করোনা সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিচ্ছে
হ্যালো...
অভিনেত্রী হিসাবেই পরিচিত ও জনপ্রিয় অরুণা বিশ্বাস। তবে নির্মাতা হিসাবেও কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। গত বছরের শেষ দিকে দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া নাটক-সিনেমায় এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন। অভিনয় এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
সোহেল আহসান
০৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
* করোনার এ দুঃসময় কেমন কাটছে?
** অন্য কোনো পেশায় থাকলে হয়তো বিকল্প চিন্তা করতাম। কিন্তু অভিনয় যেহেতু পেশা, তাই কতদিনই আর ঘরে বসে থাকা যায়। অভিনয়ের জন্য নিয়মিত ঘরের বাইরে বের হচ্ছি, শুটিং করছি। চেষ্টা করছি নিরাপদ থাকার। তবে দলগত কাজ করতে সবার মধ্যে সচেতনতা থাকা দরকার।
*এখন কীসের শুটিং করছেন?
** ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় ‘অন্তরাত্মা’ নামে একটি নতুন ছবির শুটিং করলাম পাবনায়। পুরো ছবির শুটিংই এক জায়গায় সম্পন্ন হয়েছে।
* দীর্ঘ বিরতির পর আপনার অভিনীত ‘শান’ নামে নতুন একটি ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। এটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
** এ রাহিমের পরিচালনায় এ ছবির শুটিং শেষ করেছিলাম করোনাকাল শুরু হওয়ার আগেই। যেহেতু এটি ঈদে মুক্তি পাবে, তাই বিপুলসংখ্যক দর্শকের চোখে পড়বে ছবিটি। যদি প্রেক্ষাগৃহ খোলা থাকে এবং ছবিটি মুক্তি পায়, তাহলে দর্শক আগ্রহ নিয়েই ছবিটি দেখবেন বলে আমি মনে করছি।
* নাটকেও তো নিয়মিত অভিনয় করছেন?
** হ্যাঁ। ধারাবাহিক নাটকের কাজই বেশি করছি। গত মাসে অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘এখানে কেউ থাকে না’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেছি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। নাটকের গল্প থেকে শুরু করে সবকিছুই বেশ গোছানো ছিল। এতে আমার সহশিল্পী যারা ছিলেন তারা প্রত্যেকেই গুণী অভিনয়শিল্পী হিসাবে পরিচিত। তাদের সাহচার্য পেলাম দীর্ঘদিন পর। অনেকটা খোশ মেজাজেই শুটিং করেছি নাটকটিতে। এটি বিটিভিতে প্রচার হবে।
* নাট্য নির্মাতা হিসাবেও আপনার কাজের অভিজ্ঞতা আছে। এখন নাটক নির্মাণ করছেন না কেন?
** আসলে করোনাই সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিচ্ছে। একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম; কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরু হয়ে যাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। কারণ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করতে গেলে অনেক শ্রম এবং অনেক মানুষের সমন্বয় করতে হয়, যা এ পরিস্থিতিতে কিছুটা কঠিনই। তবে গত বছর দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেছি। এগুলোর নাম ‘এক আজলা আগুন’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’। আপাতত পরিচালনা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হ্যালো...
করোনা সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিচ্ছে
অভিনেত্রী হিসাবেই পরিচিত ও জনপ্রিয় অরুণা বিশ্বাস। তবে নির্মাতা হিসাবেও কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। গত বছরের শেষ দিকে দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া নাটক-সিনেমায় এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন। অভিনয় এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* করোনার এ দুঃসময় কেমন কাটছে?
** অন্য কোনো পেশায় থাকলে হয়তো বিকল্প চিন্তা করতাম। কিন্তু অভিনয় যেহেতু পেশা, তাই কতদিনই আর ঘরে বসে থাকা যায়। অভিনয়ের জন্য নিয়মিত ঘরের বাইরে বের হচ্ছি, শুটিং করছি। চেষ্টা করছি নিরাপদ থাকার। তবে দলগত কাজ করতে সবার মধ্যে সচেতনতা থাকা দরকার।
*এখন কীসের শুটিং করছেন?
** ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় ‘অন্তরাত্মা’ নামে একটি নতুন ছবির শুটিং করলাম পাবনায়। পুরো ছবির শুটিংই এক জায়গায় সম্পন্ন হয়েছে।
* দীর্ঘ বিরতির পর আপনার অভিনীত ‘শান’ নামে নতুন একটি ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। এটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
** এ রাহিমের পরিচালনায় এ ছবির শুটিং শেষ করেছিলাম করোনাকাল শুরু হওয়ার আগেই। যেহেতু এটি ঈদে মুক্তি পাবে, তাই বিপুলসংখ্যক দর্শকের চোখে পড়বে ছবিটি। যদি প্রেক্ষাগৃহ খোলা থাকে এবং ছবিটি মুক্তি পায়, তাহলে দর্শক আগ্রহ নিয়েই ছবিটি দেখবেন বলে আমি মনে করছি।
* নাটকেও তো নিয়মিত অভিনয় করছেন?
** হ্যাঁ। ধারাবাহিক নাটকের কাজই বেশি করছি। গত মাসে অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘এখানে কেউ থাকে না’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেছি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। নাটকের গল্প থেকে শুরু করে সবকিছুই বেশ গোছানো ছিল। এতে আমার সহশিল্পী যারা ছিলেন তারা প্রত্যেকেই গুণী অভিনয়শিল্পী হিসাবে পরিচিত। তাদের সাহচার্য পেলাম দীর্ঘদিন পর। অনেকটা খোশ মেজাজেই শুটিং করেছি নাটকটিতে। এটি বিটিভিতে প্রচার হবে।
* নাট্য নির্মাতা হিসাবেও আপনার কাজের অভিজ্ঞতা আছে। এখন নাটক নির্মাণ করছেন না কেন?
** আসলে করোনাই সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিচ্ছে। একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম; কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরু হয়ে যাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। কারণ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করতে গেলে অনেক শ্রম এবং অনেক মানুষের সমন্বয় করতে হয়, যা এ পরিস্থিতিতে কিছুটা কঠিনই। তবে গত বছর দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেছি। এগুলোর নাম ‘এক আজলা আগুন’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’। আপাতত পরিচালনা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।