ফেন্সিংয়ে পদক জয়ের সাহস নেই, ভালো কিছুর প্রত্যাশা
হাতে তলোয়ার। মুখে মুখোশ। শরীরজুড়ে বর্ম। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে একের পর এক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের ফেন্সিংয়ের পোস্টার গার্ল ফাতেমা মুজিব।
হাংজু এশিয়ান গেমসের জন্য মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে দুইবেলা অনুশীলন করছেন ফাতেমাসহ তিনজন ফেন্সার। তবে ক্লান্তিহীন এই লড়াই এশিয়াডের মতো বড় আসরে পদকের দু:সাহস নয়, ভালো কিছু করা।
ফাতেমার কথায়- ‘এশিয়ান গেমস অনেক বড় বিষয়। সেখানে আমরা হয়তো পদক জিততে পারব না। তবে ভালো করার প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের মূল লক্ষ্য আসন্ন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসেও পদক ধরে রাখা।’
২০১৯ সালে নেপাল এসএ গেমসে বাংলাদেশের চমকের অন্যতম একটি নাম ছিল ফাতেমা মুজিব। ফেন্সিংয়ের সাবরে ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে হইচই ফেলে দেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের ফেন্সিংয়ে আসে নতুন জোয়ার। দেশের মানুষ জানতে শুরু করে ফেন্সিং নিয়ে। এক সময়কার অপরিচিত এই খেলাটি এখন অনেকটাই জনপ্রিয়।
এসএ গেমসে ভালো করায় গত বছর তুরস্কের কোনিয়ায় অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে পাঠানো হয়েছিল ফাতেমা মুজিবকে। এবার প্রথমবারের মতো দেশের ফেন্সিং যাচ্ছে এশিয়ান গেমসে। হাংজু এশিয়াডে পদকের লক্ষ্য না থাকলেও ভালো করার প্রত্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে কোচ জোসেফ সালুলেকেকে।
২ আগস্ট ঢাকায় এসেই দায়িত্ব নিয়েছেন এশিয়াড দলে থাকা ফাতেমা মুজিব, ফারজানা ইয়াসমিন নিপা ও রুখসানা খাতুনদের। সবাই সাবরে ইভেন্টের ফেন্সার। এতদিন স্থানীয় কোচ জাহিদ হোসেনের তত্বাবধানে অনুশীলন করেছেন তারা।
তবে নতুন গেমস, নতুন কোচ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ফাতেমা, ‘এশিয়ান গেমসে আমাদের প্রথম যাত্রা। কোচও বিদেশি পেয়েছি। তাই নিজেদের ভালোমতো ঝালাই করে নিচ্ছি।’
জানা গেছে, ফেন্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম শোয়েব চৌধুরীর নিজ উদ্যোগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছে এই কোচকে। গেমসের আগ পর্যন্ত মেয়েদের তিনিই অনুশীলন করাবেন। তবে হাংজুতে তিনি যাচ্ছেন না। আগেই কোচের নাম পাঠানোয় যেতে পারছেন না তিনি।
গেমসের পর ক্যাম্পে থাকা বাকি নয়জনকে তিনি অনুশীলন করাবেন। কারণ আগামী এসএ গেমসেও স্বর্ণপদক ধরে রাখতে চান কর্মকর্তারা। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা বলেন, ‘এসএ গেমসে পদক ধরে রাখার মিশনেই সভাপতি এই কোচকে এনেছেন। যদি কোচের মান ভালো হয়, তাহলে এসএ গেমস পর্যন্ত তাকে রাখা হতে পারে। আশাকরি আমরা লক্ষ্যে পৌঁছব।’
ফেন্সিংয়ে পদক জয়ের সাহস নেই, ভালো কিছুর প্রত্যাশা
স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০২৩, ২১:৪৯:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
হাতে তলোয়ার। মুখে মুখোশ। শরীরজুড়ে বর্ম। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে একের পর এক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের ফেন্সিংয়ের পোস্টার গার্ল ফাতেমা মুজিব।
হাংজু এশিয়ান গেমসের জন্য মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে দুইবেলা অনুশীলন করছেন ফাতেমাসহ তিনজন ফেন্সার। তবে ক্লান্তিহীন এই লড়াই এশিয়াডের মতো বড় আসরে পদকের দু:সাহস নয়, ভালো কিছু করা।
ফাতেমার কথায়- ‘এশিয়ান গেমস অনেক বড় বিষয়। সেখানে আমরা হয়তো পদক জিততে পারব না। তবে ভালো করার প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের মূল লক্ষ্য আসন্ন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসেও পদক ধরে রাখা।’
২০১৯ সালে নেপাল এসএ গেমসে বাংলাদেশের চমকের অন্যতম একটি নাম ছিল ফাতেমা মুজিব। ফেন্সিংয়ের সাবরে ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে হইচই ফেলে দেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের ফেন্সিংয়ে আসে নতুন জোয়ার। দেশের মানুষ জানতে শুরু করে ফেন্সিং নিয়ে। এক সময়কার অপরিচিত এই খেলাটি এখন অনেকটাই জনপ্রিয়।
এসএ গেমসে ভালো করায় গত বছর তুরস্কের কোনিয়ায় অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে পাঠানো হয়েছিল ফাতেমা মুজিবকে। এবার প্রথমবারের মতো দেশের ফেন্সিং যাচ্ছে এশিয়ান গেমসে। হাংজু এশিয়াডে পদকের লক্ষ্য না থাকলেও ভালো করার প্রত্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে কোচ জোসেফ সালুলেকেকে।
২ আগস্ট ঢাকায় এসেই দায়িত্ব নিয়েছেন এশিয়াড দলে থাকা ফাতেমা মুজিব, ফারজানা ইয়াসমিন নিপা ও রুখসানা খাতুনদের। সবাই সাবরে ইভেন্টের ফেন্সার। এতদিন স্থানীয় কোচ জাহিদ হোসেনের তত্বাবধানে অনুশীলন করেছেন তারা।
তবে নতুন গেমস, নতুন কোচ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ফাতেমা, ‘এশিয়ান গেমসে আমাদের প্রথম যাত্রা। কোচও বিদেশি পেয়েছি। তাই নিজেদের ভালোমতো ঝালাই করে নিচ্ছি।’
জানা গেছে, ফেন্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম শোয়েব চৌধুরীর নিজ উদ্যোগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছে এই কোচকে। গেমসের আগ পর্যন্ত মেয়েদের তিনিই অনুশীলন করাবেন। তবে হাংজুতে তিনি যাচ্ছেন না। আগেই কোচের নাম পাঠানোয় যেতে পারছেন না তিনি।
গেমসের পর ক্যাম্পে থাকা বাকি নয়জনকে তিনি অনুশীলন করাবেন। কারণ আগামী এসএ গেমসেও স্বর্ণপদক ধরে রাখতে চান কর্মকর্তারা। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা বলেন, ‘এসএ গেমসে পদক ধরে রাখার মিশনেই সভাপতি এই কোচকে এনেছেন। যদি কোচের মান ভালো হয়, তাহলে এসএ গেমস পর্যন্ত তাকে রাখা হতে পারে। আশাকরি আমরা লক্ষ্যে পৌঁছব।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023