সবচেয়ে বেশি শূন্যরানে আউট হওয়ার রেকর্ড ভাঙল টাইগাররা
স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ মে ২০২২, ১৫:৪৮:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ঢাকা টেস্ট হারল বাংলাদেশ। এরপরও সমর্থকরা ইতিবাচক যে বিষয়টি খুঁজে পেয়েছেন সেটি হচ্ছে ইনিংস পরাজয় ঘটেনি।
অথচ চট্টগ্রাম টেস্টে দাপটের সঙ্গে ড্র করে ঢাকা টেস্টে জয়ের আশা করেছিলেন টাইগাররা। কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যান স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪২ মিনিট ব্যাটিং করে ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুরুতে ৩৪ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। লাঞ্চ বিরতির পর মাত্র ২০ রানেই শেষ ৫ উইকেট।
এমন দ্রুত সাজঘরে ফেরাতে বিব্রতকর ও লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। তা হলো এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্যরানে সাজঘরে ফেরার রেকর্ড।
আসিথা ফার্নান্দোর ফুল লেংথ বলে তাইজুল ১০ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিংয়ে আসেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। আর প্রথম বলটিই তেঁড়েফুড়ে মারতে যান। ফলাফল উপড়ে যায় তার উইকেট।
আসিথা ফার্নান্দোর বলে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে খালেদের ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আর এরই সঙ্গে বিব্রতকর রেকর্ডটি হয়ে গেল বাংলাদেশের। দুই ইনিংস মিলিয়ে এই ম্যাচে ৯ ব্যাটসম্যান আউট হলেন শূন্য রানে, বাংলাদেশের যা সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ৮ শূন্য।
ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৬জন! দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ জন।
প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবাল শুরুটা করে যান।
যথাক্রমে ২ আর ৪ বল মোকাবিলা করে রানের খাতাই খুলতে পারেননি জয় ও তামিম। ১৩ বছর পর 'গোল্ডেন ডাক' মারেন সাকিব আল হাসান। স্পিনার নাঈম ও পেসার শরিফুলের ইনজুরির সুবাদে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও ডাক মারেন।
শেষ দিকে দুই পেসার খালেন ও এবাদতও শূন্য রানে আউট হন। এবাদত অবশ্য ২০ বল মোকাবিলা করতে পেরেছেন।
৬ জন ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হলেও লিটন-মুশকিকের রেকর্ড জুটিতে ৩৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে ৩ জন ফিরে গেলেও স্কোর বোর্ডে শূন্য দেখাচ্ছে ৪ জনকে। এবাদত নটআউটি থাকলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতেও শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার তামিম। এবার লজ্জার রেকর্ডে যোগ দিলেন খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক। শেষ দিকে 'গোল্ডেন ডাক' মারেন এবাদত হোসেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সবচেয়ে বেশি শূন্যরানে আউট হওয়ার রেকর্ড ভাঙল টাইগাররা
১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ঢাকা টেস্ট হারল বাংলাদেশ। এরপরও সমর্থকরা ইতিবাচক যে বিষয়টি খুঁজে পেয়েছেন সেটি হচ্ছে ইনিংস পরাজয় ঘটেনি।
অথচ চট্টগ্রাম টেস্টে দাপটের সঙ্গে ড্র করে ঢাকা টেস্টে জয়ের আশা করেছিলেন টাইগাররা। কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যান স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪২ মিনিট ব্যাটিং করে ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুরুতে ৩৪ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। লাঞ্চ বিরতির পর মাত্র ২০ রানেই শেষ ৫ উইকেট।
এমন দ্রুত সাজঘরে ফেরাতে বিব্রতকর ও লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। তা হলো এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্যরানে সাজঘরে ফেরার রেকর্ড।
আসিথা ফার্নান্দোর ফুল লেংথ বলে তাইজুল ১০ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিংয়ে আসেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। আর প্রথম বলটিই তেঁড়েফুড়ে মারতে যান। ফলাফল উপড়ে যায় তার উইকেট।
আসিথা ফার্নান্দোর বলে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে খালেদের ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আর এরই সঙ্গে বিব্রতকর রেকর্ডটি হয়ে গেল বাংলাদেশের। দুই ইনিংস মিলিয়ে এই ম্যাচে ৯ ব্যাটসম্যান আউট হলেন শূন্য রানে, বাংলাদেশের যা সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ৮ শূন্য।
ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৬জন! দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ জন।
প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবাল শুরুটা করে যান।
যথাক্রমে ২ আর ৪ বল মোকাবিলা করে রানের খাতাই খুলতে পারেননি জয় ও তামিম। ১৩ বছর পর 'গোল্ডেন ডাক' মারেন সাকিব আল হাসান। স্পিনার নাঈম ও পেসার শরিফুলের ইনজুরির সুবাদে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও ডাক মারেন।
শেষ দিকে দুই পেসার খালেন ও এবাদতও শূন্য রানে আউট হন। এবাদত অবশ্য ২০ বল মোকাবিলা করতে পেরেছেন।
৬ জন ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হলেও লিটন-মুশকিকের রেকর্ড জুটিতে ৩৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে ৩ জন ফিরে গেলেও স্কোর বোর্ডে শূন্য দেখাচ্ছে ৪ জনকে। এবাদত নটআউটি থাকলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতেও শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার তামিম। এবার লজ্জার রেকর্ডে যোগ দিলেন খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক। শেষ দিকে 'গোল্ডেন ডাক' মারেন এবাদত হোসেন।