আমার পুরস্কারটি জাতির পিতাকে উৎসর্গ করতে চাই
হ্যালো...
সোহেল আহসান
১০ মার্চ ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক আতাউর রহমান। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালের স্বাধীনতা পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অভিনয় এবং নাট্য রচনাতেও তার ব্যস্ততা আছে। আগামী একুশের গ্রন্থমেলায় তার লেখা একাধিক বই প্রকাশ হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়েই আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* আবারও রাষ্ট্রীয় পদক (স্বাধীনতা পুরস্কার) পাচ্ছেন। অনুভূতি কী?
** আমি স্বাধীনতা পুরস্কার পেলাম আমাদের জীবনের একটি স্মরণীয় সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে। আমার এ পরিণত বয়সে নিজ কানে জাতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা শুনে যেতে পারছি, এটাই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।
* এ পদক কাকে উৎসর্গ করছেন?
** পদকটি আমাদের মহামানব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পদপ্রান্তে স্থাপন করে ধন্য হতে চাই। কারণ তার নেতৃত্বের কারণেই আজ স্বাধীন দেশের বাসিন্দা আমি এবং আমরা।
* নাটকে আপনার অভিনয়ের ব্যস্ততা কেমন?
** বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটকে নিয়মিতই অভিনয় করি। অন্যান্য চ্যানেলে ‘কথামালা’র অনুষ্ঠান করি। মঞ্চে এখনো অভিনয় করছি। ‘ডিয়ার লায়ার’ নাটক এবং নির্দেশনার কাজ নিয়মিত এখনো করছি।
* লেখক হিসাবেও আপনার পরিচিতি আছে। নতুন কী লিখছেন?
** লেখালেখি তো করছি। তিনটি প্রবন্ধ ও দুটি কবিতার বই মাস দুয়েকের মধ্যে বের হবে। একটি বই ‘বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে, আরেকটি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। অন্যটিতে থাকবে বিভিন্ন প্রসঙ্গ। আমি প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে কবিতা লিখি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর বিবিধ প্রসঙ্গের বইটি বইমেলায় যাবে, এমনটি আশা করছি।
* সিনেমায় কিন্তু আপনাকে এখন দেখাই যায় না?
** সিনেমায় অভিনয়ের প্রতি আমার আকর্ষণ কম। তরুণ বয়সে মাত্র দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়মিতই পাই। তবে আগ্রহ না থাকায় সবিনয়ে সেসব কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেই।
* এ পর্যায়ে এসে জীবন নিয়ে আপনার উপলব্ধি কী?
** আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখানে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দেশের মৃত্তিকায় চিরনিদ্রায় শায়িত হতে চাই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হ্যালো...
আমার পুরস্কারটি জাতির পিতাকে উৎসর্গ করতে চাই
অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক আতাউর রহমান। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালের স্বাধীনতা পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অভিনয় এবং নাট্য রচনাতেও তার ব্যস্ততা আছে। আগামী একুশের গ্রন্থমেলায় তার লেখা একাধিক বই প্রকাশ হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়েই আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* আবারও রাষ্ট্রীয় পদক (স্বাধীনতা পুরস্কার) পাচ্ছেন। অনুভূতি কী?
** আমি স্বাধীনতা পুরস্কার পেলাম আমাদের জীবনের একটি স্মরণীয় সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে। আমার এ পরিণত বয়সে নিজ কানে জাতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা শুনে যেতে পারছি, এটাই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।
* এ পদক কাকে উৎসর্গ করছেন?
** পদকটি আমাদের মহামানব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পদপ্রান্তে স্থাপন করে ধন্য হতে চাই। কারণ তার নেতৃত্বের কারণেই আজ স্বাধীন দেশের বাসিন্দা আমি এবং আমরা।
* নাটকে আপনার অভিনয়ের ব্যস্ততা কেমন?
** বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটকে নিয়মিতই অভিনয় করি। অন্যান্য চ্যানেলে ‘কথামালা’র অনুষ্ঠান করি। মঞ্চে এখনো অভিনয় করছি। ‘ডিয়ার লায়ার’ নাটক এবং নির্দেশনার কাজ নিয়মিত এখনো করছি।
* লেখক হিসাবেও আপনার পরিচিতি আছে। নতুন কী লিখছেন?
** লেখালেখি তো করছি। তিনটি প্রবন্ধ ও দুটি কবিতার বই মাস দুয়েকের মধ্যে বের হবে। একটি বই ‘বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে, আরেকটি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। অন্যটিতে থাকবে বিভিন্ন প্রসঙ্গ। আমি প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে কবিতা লিখি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর বিবিধ প্রসঙ্গের বইটি বইমেলায় যাবে, এমনটি আশা করছি।
* সিনেমায় কিন্তু আপনাকে এখন দেখাই যায় না?
** সিনেমায় অভিনয়ের প্রতি আমার আকর্ষণ কম। তরুণ বয়সে মাত্র দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়মিতই পাই। তবে আগ্রহ না থাকায় সবিনয়ে সেসব কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেই।
* এ পর্যায়ে এসে জীবন নিয়ে আপনার উপলব্ধি কী?
** আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখানে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দেশের মৃত্তিকায় চিরনিদ্রায় শায়িত হতে চাই।