মহাকাব্যিক জুটি গড়ার সময় মাহমুদউল্লাহ যেভাবে উজ্জীবিত করেন মিরাজকে
স্পোর্টস ডেস্ক
০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:৪৬:০২ | অনলাইন সংস্করণ
গতকাল মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিরপুরে যেটা করলেন সেটা ইতিহাস। ক্রিকেট বিশ্ব এই জুটিকে মনে রাখবে বহুদিন।
ভারতের মতো দলের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়েছেন দুজন। ধ্বংসযজ্ঞের মুখে দাঁড়িয়ে ৭ম উইকেট জুটিতে গড়েছেন ১২৮ রানে মহাকাব্যিক জুটি। এ লড়াইয়ের সময় ক্রিজে বারবার দেখা গেছে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহকে নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নিতে। অনুজকে বারবার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যের ম্যাচে শেষদিকে রোহিতের ব্যাটিং-তাণ্ডব সামলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের নাটকীয় জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেল দুর্দান্ত এক সিরিজ জয়ও। ম্যাচের ঘণ্টা দেড়েক পার না হতেই গ্যালারি হয়ে যায় প্রায় নীরব। ২০ ওভারের আগেই যে উধাও বাংলাদেশের ছয় উইকেট। সেই গ্যালারিকেই জাগিয়ে তোলেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
রেকর্ড গড়া জুটিতে দুজন উদ্ধার করেন দলকে। মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেও আটে নেমে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পর দুই উইকেট নিয়ে আবারও ম্যাচসেরা তিনি।
ভারতের বিপক্ষে এমন স্মরণীয় পারফরম্যান্সের পর মিরাজ জানালেন, গত কয়েক বছরে ব্যাটিং নিয়ে তার কঠোর পরিশ্রমের কথা, ‘আমাকে এটা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সব কৃতিত্ব মহান আল্লাহর। খুব ভালো লাগছে। গত কয়েক বছর ধরে আমি ব্যাটিংয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছি। আমার কোচরা উন্নতির জন্য অনেক সহায়তা করেছেন। আজ রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) আমাকে বারবার জুটির ছোট ছোট লক্ষ্য ধরে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। আমি শুধু মারার মতো বলে শট খেলে চাপটা ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
সিরিজ হারের পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। কিন্তু মাঝের ওভার ও শেষদিকে ছন্দটা ধরে রাখতে পারিনি। আগের ম্যাচেও এটাই ঘটেছিল। এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করা উচিত। মেহেদী ও মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। এটা ছিল তাদের ম্যাচ জেতানো জুটি। এ ধরনের জুটি ভাঙার একটা পথ আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে। ৬৯/৬ থেকে ২৭০ ছাড়ানো রান আমাদের বোলারদের মানসিকভাবে পিছিয়ে দিয়েছিল।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মহাকাব্যিক জুটি গড়ার সময় মাহমুদউল্লাহ যেভাবে উজ্জীবিত করেন মিরাজকে
গতকাল মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিরপুরে যেটা করলেন সেটা ইতিহাস। ক্রিকেট বিশ্ব এই জুটিকে মনে রাখবে বহুদিন।
ভারতের মতো দলের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়েছেন দুজন। ধ্বংসযজ্ঞের মুখে দাঁড়িয়ে ৭ম উইকেট জুটিতে গড়েছেন ১২৮ রানে মহাকাব্যিক জুটি। এ লড়াইয়ের সময় ক্রিজে বারবার দেখা গেছে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহকে নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নিতে। অনুজকে বারবার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যের ম্যাচে শেষদিকে রোহিতের ব্যাটিং-তাণ্ডব সামলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের নাটকীয় জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেল দুর্দান্ত এক সিরিজ জয়ও। ম্যাচের ঘণ্টা দেড়েক পার না হতেই গ্যালারি হয়ে যায় প্রায় নীরব। ২০ ওভারের আগেই যে উধাও বাংলাদেশের ছয় উইকেট। সেই গ্যালারিকেই জাগিয়ে তোলেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
রেকর্ড গড়া জুটিতে দুজন উদ্ধার করেন দলকে। মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেও আটে নেমে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পর দুই উইকেট নিয়ে আবারও ম্যাচসেরা তিনি।
ভারতের বিপক্ষে এমন স্মরণীয় পারফরম্যান্সের পর মিরাজ জানালেন, গত কয়েক বছরে ব্যাটিং নিয়ে তার কঠোর পরিশ্রমের কথা, ‘আমাকে এটা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সব কৃতিত্ব মহান আল্লাহর। খুব ভালো লাগছে। গত কয়েক বছর ধরে আমি ব্যাটিংয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছি। আমার কোচরা উন্নতির জন্য অনেক সহায়তা করেছেন। আজ রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) আমাকে বারবার জুটির ছোট ছোট লক্ষ্য ধরে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। আমি শুধু মারার মতো বলে শট খেলে চাপটা ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
সিরিজ হারের পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। কিন্তু মাঝের ওভার ও শেষদিকে ছন্দটা ধরে রাখতে পারিনি। আগের ম্যাচেও এটাই ঘটেছিল। এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করা উচিত। মেহেদী ও মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। এটা ছিল তাদের ম্যাচ জেতানো জুটি। এ ধরনের জুটি ভাঙার একটা পথ আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে। ৬৯/৬ থেকে ২৭০ ছাড়ানো রান আমাদের বোলারদের মানসিকভাবে পিছিয়ে দিয়েছিল।’