ডিফেন্ডারের ইতিহাস গড়া গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে ইংল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ জুলাই ২০২১, ০২:০৬:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
টান টান উত্তেজনায় শুরু হয়েছে ইউরো কাপের ফাইনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ইতালি।
এই মেগাফাইনালে বাড়তি উত্তেজনা যোগ করেছে গ্যালারিপূর্ণ দর্শক। স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। কৃত্রিম আওয়াজের দরকার নেই।
আর গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের সমর্থন যেন উদ্দীপক হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ড দলে। ম্যাচ শুরুর পর ধারাভাষ্যকররাও ঠিকমতো দুই দলের একাদশের নাম বলে শেষ করতে পারেনি তখনই গোল।
গ্যালারি ভর্তি দর্শকের হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল ওয়েম্বলি। কারণ গোলটি দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার (লেফট-ব্যাক) লিউক শ।
ম্যাচ শুরুর ২ মিনিট শেষ হওয়ার আগেই ইতালির জালে বল জড়িয়ে দিলেন ম্যানসিটির এই লেফট ব্যাক। ১-০ গোলে লিড নিল ইংল্যান্ড।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার কিক পায় ইতালি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে ইংল্যান্ড।
বক্সের ডান পাশ লম্বা পাস দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। দৌড়ে এগিয়ে এসে লুক শ ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন। মুহূর্তেই বলটি ইতালির জালে জড়িয়ে যায়।
এটি লিউকের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল ইউরোর ফাইনালে। গোলটি করে ইউরো কাপের ইতিহাসে সর্বকালীন একটি রেকর্ড গড়লেন। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে করা তার গোলটিই এখন ইউরোর ফাইনাল ম্যাচে করা দ্রুততম গোল।
১৯৬৪ সালে পেরেদা ৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন। তার থেকে অনেক এগিয়ে ৫৭ বছরের অক্ষুণ্ন রেকর্ড নিজের করে নিলেন।
৪ মিনিটের মাথায় বল হাতে লাগে ইতালির জোরগিনহো। ৮ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের পোস্টে শট নেন ইনসিনিয়ে। যদিও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১৭ মিনিটের মাথায় অফসাইড হন ইতালির এমারসন। ইতালির আক্রমণ ভেস্তে যায়।
২৬ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের আক্রমণ ভেস্তে যায়। এবার অফসাইড ট্রিপিয়ার। এর ২ মিনিট পর ফের আক্রমণ শানান ইনসিনিয়ে। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষকের সেই শট ধরার প্রয়োজন পড়েনি।
৩৫ মিনিটের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় কিয়েসার। ৩৯ মিনিটের মাথায় ফের ইতালির বিপক্ষে অফসাইডের বাঁশি। এবারের নাম ইমমোবিল।
প্রথমার্ধে ৪ মিনিট সময় সংযোজন করেন রেফারি। ৪৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের পোস্ট বরবার দুর্দান্ত শট নেন ইতালির ভেরাত্তি। বলা যেতে বিরতির আগ মুহূর্তে এটাই বলার মতো প্রথম শট যা লক্ষ্য বরাবর গেল। তবে সেই শট প্রতিহত করেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড।
প্রথমার্ধের খেলা শেষে লিউক শ'র গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গেল ইংল্যান্ড।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডিফেন্ডারের ইতিহাস গড়া গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে ইংল্যান্ড
টান টান উত্তেজনায় শুরু হয়েছে ইউরো কাপের ফাইনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ইতালি।
এই মেগাফাইনালে বাড়তি উত্তেজনা যোগ করেছে গ্যালারিপূর্ণ দর্শক। স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। কৃত্রিম আওয়াজের দরকার নেই।
আর গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের সমর্থন যেন উদ্দীপক হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ড দলে। ম্যাচ শুরুর পর ধারাভাষ্যকররাও ঠিকমতো দুই দলের একাদশের নাম বলে শেষ করতে পারেনি তখনই গোল।
গ্যালারি ভর্তি দর্শকের হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল ওয়েম্বলি। কারণ গোলটি দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার (লেফট-ব্যাক) লিউক শ।
ম্যাচ শুরুর ২ মিনিট শেষ হওয়ার আগেই ইতালির জালে বল জড়িয়ে দিলেন ম্যানসিটির এই লেফট ব্যাক। ১-০ গোলে লিড নিল ইংল্যান্ড।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার কিক পায় ইতালি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে ইংল্যান্ড।
বক্সের ডান পাশ লম্বা পাস দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। দৌড়ে এগিয়ে এসে লুক শ ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন। মুহূর্তেই বলটি ইতালির জালে জড়িয়ে যায়।
এটি লিউকের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল ইউরোর ফাইনালে। গোলটি করে ইউরো কাপের ইতিহাসে সর্বকালীন একটি রেকর্ড গড়লেন। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে করা তার গোলটিই এখন ইউরোর ফাইনাল ম্যাচে করা দ্রুততম গোল।
১৯৬৪ সালে পেরেদা ৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন। তার থেকে অনেক এগিয়ে ৫৭ বছরের অক্ষুণ্ন রেকর্ড নিজের করে নিলেন।
৪ মিনিটের মাথায় বল হাতে লাগে ইতালির জোরগিনহো। ৮ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের পোস্টে শট নেন ইনসিনিয়ে। যদিও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১৭ মিনিটের মাথায় অফসাইড হন ইতালির এমারসন। ইতালির আক্রমণ ভেস্তে যায়।
২৬ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের আক্রমণ ভেস্তে যায়। এবার অফসাইড ট্রিপিয়ার। এর ২ মিনিট পর ফের আক্রমণ শানান ইনসিনিয়ে। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষকের সেই শট ধরার প্রয়োজন পড়েনি।
৩৫ মিনিটের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় কিয়েসার। ৩৯ মিনিটের মাথায় ফের ইতালির বিপক্ষে অফসাইডের বাঁশি। এবারের নাম ইমমোবিল।
প্রথমার্ধে ৪ মিনিট সময় সংযোজন করেন রেফারি। ৪৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের পোস্ট বরবার দুর্দান্ত শট নেন ইতালির ভেরাত্তি। বলা যেতে বিরতির আগ মুহূর্তে এটাই বলার মতো প্রথম শট যা লক্ষ্য বরাবর গেল। তবে সেই শট প্রতিহত করেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড।
প্রথমার্ধের খেলা শেষে লিউক শ'র গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গেল ইংল্যান্ড।