হাসানের জোড়া উইকেটের পর মিরাজের আঘাত
জিতলে সিরিজে ফেরা, হারলে হাতছাড়া। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে সিরিজ বাঁচাতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য উপহার দেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। এক বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডেতে ফিরে পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট শিকার করেন হাসান।
হাসান মাহমুদের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তার বিদায়ে ৮ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেটের দেখা পান হাসান মাহমুদ। তার বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো (০)।
এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। এবার তার শিকার হয়ে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ইনসেন্ট কায়া। আগের ম্যাচে (১১০) সেঞ্চুরি করা কায়াকে এদিন ৭ রানে ফেরান হাসান।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮০*) ও তামিম ইকবালের (৫০) ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। দলীয় ১১ ওভারে ৭১ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি ৪৫ বলে ১০ চার আর এক ছক্কায় ৫০ রান করে ফেরেন।
তামিম আউট হওয়ার মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে রান আউট হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে ৭৩ রান করা ওপেনার এনামুল হক বিজয়। এদিন তিনি ফেরেন ২৫ বলে ২০ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৬৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে আউট হন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি ফেরেন ৩১ বলে ২৫ রানে।
২৯.৩ ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডেতে ৫৫ বল খেলে ক্যারিয়ার সেরা ৩৮ রান করে ফেরেন শান্ত।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৮২ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে আউট হন আফিফ হোসেন। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১ রান করেন।
আফিফ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনিও সেই সিকান্দার রাজার স্পিনে বিভ্রান্ত হন। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ বলে ১৫ রান করার সুযোগ পান মিরাজ।
আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ বলে ১ রান করে আউট হন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন তাইজুল ইসলাম।
ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৮৩ বলে ৩টি চার আর ৩টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম-রিয়াদের ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন আগের ম্যাচে ১৩৫* রানের ইনিংস খেলা সিকান্দার রাজা।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করেও ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
হাসানের জোড়া উইকেটের পর মিরাজের আঘাত
স্পোর্টস ডেস্ক
০৭ আগস্ট ২০২২, ১৮:১৩:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
জিতলে সিরিজে ফেরা, হারলে হাতছাড়া। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে সিরিজ বাঁচাতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য উপহার দেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। এক বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডেতে ফিরে পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট শিকার করেন হাসান।
হাসান মাহমুদের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তার বিদায়ে ৮ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেটের দেখা পান হাসান মাহমুদ। তার বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো (০)।
এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। এবার তার শিকার হয়ে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ইনসেন্ট কায়া। আগের ম্যাচে (১১০) সেঞ্চুরি করা কায়াকে এদিন ৭ রানে ফেরান হাসান।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮০*) ও তামিম ইকবালের (৫০) ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। দলীয় ১১ ওভারে ৭১ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি ৪৫ বলে ১০ চার আর এক ছক্কায় ৫০ রান করে ফেরেন।
তামিম আউট হওয়ার মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে রান আউট হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে ৭৩ রান করা ওপেনার এনামুল হক বিজয়। এদিন তিনি ফেরেন ২৫ বলে ২০ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৬৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে আউট হন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি ফেরেন ৩১ বলে ২৫ রানে।
২৯.৩ ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডেতে ৫৫ বল খেলে ক্যারিয়ার সেরা ৩৮ রান করে ফেরেন শান্ত।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৮২ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে আউট হন আফিফ হোসেন। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১ রান করেন।
আফিফ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনিও সেই সিকান্দার রাজার স্পিনে বিভ্রান্ত হন। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ বলে ১৫ রান করার সুযোগ পান মিরাজ।
আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ বলে ১ রান করে আউট হন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন তাইজুল ইসলাম।
ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৮৩ বলে ৩টি চার আর ৩টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম-রিয়াদের ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন আগের ম্যাচে ১৩৫* রানের ইনিংস খেলা সিকান্দার রাজা।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করেও ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023