পাকিস্তানকে নিরাশ করে সিরিজ জিতল আফগানিস্তান
স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ মার্চ ২০২৩, ০২:২৪:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিল আফগানিস্তান। দ্বিতীয়ম্যাচ একবার আফগানিস্তানের দিকে হেলে তো আরেকবার পাকিস্তানের দিকে। এই ম্যাচে শেষ ২ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। সেখান থেকে শেষ ৬ বলে ৫। আর শেষ ২ বলে আফগানদের প্রয়োজন ছিল ২।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য শেষ হাসিটা আফগানরাই হেসেছে। ১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে তারা পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। সে সঙ্গে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে রশিদ খানের দল।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম তিন দেখায় তিনটিতেই পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল আফগানিস্তান। গত শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে আফগানিস্তান। এবার সিরিজও নিজেদের করে নিল তারা। এখন শেষ ম্যাচে জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগও রয়েছে আফগানদের।
লক্ষ্য তাড়ায় ২ ওভারেই ১৮ রান তুলে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানিস্তান। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে গিয়ে আফগানদের প্রথম ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। নভিন-উল-হককে ফিরিয়ে দেন ইমাদ ওয়াসিম। উইকেট হারিয়েও অবশ্য রানের গতি শ্লথ করেনি আফগানিস্তান। প্রথম ৬ ওভারে তারা করে ৪৫ রান। জুটি গড়ে দলকে টেনে নেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জারদান। ১০ ওভার শেষে তারা দলকে নিয়ে যান ৬৬ রানে।
তবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান ও বলের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ৭.৪ ওভার থেকে ১৫.৩ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি পায়নি আফগানরা। এর মাঝে রানআউট হয়ে ফিরে যান ৪৪ রান করা গুরবাজও। দলীয় ১০২ রানে ফিরে যান ৩৮ করা ইব্রাহিমও। তাকে ফেরান ইহসানউল্লাহ। তবে ১৯তম ওভারে চাপের মুখে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচের রূপ বদলে দেয় আফগানিস্তান। আর রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারের ৫ম বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন জারদান।
শারজায় টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে আগের ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই যেন আজকের ম্যাচটি শুরু করে আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সিয়াম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিককে ফিরিয়ে হ্যাট্রটিকের সম্ভাবনা জাগানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দেন ফজলহক ফারুকি। প্রথম ওভারে কোনো রান না করেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অফ স্টাম্পের বাইরে বল খোঁচা দেন সিয়াম। দারুণ ক্যাচে বাকি কাজ সম্পন্ন করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
ফারুকির পরের বলটিকে লেগ সাইডে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন শফিক। কিন্তু টাইমিং গড়বড় করায় সেটি সরাসরি আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ারের দেওয়া এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়েও বদলাতে পারেননি শফিক। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে অবশ্য ১৮ রান করে কিছুটা চাপ কমায় পাকিস্তান। ২ চার ও ১ ছক্কায় একাই ১৫ রান করেন মোহাম্মদ হারিস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাকিস্তানকে নিরাশ করে সিরিজ জিতল আফগানিস্তান
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিল আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচ একবার আফগানিস্তানের দিকে হেলে তো আরেকবার পাকিস্তানের দিকে। এই ম্যাচে শেষ ২ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। সেখান থেকে শেষ ৬ বলে ৫। আর শেষ ২ বলে আফগানদের প্রয়োজন ছিল ২।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য শেষ হাসিটা আফগানরাই হেসেছে। ১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে তারা পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। সে সঙ্গে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে রশিদ খানের দল।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম তিন দেখায় তিনটিতেই পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল আফগানিস্তান। গত শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে আফগানিস্তান। এবার সিরিজও নিজেদের করে নিল তারা। এখন শেষ ম্যাচে জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগও রয়েছে আফগানদের।
লক্ষ্য তাড়ায় ২ ওভারেই ১৮ রান তুলে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানিস্তান। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে গিয়ে আফগানদের প্রথম ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। নভিন-উল-হককে ফিরিয়ে দেন ইমাদ ওয়াসিম। উইকেট হারিয়েও অবশ্য রানের গতি শ্লথ করেনি আফগানিস্তান। প্রথম ৬ ওভারে তারা করে ৪৫ রান। জুটি গড়ে দলকে টেনে নেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জারদান। ১০ ওভার শেষে তারা দলকে নিয়ে যান ৬৬ রানে।
তবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান ও বলের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ৭.৪ ওভার থেকে ১৫.৩ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি পায়নি আফগানরা। এর মাঝে রানআউট হয়ে ফিরে যান ৪৪ রান করা গুরবাজও। দলীয় ১০২ রানে ফিরে যান ৩৮ করা ইব্রাহিমও। তাকে ফেরান ইহসানউল্লাহ। তবে ১৯তম ওভারে চাপের মুখে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচের রূপ বদলে দেয় আফগানিস্তান। আর রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারের ৫ম বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন জারদান।
শারজায় টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে আগের ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই যেন আজকের ম্যাচটি শুরু করে আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সিয়াম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিককে ফিরিয়ে হ্যাট্রটিকের সম্ভাবনা জাগানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দেন ফজলহক ফারুকি। প্রথম ওভারে কোনো রান না করেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অফ স্টাম্পের বাইরে বল খোঁচা দেন সিয়াম। দারুণ ক্যাচে বাকি কাজ সম্পন্ন করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
ফারুকির পরের বলটিকে লেগ সাইডে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন শফিক। কিন্তু টাইমিং গড়বড় করায় সেটি সরাসরি আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ারের দেওয়া এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়েও বদলাতে পারেননি শফিক। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে অবশ্য ১৮ রান করে কিছুটা চাপ কমায় পাকিস্তান। ২ চার ও ১ ছক্কায় একাই ১৫ রান করেন মোহাম্মদ হারিস।