যে কারণে বিপিএলে নেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম
স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৪০:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
এবারের বিপিএল শুরু থেকেই কিছুটা এলোমেলো। এক বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচন করা হয়েছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের ঠিক আগের দিন ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বদলে যায়। বিসিবি নিজেই ঢাকার দায়িত্ব নেয়।
এদিকে করোনার প্রভাবে বিপিএলে এখনও ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভালো বিদেশি আম্পায়ারও পাওয়া যায়নি এখনও। দর্শকও নেই এবার। ধারাভাষ্যকারদের ক্ষেত্রেও বেশি ‘ফোকাস’ রাখা হচ্ছে স্থানীয়দের দিকেই।
ডিআরএসের অভাবটাই বেশি পোড়াচ্ছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। কারণ ডিআরএস না থাকা মানে নিশ্চিতভাবেই বিতর্কের অবকাশ রেখে দেওয়া। এদিকে বিদেশি আম্পায়ার কিংবা মানসম্পন্ন বিদেশি আম্পায়ার না পাওয়া গেলে সেই পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে, সংশয় নেই।
জানা গেছে, ডিআরএসের প্রয়োগ ও বিদেশি আম্পায়ারের জন্য আইসিসির সাহায্য চেয়েছিল বিসিবি। যদিও এখনো সমাধান মেলেনি।
ওমিক্রনের সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়াতেই ডিআরএস রাখা যাচ্ছে না বলে দাবি বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের।
তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে— বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির সঙ্গেও কথা বলেছি। কারণ আইসিসিরও একটা সোর্স আছে। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।’
উল্লেখ্য, ডিআরএসের সোর্স সারাবিশ্বে একটাই— হক-আই কোম্পানি। ওমিক্রনের কারণে তাদের লোকবল কম বলে জানান নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে। হক-আই আমাদের যা বলেছে— ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ম্যানপাওয়ার কাজ করছে। প্রযুক্তি আছে; কিন্তু লোকবল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। তাদের মোট কর্মীর অর্ধেক কাজ করছেন। ফলে বণ্টন নিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তার পরও তারা বলেছে, যেহেতু আমরা সরাসরি যোগাযোগ করছি, যদি কেউ আসতে পারে, তাদের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। সেভাবেই যোগাযোগ রাখছি।’
আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে পর্দা উঠবে বিপিএলের অষ্টম আসরের। আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির ১৮।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যে কারণে বিপিএলে নেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম
এবারের বিপিএল শুরু থেকেই কিছুটা এলোমেলো। এক বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচন করা হয়েছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের ঠিক আগের দিন ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বদলে যায়। বিসিবি নিজেই ঢাকার দায়িত্ব নেয়।
এদিকে করোনার প্রভাবে বিপিএলে এখনও ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভালো বিদেশি আম্পায়ারও পাওয়া যায়নি এখনও। দর্শকও নেই এবার। ধারাভাষ্যকারদের ক্ষেত্রেও বেশি ‘ফোকাস’ রাখা হচ্ছে স্থানীয়দের দিকেই।
ডিআরএসের অভাবটাই বেশি পোড়াচ্ছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। কারণ ডিআরএস না থাকা মানে নিশ্চিতভাবেই বিতর্কের অবকাশ রেখে দেওয়া। এদিকে বিদেশি আম্পায়ার কিংবা মানসম্পন্ন বিদেশি আম্পায়ার না পাওয়া গেলে সেই পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে, সংশয় নেই।
জানা গেছে, ডিআরএসের প্রয়োগ ও বিদেশি আম্পায়ারের জন্য আইসিসির সাহায্য চেয়েছিল বিসিবি। যদিও এখনো সমাধান মেলেনি।
ওমিক্রনের সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়াতেই ডিআরএস রাখা যাচ্ছে না বলে দাবি বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের।
তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে— বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির সঙ্গেও কথা বলেছি। কারণ আইসিসিরও একটা সোর্স আছে। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।’
উল্লেখ্য, ডিআরএসের সোর্স সারাবিশ্বে একটাই— হক-আই কোম্পানি। ওমিক্রনের কারণে তাদের লোকবল কম বলে জানান নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে। হক-আই আমাদের যা বলেছে— ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ম্যানপাওয়ার কাজ করছে। প্রযুক্তি আছে; কিন্তু লোকবল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। তাদের মোট কর্মীর অর্ধেক কাজ করছেন। ফলে বণ্টন নিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তার পরও তারা বলেছে, যেহেতু আমরা সরাসরি যোগাযোগ করছি, যদি কেউ আসতে পারে, তাদের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। সেভাবেই যোগাযোগ রাখছি।’
আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে পর্দা উঠবে বিপিএলের অষ্টম আসরের। আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির ১৮।