‘সকালে মাঠে থাকলে হার্টঅ্যাটাক হয়ে যেত’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। শ্রীলংকার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোর গতির মুখে টালমাটাল টাইগাররা।
৬.৫ ওভারে মাত্র ৪২ মিনিটেই প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে চোখরাঙানি দিচ্ছিল লজ্জার সব রেকর্ড।
সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও দুঃসাহসিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। তাদের কল্যাণেই দিন শেষে ভালো অবস্থানে (২৭৭/৫) বাংলাদেশ।
২৪ রানে মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছিল ঠিক তখন আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্ক্লেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যে কারণে সামনে থেকে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় দেখতে হয়নি তাকে।
যদি এমনটি দেখতে হতো, তাহলে হার্টঅ্যাটাক করে ফেলতেন বলে জানালেন পাপন। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ওই সময় থাকলে হার্টঅ্যাটাক হয়ে যেত (হাসি)। আল্লাহ্র রহমত আমি ছিলাম না। আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এই খেলার কী অবস্থা? আমি তখন বলেছি, আপা, সাহস নাই দেখার। আমি মাঠে না যাওয়া পর্যন্ত খুলছি না।
তিনি আরও যোগ করেন, তো মাঠে এসে এখানে ঢোকার সময় লিফটে উঠে দেখলাম এ অবস্থা। এটা তো বড় ধরনের একটা শক! তো যাই হোক, যেভাবে মুশফিক ও লিটন ব্যাট করছে এটি বিশেষ কৃতিত্বের দাবিদার। এটি অবিশ্বাস্য। আমি নিশ্চিত সবাই এ জুটিতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। এমন চাপে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। ওরা অসাধারণ খেলেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘সকালে মাঠে থাকলে হার্টঅ্যাটাক হয়ে যেত’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। শ্রীলংকার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোর গতির মুখে টালমাটাল টাইগাররা।
৬.৫ ওভারে মাত্র ৪২ মিনিটেই প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে চোখরাঙানি দিচ্ছিল লজ্জার সব রেকর্ড।
সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও দুঃসাহসিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। তাদের কল্যাণেই দিন শেষে ভালো অবস্থানে (২৭৭/৫) বাংলাদেশ।
২৪ রানে মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছিল ঠিক তখন আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্ক্লেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যে কারণে সামনে থেকে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় দেখতে হয়নি তাকে।
যদি এমনটি দেখতে হতো, তাহলে হার্টঅ্যাটাক করে ফেলতেন বলে জানালেন পাপন। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ওই সময় থাকলে হার্টঅ্যাটাক হয়ে যেত (হাসি)। আল্লাহ্র রহমত আমি ছিলাম না। আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এই খেলার কী অবস্থা? আমি তখন বলেছি, আপা, সাহস নাই দেখার। আমি মাঠে না যাওয়া পর্যন্ত খুলছি না।
তিনি আরও যোগ করেন, তো মাঠে এসে এখানে ঢোকার সময় লিফটে উঠে দেখলাম এ অবস্থা। এটা তো বড় ধরনের একটা শক! তো যাই হোক, যেভাবে মুশফিক ও লিটন ব্যাট করছে এটি বিশেষ কৃতিত্বের দাবিদার। এটি অবিশ্বাস্য। আমি নিশ্চিত সবাই এ জুটিতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। এমন চাপে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। ওরা অসাধারণ খেলেছে।