নতুন অনেকের মধ্যেই আমি সম্ভাবনা দেখছি
অভিনেত্রী, নির্মাতা ও প্রযোজক- তিন পরিচয়েই সমৃদ্ধ সুচন্দা। বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। বর্তমানে অনেকটা সুস্থ। অভিনয়ে অনুপস্থিত থাকলেও পরিচালনার কাজ নিয়ে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। এ ছাড়া পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছেন। এসব বিষয় নিয়েই আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* আপনি তো দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন। এখন কেমন আছেন?
** করোনার তাণ্ডবের মধ্যেই আমি ওপেন হার্ট সার্জারি করেছিলাম। এ কারণে দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে বের হইনি। এখন সবার দোয়া ও আল্লাহর রহমতে বেশ সুস্থ অনুভব করছি। তবে এখনো চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই জীবনযাপন করছি।
* পরিবার এবং পারিপার্শ্বিক জগতের কাজে কেমন সময় দিচ্ছেন?
** ঘুমানো ছাড়া প্রায় পুরোটা সময়ই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকছি। একজন সচেতন মানুষের নিজের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে হয়। এ বিষয়গুলোর সঙ্গে আমার অভ্যস্থতা অনেক আগের। আর পরিবারের বড় সন্তান হওয়ার কারণে অনেক দায়িত্ব এমনিতেই চলে আসে। বাবা-মা বেঁচে থাকার সময় তারা যে ধরনের দায়িত্ব পালন করতেন, সেগুলোই আমাকে দেখতে হয়। তবে এ কাজগুলো করতে আমি আনন্দ পাই। অবসর আমার একদমই ভালো লাগে না।
* নতুন সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন বেশ আগে। সেটির অগ্রগতি কী?
** জহির রায়হান সাহেবের ‘বরফ গলা নদী’ নামে গল্পটি আমি অনেকবার পড়েছি। এটিই সিনেমার পর্দায় তুলে ধরার ইচ্ছা ছিল। তবে মোটেও সহজ নয় এটি পর্দায় তুলে ধরা। তা ছাড়া বড় ক্যানভাসে এটি নির্মাণ করতে হবে। আমি একা এ কাজটি সম্পন্ন করতে পারব না। যদিও এটির স্ক্রিপ্ট তৈরি করে রেখেছি অনেক আগেই। করোনাকাল না এলে হয়তো এরইমধ্যে সিনেমাটির কাজ শুরুও করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে নয়। গ্রহণযোগ্য একটি সিনেমা বানাতে চাই। তার জন্য অন্যান্য অনুষঙ্গের মতো অর্থও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
* সিনেমার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আশাবাদ কী?
** আমি ইতিবাচক চিন্তার মানুষ। তাই সিনেমার উন্নতি নিয়ে আশাবাদী। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে উন্নত করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যারা এ অঙ্গনে কাজ করছে, এদের অনেকের মধ্যেই আমি সম্ভাবনা দেখছি। তা ছাড়া আরও একঝাঁক তরুণ এ অঙ্গনের কাজে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে পরিচালিত করতে হবে। তবেই চলচ্চিত্রের সোনালি দিন ফিরে আসবে। প্রযোজক এবং পরিচালকদেরও নিয়মিত কাজের মধ্যে থাকতে হবে, যেন আগের মতো ভালো এবং দর্শকদের বিনোদিত করার মতো সিনেমা তৈরি হতে থাকে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হ্যালো...
নতুন অনেকের মধ্যেই আমি সম্ভাবনা দেখছি
অভিনেত্রী, নির্মাতা ও প্রযোজক- তিন পরিচয়েই সমৃদ্ধ সুচন্দা। বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। বর্তমানে অনেকটা সুস্থ। অভিনয়ে অনুপস্থিত থাকলেও পরিচালনার কাজ নিয়ে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। এ ছাড়া পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছেন। এসব বিষয় নিয়েই আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* আপনি তো দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন। এখন কেমন আছেন?
** করোনার তাণ্ডবের মধ্যেই আমি ওপেন হার্ট সার্জারি করেছিলাম। এ কারণে দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে বের হইনি। এখন সবার দোয়া ও আল্লাহর রহমতে বেশ সুস্থ অনুভব করছি। তবে এখনো চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই জীবনযাপন করছি।
* পরিবার এবং পারিপার্শ্বিক জগতের কাজে কেমন সময় দিচ্ছেন?
** ঘুমানো ছাড়া প্রায় পুরোটা সময়ই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকছি। একজন সচেতন মানুষের নিজের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে হয়। এ বিষয়গুলোর সঙ্গে আমার অভ্যস্থতা অনেক আগের। আর পরিবারের বড় সন্তান হওয়ার কারণে অনেক দায়িত্ব এমনিতেই চলে আসে। বাবা-মা বেঁচে থাকার সময় তারা যে ধরনের দায়িত্ব পালন করতেন, সেগুলোই আমাকে দেখতে হয়। তবে এ কাজগুলো করতে আমি আনন্দ পাই। অবসর আমার একদমই ভালো লাগে না।
* নতুন সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন বেশ আগে। সেটির অগ্রগতি কী?
** জহির রায়হান সাহেবের ‘বরফ গলা নদী’ নামে গল্পটি আমি অনেকবার পড়েছি। এটিই সিনেমার পর্দায় তুলে ধরার ইচ্ছা ছিল। তবে মোটেও সহজ নয় এটি পর্দায় তুলে ধরা। তা ছাড়া বড় ক্যানভাসে এটি নির্মাণ করতে হবে। আমি একা এ কাজটি সম্পন্ন করতে পারব না। যদিও এটির স্ক্রিপ্ট তৈরি করে রেখেছি অনেক আগেই। করোনাকাল না এলে হয়তো এরইমধ্যে সিনেমাটির কাজ শুরুও করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে নয়। গ্রহণযোগ্য একটি সিনেমা বানাতে চাই। তার জন্য অন্যান্য অনুষঙ্গের মতো অর্থও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
* সিনেমার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আশাবাদ কী?
** আমি ইতিবাচক চিন্তার মানুষ। তাই সিনেমার উন্নতি নিয়ে আশাবাদী। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে উন্নত করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যারা এ অঙ্গনে কাজ করছে, এদের অনেকের মধ্যেই আমি সম্ভাবনা দেখছি। তা ছাড়া আরও একঝাঁক তরুণ এ অঙ্গনের কাজে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে পরিচালিত করতে হবে। তবেই চলচ্চিত্রের সোনালি দিন ফিরে আসবে। প্রযোজক এবং পরিচালকদেরও নিয়মিত কাজের মধ্যে থাকতে হবে, যেন আগের মতো ভালো এবং দর্শকদের বিনোদিত করার মতো সিনেমা তৈরি হতে থাকে।