নিউজিল্যান্ডের সেই মসজিদে জুমা আদায় করে আপ্লুত মুশফিক
স্পোর্টস ডেস্ক
০৫ মার্চ ২০২১, ১২:৩৯:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ দলের নিউজল্যান্ড সফর মানেই গা শিউরে ওঠার ভয়ানক সেই দুঃসহ স্মৃতি।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে ভয়াবহ এক ঝুঁকির মুখে পড়েছিলেন টাইগাররা। আল্লাহর ইচ্ছায় মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বেঁচে যান তামিম-মুশফিকরা। সংবাদ সম্মেলন একটু দেরিতে শুরু হওয়ায় ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যেতে দেরি হয়। আর এই কয়েক মিনিট দেরি হওয়ায় সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ।
সেই ভয়াবহ দুঃস্মৃতি সঙ্গে নিয়েই দুই বছর পর সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেবার না পারলেও এবার ভালোভাবেই নামাজ আদায় করেছেন তারা।
নামাজ আদায়ের পর দুবছর আগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা মনে করে আপ্লুত হয়ে পড়েন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
নামাজ শেষে সেই মসজিদের সামনে ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন—‘আসসালামু আলাইকুম। এটিই সেই মসজিদ এবং আজকেও শুক্রবার।’
ক্যাপশনে কান্নার ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন মুশফিক। বোঝাই যাচ্ছে—দুই বছর আগে সেই ঘটনার দুঃসহ স্মৃতির কিছুই ভোলেননি মি. ডিপেন্ডেবল। এবার সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পেরে আবেগে কেঁদেছেন তিনি!
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সালে তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি ও তিন টেস্ট খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুই টেস্ট খেলার পরই ওই ঘটনা ঘটে।
তৃতীয় টেস্টের আগে শুক্রবার হ্যাগলি পার্কে মসজিদ আল নূরে জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ দল।
তামিম-মুশফিকরা সেই মসজিদে পৌঁছার আগেই মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়উগ্রবাদী সন্ত্রাসী বেন্টন ট্যারেন্ট। এতে নিহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক মুসল্লি।
এমন ঘটনার পর সফর শেষ না করেই জরুরিভিত্তিতে নিরাপদে দেশে ফেরে বাংলাদেশ দল।
দেশে ফিরে ভয়বহ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল বলেছিলেন—কয়েক মিনিট আগে আমরা সেখানে পৌঁছলে বড় কিছু ঘটতে পারত। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার স্মৃতি ভুলতে আমাদের বেশ কয়েক দিন লাগবে। নিরাপদে দেশে ফিরতে পারছি এটিই বড় কথা। যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া রইল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নিউজিল্যান্ডের সেই মসজিদে জুমা আদায় করে আপ্লুত মুশফিক
বাংলাদেশ দলের নিউজল্যান্ড সফর মানেই গা শিউরে ওঠার ভয়ানক সেই দুঃসহ স্মৃতি।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে ভয়াবহ এক ঝুঁকির মুখে পড়েছিলেন টাইগাররা। আল্লাহর ইচ্ছায় মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বেঁচে যান তামিম-মুশফিকরা। সংবাদ সম্মেলন একটু দেরিতে শুরু হওয়ায় ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যেতে দেরি হয়। আর এই কয়েক মিনিট দেরি হওয়ায় সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ।
সেই ভয়াবহ দুঃস্মৃতি সঙ্গে নিয়েই দুই বছর পর সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেবার না পারলেও এবার ভালোভাবেই নামাজ আদায় করেছেন তারা।
নামাজ আদায়ের পর দুবছর আগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা মনে করে আপ্লুত হয়ে পড়েন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
নামাজ শেষে সেই মসজিদের সামনে ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন—‘আসসালামু আলাইকুম। এটিই সেই মসজিদ এবং আজকেও শুক্রবার।’
ক্যাপশনে কান্নার ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন মুশফিক। বোঝাই যাচ্ছে—দুই বছর আগে সেই ঘটনার দুঃসহ স্মৃতির কিছুই ভোলেননি মি. ডিপেন্ডেবল। এবার সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পেরে আবেগে কেঁদেছেন তিনি!
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সালে তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি ও তিন টেস্ট খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুই টেস্ট খেলার পরই ওই ঘটনা ঘটে।
তৃতীয় টেস্টের আগে শুক্রবার হ্যাগলি পার্কে মসজিদ আল নূরে জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ দল।
তামিম-মুশফিকরা সেই মসজিদে পৌঁছার আগেই মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় উগ্রবাদী সন্ত্রাসী বেন্টন ট্যারেন্ট। এতে নিহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক মুসল্লি।
এমন ঘটনার পর সফর শেষ না করেই জরুরিভিত্তিতে নিরাপদে দেশে ফেরে বাংলাদেশ দল।
দেশে ফিরে ভয়বহ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল বলেছিলেন—কয়েক মিনিট আগে আমরা সেখানে পৌঁছলে বড় কিছু ঘটতে পারত। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার স্মৃতি ভুলতে আমাদের বেশ কয়েক দিন লাগবে। নিরাপদে দেশে ফিরতে পারছি এটিই বড় কথা। যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া রইল।