শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের চালু
পরামর্শক কমিটির একগুচ্ছ সুপারিশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকা দেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এসব সুপারিশ দিয়েছে এই কমিটি, যা লিখিত আকারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান সংক্রমণ এবং টিকাদান পরিস্থিতির পাশাপাশি স্কুল খোলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে আমরা সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্মত হয়েছি। কিছু দিক অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে। বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো আমরা আজই (শুক্রবার) পাঠিয়ে দেব।’
সূত্র জানিয়েছে, কমিটি বেশ কয়েক পৃষ্ঠার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বা করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের জন্য পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকা নেননি, তাদেরকে তা নিতে হবে; প্রতিদিন সবাইকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনা যাবে না; এখন কেবল এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ছয় দিন ক্লাস করবেন, আর বাকিরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন ক্লাসে যাবেন; শ্রেণিকক্ষে বসার আকার আগের চেয়ে ছোট হবে; বসানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে, এ ক্ষেত্রে কোনাকুনি বা ‘জিকজ্যাক’ সিস্টেমে বসাতে হবে; ঢোকার ও প্রবেশের পথ আলাদা থাকবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো জটলা করা যাবে না। অর্থাৎ অ্যাসেম্বলি ধরনের কোনো কর্মসূচি থাকবে না; স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে; ওয়াশরুম পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে; ৫ বছরের উপরের বয়সিরা মাস্ক পরবেন, তবে তা তদারকি করবেন শিক্ষকরা; স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত দিকগুলো নিয়মিত তদারকি করতে হবে, পারলে তা প্রতিবেদন আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। এমনকি স্কুল খুলে দেওয়ার পরে দৈনিক বাধ্যতামূলক প্রতিবেদন পাঠানোর বিষয় আছে। এটা এজন্য যে, সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।’
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর ইতোমধ্যে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতঃপূর্বে বলেছেন ১৮ বছরের বেশি বয়সিরা টিকা পাবেন। এখন ১২ বছরের বেশি বয়সিদেরও টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করতে বলেছেন। সব টিকা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া যায় না। যেগুলো দেওয়া যায়, সেগুলো সরকার নিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে দেব।’
সরকারি প্রস্তুতি : শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, খোলার প্রস্তুতি চলছে দুই ভাগে। একটি খোলার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ এবং পরে কীভাবে চলবে; আরেকটি টিকা প্রদান। গত ফেব্র“য়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট তিনদফা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিবারই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতের জন্য বলা হয়। এ লক্ষ্যে ইতঃপূর্বে তৈরি ৪২ পৃষ্ঠার গাইডলাইনও পাঠানো হয়েছে।
খোলার কর্মসূচি হিসাবে কোথাও মেরামত ও সংস্কার কাজ প্রয়োজন হলে তা শেষ করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাকে নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করতে হবে। এ কাজের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি আরও বলেন, খোলার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা কীভাবে পরিচালিত হবে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা (গাইডলাইন) আমরা পাঠিয়েছি। সেটা অনুসরণ করে শ্রেণি ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বিশেষ করে আবাসিক হলগুলো বসবাসের অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা করেছে সরকার। এজন্য খোলার প্রস্তুতি হিসাবে হল ও অন্যান্য স্থাপনা সংস্কার, মেরামত ও প্রয়োজনীয় চুনকাম করতে বলেছে। এই কাজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান যুগান্তরকে বলেন, দেশের ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০টি আবাসিক হল আছে। সেগুলোতে ১ লাখ ৩২ থেকে ৩৫ হাজার আবাসিক ছাত্রছাত্রী আছেন। তাদের বসবাসের উপযোগী করতে হলগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সংস্কার হয়েছে বলে আমাদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে পাশাপাশি পরীক্ষা ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় একটি পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। সেটি অনুযায়ী ক্লাস শুরুর দুই মাসের মধ্যে কোনো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হবে না। এসএসসি পরীক্ষা হবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হবে এইচএসসি পরীক্ষা। পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
অন্যদিকে খোলার পরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৫ দিন আর দশম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৬ দিনই যাবে স্কুল-কলেজে। বর্তমানে দশমে ও দ্বাদশে দুটি করে ব্যাচ আছে। এদের একটি এবারের পরীক্ষার্থী। আরেকটি ব্যাচ আগামী বছরের পরীক্ষার্থী। আগামী বছরের ফেব্র“য়ারি ও এপ্রিলে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা আছে।
অন্যদিকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে সপ্তাহে দুইদিন। আর প্রথম-চতুর্থ এবং ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একদিন যাবে ক্লাসে। আপাতত ৪ বছর বয়সিরা ক্লাসে যাবে না।
পরামর্শক কমিটির একগুচ্ছ সুপারিশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের চালু
মুসতাক আহমদ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকা দেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এসব সুপারিশ দিয়েছে এই কমিটি, যা লিখিত আকারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান সংক্রমণ এবং টিকাদান পরিস্থিতির পাশাপাশি স্কুল খোলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে আমরা সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্মত হয়েছি। কিছু দিক অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে। বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো আমরা আজই (শুক্রবার) পাঠিয়ে দেব।’
সূত্র জানিয়েছে, কমিটি বেশ কয়েক পৃষ্ঠার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বা করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের জন্য পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকা নেননি, তাদেরকে তা নিতে হবে; প্রতিদিন সবাইকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনা যাবে না; এখন কেবল এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ছয় দিন ক্লাস করবেন, আর বাকিরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন ক্লাসে যাবেন; শ্রেণিকক্ষে বসার আকার আগের চেয়ে ছোট হবে; বসানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে, এ ক্ষেত্রে কোনাকুনি বা ‘জিকজ্যাক’ সিস্টেমে বসাতে হবে; ঢোকার ও প্রবেশের পথ আলাদা থাকবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো জটলা করা যাবে না। অর্থাৎ অ্যাসেম্বলি ধরনের কোনো কর্মসূচি থাকবে না; স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে; ওয়াশরুম পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে; ৫ বছরের উপরের বয়সিরা মাস্ক পরবেন, তবে তা তদারকি করবেন শিক্ষকরা; স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত দিকগুলো নিয়মিত তদারকি করতে হবে, পারলে তা প্রতিবেদন আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। এমনকি স্কুল খুলে দেওয়ার পরে দৈনিক বাধ্যতামূলক প্রতিবেদন পাঠানোর বিষয় আছে। এটা এজন্য যে, সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।’
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর ইতোমধ্যে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতঃপূর্বে বলেছেন ১৮ বছরের বেশি বয়সিরা টিকা পাবেন। এখন ১২ বছরের বেশি বয়সিদেরও টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করতে বলেছেন। সব টিকা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া যায় না। যেগুলো দেওয়া যায়, সেগুলো সরকার নিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে দেব।’
সরকারি প্রস্তুতি : শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, খোলার প্রস্তুতি চলছে দুই ভাগে। একটি খোলার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ এবং পরে কীভাবে চলবে; আরেকটি টিকা প্রদান। গত ফেব্র“য়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট তিনদফা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিবারই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতের জন্য বলা হয়। এ লক্ষ্যে ইতঃপূর্বে তৈরি ৪২ পৃষ্ঠার গাইডলাইনও পাঠানো হয়েছে।
খোলার কর্মসূচি হিসাবে কোথাও মেরামত ও সংস্কার কাজ প্রয়োজন হলে তা শেষ করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাকে নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করতে হবে। এ কাজের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি আরও বলেন, খোলার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা কীভাবে পরিচালিত হবে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা (গাইডলাইন) আমরা পাঠিয়েছি। সেটা অনুসরণ করে শ্রেণি ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বিশেষ করে আবাসিক হলগুলো বসবাসের অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা করেছে সরকার। এজন্য খোলার প্রস্তুতি হিসাবে হল ও অন্যান্য স্থাপনা সংস্কার, মেরামত ও প্রয়োজনীয় চুনকাম করতে বলেছে। এই কাজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান যুগান্তরকে বলেন, দেশের ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০টি আবাসিক হল আছে। সেগুলোতে ১ লাখ ৩২ থেকে ৩৫ হাজার আবাসিক ছাত্রছাত্রী আছেন। তাদের বসবাসের উপযোগী করতে হলগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সংস্কার হয়েছে বলে আমাদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে পাশাপাশি পরীক্ষা ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় একটি পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। সেটি অনুযায়ী ক্লাস শুরুর দুই মাসের মধ্যে কোনো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হবে না। এসএসসি পরীক্ষা হবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হবে এইচএসসি পরীক্ষা। পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
অন্যদিকে খোলার পরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৫ দিন আর দশম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৬ দিনই যাবে স্কুল-কলেজে। বর্তমানে দশমে ও দ্বাদশে দুটি করে ব্যাচ আছে। এদের একটি এবারের পরীক্ষার্থী। আরেকটি ব্যাচ আগামী বছরের পরীক্ষার্থী। আগামী বছরের ফেব্র“য়ারি ও এপ্রিলে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা আছে।
অন্যদিকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে সপ্তাহে দুইদিন। আর প্রথম-চতুর্থ এবং ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একদিন যাবে ক্লাসে। আপাতত ৪ বছর বয়সিরা ক্লাসে যাবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023