তাওহিদের ক্রিকেটার হওয়ার প্রেরণায় মুশফিক
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়েন তাওহিদ হৃদয়।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় অভিষেকে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ (৯২) রানের ইনিংস খেলেন তাওহিদ।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের পর মুশফিকুর রহিম যখন বগুড়ায় যান, তখন তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান তাওহিদ হৃদয়। সেদিনের ঘটনা আজও স্মৃতিতে ভাসে হৃদয়ের।
শনিবার সিলেটে ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের পর হৃদয় বলেন, ২০০৭ সালে তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। মুশফিক ভাই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জিতে একটা স্টাম্প পেয়েছিলেন। একটা প্রোগ্রামে মুশফিক ভাইয়ের কাছে স্টাম্প দেখে অনুপ্রাণিত হই। তারপর থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু।
গত ৯ মার্চ চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তাওহিদ হৃদয়ের। ক্রিকেটের সীমিত ওভারে ঝলমলে পারফরম্যান্সের সুবাদে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে দলে অভিষেক হয় তার।
অভিষেকেই রেকর্ড গড়েন তিনি। দেশের হয়ে অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়।
৮৫ বলে ৮টি চার আর দুই ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস গড়ার পথে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৯ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি।
নিজের ইনিংস নিয়ে হৃদয় বলেন, আমি ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই চেষ্টা করেছি প্রতিটি বলের মান অনুযায়ী খেলার। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলা ভালো একটা ব্যাপার, কারণ উনি অনেক অভিজ্ঞ। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময়ই অনেক কিছু শিখছিলাম। উনিও বলছিলেন, এভাবে-ওভাবে করলে ভালো হবে। উপভোগ করেছি অনেক।
তাওহিদ হৃদয় আরও বলেন, যখন মনে হয়েছে কিছু জানার দরকার, তখন জিজ্ঞাসা করেছি যে ভাই কী করলে ভালো হয়। সাকিব ভাই বলেছেন, ‘এটা ওভাবে করতে পারি।’ এছাড়াও সবসময় বলছিলেন যে, ‘ভালো হয়েছে, ধরে রাখ। যতটা লম্বা করা যায় ইনিংস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তাওহিদের ক্রিকেটার হওয়ার প্রেরণায় মুশফিক
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়েন তাওহিদ হৃদয়।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় অভিষেকে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ (৯২) রানের ইনিংস খেলেন তাওহিদ।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের পর মুশফিকুর রহিম যখন বগুড়ায় যান, তখন তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান তাওহিদ হৃদয়। সেদিনের ঘটনা আজও স্মৃতিতে ভাসে হৃদয়ের।
শনিবার সিলেটে ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের পর হৃদয় বলেন, ২০০৭ সালে তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। মুশফিক ভাই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জিতে একটা স্টাম্প পেয়েছিলেন। একটা প্রোগ্রামে মুশফিক ভাইয়ের কাছে স্টাম্প দেখে অনুপ্রাণিত হই। তারপর থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু।
গত ৯ মার্চ চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তাওহিদ হৃদয়ের। ক্রিকেটের সীমিত ওভারে ঝলমলে পারফরম্যান্সের সুবাদে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে দলে অভিষেক হয় তার।
অভিষেকেই রেকর্ড গড়েন তিনি। দেশের হয়ে অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়।
৮৫ বলে ৮টি চার আর দুই ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস গড়ার পথে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৯ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি।
নিজের ইনিংস নিয়ে হৃদয় বলেন, আমি ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই চেষ্টা করেছি প্রতিটি বলের মান অনুযায়ী খেলার। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলা ভালো একটা ব্যাপার, কারণ উনি অনেক অভিজ্ঞ। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময়ই অনেক কিছু শিখছিলাম। উনিও বলছিলেন, এভাবে-ওভাবে করলে ভালো হবে। উপভোগ করেছি অনেক।
তাওহিদ হৃদয় আরও বলেন, যখন মনে হয়েছে কিছু জানার দরকার, তখন জিজ্ঞাসা করেছি যে ভাই কী করলে ভালো হয়। সাকিব ভাই বলেছেন, ‘এটা ওভাবে করতে পারি।’ এছাড়াও সবসময় বলছিলেন যে, ‘ভালো হয়েছে, ধরে রাখ। যতটা লম্বা করা যায় ইনিংস।