমকন খুলনা ৪৭ রানে নিজেদের করে। জায়গা করে নেয় ফাইনালে।
এদিন মাশরাফির আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা। ম্যাচসেরা মাশরাফির বোলিং ফিগার ৪-০-৩৫-৫। টি টোয়েন্টিতে এই ফিগার দেখতে যে কারও চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাসের কারণে ৯ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন মাশরাফি। সংসদ সদস্য হিসেবে করোনা মহামারীর সময়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নিজেও কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন। স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের অনেক সদস্যও আক্রান্ত হন এ ভাইরাসে। এর পর খেলায় ফিরে নিজেকে ফিরে পাওয়াই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে মাশরাফির এই পারফরম্যান্স অবাক করেছে সবাইকে। তাও আবার এই বয়সে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক এখন ৩৭ বছর ২ মাস পেরিয়ে। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকালে অবতীর্ণ মাশরাফি। ১৪ বছরে ১৬৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট পেলেন তিনি। মাশরাফি আরেকবার দেখালেন, বেলাশেষেও তার আলো ফুরোবার নয়!
বুড়ো বয়সের এই চোখ ধাঁধানো বোলিং ও সাফল্য নিয়ে কৌতূহলী মাশরাফিভক্তরা। মূলত আত্মবিশ্বাসটাকেই সাফল্যের মূল মন্ত্র মানছেন তিনি।
‘কোনো রহস্য নেই সাফল্যের। শুধু ভালো জায়গায় বল করে যাওয়া। গত আট-নয় মাস ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না। আমার জন্য আদর্শ ছিল না। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।’
ঠিক জায়গায় বল করতে পারাকেও সাফল্যের নেপথ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ম্যাশ। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, শুধু নিজের জায়গায় বল করে যাওয়া, এটিই আমি অনেক বছর ধরে করে আসছি। আমি ঠিক জায়গায় বল করেছি, বাকি যা হওয়ার হয়েছে।
মনের জোরেই খেলে যাচ্ছেন জানিয়ে মাশরাফি বলেন, মনের জোরেই ছুটে চলেছি শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে।
মাশরাফি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট মানসিক খেলাও। সময়টা কঠিন ছিল। করোনা পজিটিভ হওয়া সহজ ছিল না। আমি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তখনই হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ি। সহজ ছিল না। তবে আমি লেগে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এ টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, এটিই হয়েছে। এর পর কিছু উইকেট পাওয়ায় নিজে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।’
মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১০ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে থামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাশরাফি। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট।
আজ মঙ্গলবার বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে মোহাম্মদ মিঠুনের দল চট্টগ্রাম।
ভিডিও
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
৩৭ এ-ও মাশরাফির ৫ উইকেট, জানালেন ‘রহস্য’
ক্যারিয়ারে আরও একটি অপূর্ণতা ঘুচল মাশরাফি বিন মুর্তজার। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়ার আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ প্রাণভ্রমরার। সেই অপূর্ণতা ঘুচল।
সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেসের বোলিংনৈপুণ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি জেমকন খুলনা ৪৭ রানে নিজেদের করে। জায়গা করে নেয় ফাইনালে।
এদিন মাশরাফির আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা। ম্যাচসেরা মাশরাফির বোলিং ফিগার ৪-০-৩৫-৫। টি টোয়েন্টিতে এই ফিগার দেখতে যে কারও চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাসের কারণে ৯ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন মাশরাফি। সংসদ সদস্য হিসেবে করোনা মহামারীর সময়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নিজেও কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন। স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের অনেক সদস্যও আক্রান্ত হন এ ভাইরাসে। এর পর খেলায় ফিরে নিজেকে ফিরে পাওয়াই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে মাশরাফির এই পারফরম্যান্স অবাক করেছে সবাইকে। তাও আবার এই বয়সে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক এখন ৩৭ বছর ২ মাস পেরিয়ে। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকালে অবতীর্ণ মাশরাফি। ১৪ বছরে ১৬৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট পেলেন তিনি। মাশরাফি আরেকবার দেখালেন, বেলাশেষেও তার আলো ফুরোবার নয়!
বুড়ো বয়সের এই চোখ ধাঁধানো বোলিং ও সাফল্য নিয়ে কৌতূহলী মাশরাফিভক্তরা। মূলত আত্মবিশ্বাসটাকেই সাফল্যের মূল মন্ত্র মানছেন তিনি।
‘কোনো রহস্য নেই সাফল্যের। শুধু ভালো জায়গায় বল করে যাওয়া। গত আট-নয় মাস ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না। আমার জন্য আদর্শ ছিল না। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।’
ঠিক জায়গায় বল করতে পারাকেও সাফল্যের নেপথ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ম্যাশ। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, শুধু নিজের জায়গায় বল করে যাওয়া, এটিই আমি অনেক বছর ধরে করে আসছি। আমি ঠিক জায়গায় বল করেছি, বাকি যা হওয়ার হয়েছে।
মনের জোরেই খেলে যাচ্ছেন জানিয়ে মাশরাফি বলেন, মনের জোরেই ছুটে চলেছি শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে।
মাশরাফি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট মানসিক খেলাও। সময়টা কঠিন ছিল। করোনা পজিটিভ হওয়া সহজ ছিল না। আমি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তখনই হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ি। সহজ ছিল না। তবে আমি লেগে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এ টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, এটিই হয়েছে। এর পর কিছু উইকেট পাওয়ায় নিজে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।’
মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১০ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে থামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাশরাফি। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট।
আজ মঙ্গলবার বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে মোহাম্মদ মিঠুনের দল চট্টগ্রাম।
ভিডিও