ভালোবাসার যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তর। প্রতিষ্ঠার দুই যুগে পা রেখেছে এ বছর। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভলগ্নে যুগান্তরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। জানিয়েছেন যুগান্তরের প্রতি তাদের ভালোলাগা ও ভালোবাসার কথা। এর দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ হলো আজ।
যুগান্তরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। বলা যায় যুগান্তর ও আমার পাশাপাশি পথচলা। পত্রিকাটির বিনোদন বিভাগ তো বটে, এর পরিচালনা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাকে তারা অনেক ভালোবাসেন। এ জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবতীই বলব। এমনিতে আমার সব খবর যুগান্তর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। সিনেমার খবরও রাখে নিয়মিত। শুধু আমারই নয়, যুগান্তর বিনোদন মাধ্যমেই সব খবরই গুরুত্ব দেয়। একটা বিষয় লক্ষণীয়, যুগান্তরে আমি প্রায়শই নবীনদের খবর দেখি। এটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কারণ নবীনরাই এক সময় প্রতিষ্ঠা পাবে, রাজত্ব করবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
-অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
দেখতে দেখতে ২৩ বছর অতিবাহিত করল যুগান্তর, বিষয়টি অনেক আনন্দের। দেশের গণমাধ্যমে এখন যে অবস্থা, তাতে অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকা মুশকিল। কিন্তু যুগান্তর ঠিকই সাফল্যের সঙ্গে পথ চলছে। এটা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমি দেখেছি, পত্রিকাটি সব সময় চেষ্টা করেছে মানুষের পক্ষে কথা বলতে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে এখনো মানুষের প্রিয় পত্রিকা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সিনেমা দিয়েই যেহেতু আমার পরিচিতি, তাই এটা নিয়ে বলি, বিনোদনের ক্ষেত্র এখন অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় প্রিন্ট পত্রিকায় বিনোদনের স্পেস কিন্তু কমে গেছে। বিনোদন মানুষের অন্যতম অনুসঙ্গ, এটা ভুলে গেলে চলবে না। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এটা ভাবতে হবে। মানুষের চাহিদার দিকে নজর দিতে হবে। শুধু বিনোদনই নয়, সব ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজন্য। যদিও যুগান্তর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে সব সময়। থাকা উচিত। এটা গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও কর্তব্য। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যুগান্তর সবার পাশে থাকবে আমার বিশ্বাস। শুভ কামনা যুগান্তরের জন্য।
-আলমগীর, অভিনেতা
সিনেমায় কাজ করি বহু বছর। আমরা যখন শুরু করি, তখন হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাগাজিন ছিল, যাতে আমার সিনেমার খবর প্রকাশ হতো। নব্বই দশকের মাঝামাঝি দৈনিক পত্রিকায় বিনোদনের খবর প্রকাশ শুরু হলো। বিংশ শতাব্দীতে পত্রিকার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকল। তখনোই যুগান্তরের আগমন। সেই থেকে শুরু করে ২৩ বছর অতিক্রম করে ফেলল! দীর্ঘ সময় এটি। শুরু থেকেই যে দাপটের সঙ্গে পথ চলেছে যুগান্তর, এখনো সেটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই কর্তৃপক্ষ প্রশংসার দাবিদার। দীর্ঘদিন আমি অভিনয় নেই। কিন্তু আমার প্রিয় পরিবার ‘চলচ্চিত্র’র খবরগুলো গণমাধ্যমের কল্যাণেই পাই। তার মধ্যে যুগান্তর অন্যতম। চলচ্চিত্র, নাটক বা গান!-সবই প্রচার ও প্রসারে গণমাধ্যম বিরাট একটি ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যম হিসাবে যুগান্তরকে আমি পছন্দ করি। পত্রিকাটি সব সময় আমার খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি প্রত্যাশা করি নিজের কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে যুগান্তর।
-রোজিনা, অভিনেত্রী
কাজের ক্ষেত্রের পাশাপাশি এখন প্রচারমাধ্যমও বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে গণমাধ্যমের সংখ্যাও। কিন্ত মান ধরে রাখতে পারছে কটি প্রতিষ্ঠান? যুগান্তর সেটা সাফল্যের সঙ্গে করছে। কাজের ক্ষেত্রে চলতি পথে সব সময় যুগান্তরের সহযোগিতা পেয়েছি। যেতে যেতে দুই যুগে পা দিল পত্রিকাটি। আরও অনেকদূর এগিয়ে যাক যুগান্তর। সব সময় সুস্থ ধারার বিনোদন প্রচারের মুখপত্র হয়ে থাকবে যুগান্তরের বিনোদন বিভাগ। দুই যুগ পদার্পণ উপলক্ষ্যে আশা করব যুগান্তর যেন আগামীতেও আমাদের চলচ্চিত্রের পাশে থাকে। পাশাপাশি পথপরিক্রমার দীর্ঘ এ পথচলায় এতগুলো বছর পেরিয়ে আসায় শুভকামনা থাকল যুগান্তর পরিবারের জন্য।
-দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, অভিনেত্রী
আমি অনেক আগে থেকেই অভিনয়ে নেই। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততার ফাঁকে আমি দেশ ও বিদেশের খবর নেওয়ার চেষ্টা করি। চলচ্চিত্রের খবরও নিয়ে থাকি। দেশের ও চলচ্চিত্রের খবর নিতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমের সহযোগিতা লাগবে। অন্যান্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি যুগান্তর থেকেও সেটা পাই। কিছুটা ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে যুগান্তরের মধ্যে। নইলে ২৩ বছর টিকে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। আমি আশা করি যুগান্তর সব বিষয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখবে আগামীতেও।
-শাকিল খান, অভিনেতা
গত ২৩ বছর ধরে দৈনিক যুগান্তর সাফল্যের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। এখন যে অবস্থা তাতে কোনো প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা সহজ কথা নয়। যুগান্তর পারছে এবং করছে। এমনিতে সব সময় চেষ্টা করেছে পত্রিকাটি মানুষের কথা বলতে। আমিও সব সময় পাশে পেয়েছি। এখন তো প্রযুক্তির যুগ। এক ক্লিকেই খবর পাওয়া যায়। যুগান্তরও চেষ্টা করে আসছে অনলাইন ভার্সনেও সবার মাঝে সব রকম খবর পৌঁছে দিতে। সব সময় মানুষের কথা বলুক, শিল্পী সংস্কৃতির কথা বলুক এটাই প্রত্যাশা করি।
তাহসান, সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা
দৈনিক যুগান্তরের জন্য অনেক শুভকামনা। দিন দিন বেড়েই চলছে পত্রিকাটির বয়স। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুগান্তরের কাছে আমার অনুরোধ, তাদের বিনোদন বিভাগে আমাদের মঞ্চের জন্য যেন নিয়মিত কোনো সেগমেন্ট প্রকাশ করে। নাটকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। আশা করি এটি যুগান্তর পারবে। পত্রিকাটি সব সময় শিল্প-সংস্কৃতিবান্ধব হয়ে কাজ করে আসছে আগামীতেও করবে আমার বিশ্বাস। অনেক শুভকামনা যুগান্তর পরিবারের জন্য।
-আজিজুল হাকিম, অভিনেতা
যুগান্তরের জন্মের সময় আমি মিডিয়ায় আসিনি। কিন্তু আমার মিডিয়া-জন্ম যুগান্তর দেখেছে। দেখতে দেখতে যুগান্তরের বয়স চব্বিশ হয়ে গেল। বেশ লম্বা একটি সময়। শুরু থেকেই যুগান্তর বেশ প্রশংসা পেয়ে আসছে। আমিও ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যুগান্তরকে পাশে পেয়েছি। সংবাদ প্রকাশের বাইরেও যুগান্তর আমার খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুগান্তরকে আমি আমার পরিবারের একটি অংশ বলে মনে করি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুগান্তরকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। ভালোবাসা যুগান্তর পরিবারের জন্য।
তমা মির্জা, অভিনেত্রী
যুগান্তর আমার প্রিয় একটি পত্রিকা। আমি বলি যুগান্তর আমাদের পত্রিকা। এ পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম ভাইয়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। তাই সব সময়ই এ পত্রিকার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। বিশেষ করে পত্রিকার বিনোদন বিভাগ আমাকে সব সময় সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমাকে সাপোর্ট দেবে। শুধু বিনোদন সংবাদই নয়, যুগান্তর সব সময় মানুষের কথা বলার চেষ্টা করে আসছে। সামনেও বলবে আমার বিশ্বাস। শুভ কামনা যুগান্তর পরিবারের জন্য।
-এসডি রুবেল, সংগীতশিল্পী
আমার গানের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যুগান্তরের সান্নিধ্য পেয়েছি। সব সময় আমার খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৩ বছর অতিক্রম করল! এটা অবশ্যই দারুণ খবর। তবে যেতে হবে আরও অনেকদূর। শুরু থেকে যেমন করে যুগান্তর দেশ ও মানুষের কথা বলে এসেছে আগামী দিনগুলোতেও সেরকম কথা বলবে। শিল্প ও সংস্কৃতির কথা বলবে। বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ধরে রাখবে-এটাই প্রত্যাশা করি। একই সঙ্গে শুভ কামনা জানাই যুগান্তর পরিবারকে। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক যুগান্তর।
-মৌসুমী আক্তার সালমা, সংগীতশিল্পী
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভালোবাসার যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তর। প্রতিষ্ঠার দুই যুগে পা রেখেছে এ বছর। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভলগ্নে যুগান্তরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। জানিয়েছেন যুগান্তরের প্রতি তাদের ভালোলাগা ও ভালোবাসার কথা। এর দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ হলো আজ।
যুগান্তরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। বলা যায় যুগান্তর ও আমার পাশাপাশি পথচলা। পত্রিকাটির বিনোদন বিভাগ তো বটে, এর পরিচালনা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাকে তারা অনেক ভালোবাসেন। এ জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবতীই বলব। এমনিতে আমার সব খবর যুগান্তর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। সিনেমার খবরও রাখে নিয়মিত। শুধু আমারই নয়, যুগান্তর বিনোদন মাধ্যমেই সব খবরই গুরুত্ব দেয়। একটা বিষয় লক্ষণীয়, যুগান্তরে আমি প্রায়শই নবীনদের খবর দেখি। এটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কারণ নবীনরাই এক সময় প্রতিষ্ঠা পাবে, রাজত্ব করবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
-অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
দেখতে দেখতে ২৩ বছর অতিবাহিত করল যুগান্তর, বিষয়টি অনেক আনন্দের। দেশের গণমাধ্যমে এখন যে অবস্থা, তাতে অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকা মুশকিল। কিন্তু যুগান্তর ঠিকই সাফল্যের সঙ্গে পথ চলছে। এটা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমি দেখেছি, পত্রিকাটি সব সময় চেষ্টা করেছে মানুষের পক্ষে কথা বলতে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে এখনো মানুষের প্রিয় পত্রিকা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সিনেমা দিয়েই যেহেতু আমার পরিচিতি, তাই এটা নিয়ে বলি, বিনোদনের ক্ষেত্র এখন অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় প্রিন্ট পত্রিকায় বিনোদনের স্পেস কিন্তু কমে গেছে। বিনোদন মানুষের অন্যতম অনুসঙ্গ, এটা ভুলে গেলে চলবে না। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এটা ভাবতে হবে। মানুষের চাহিদার দিকে নজর দিতে হবে। শুধু বিনোদনই নয়, সব ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজন্য। যদিও যুগান্তর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে সব সময়। থাকা উচিত। এটা গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও কর্তব্য। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যুগান্তর সবার পাশে থাকবে আমার বিশ্বাস। শুভ কামনা যুগান্তরের জন্য।
-আলমগীর, অভিনেতা
সিনেমায় কাজ করি বহু বছর। আমরা যখন শুরু করি, তখন হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাগাজিন ছিল, যাতে আমার সিনেমার খবর প্রকাশ হতো। নব্বই দশকের মাঝামাঝি দৈনিক পত্রিকায় বিনোদনের খবর প্রকাশ শুরু হলো। বিংশ শতাব্দীতে পত্রিকার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকল। তখনোই যুগান্তরের আগমন। সেই থেকে শুরু করে ২৩ বছর অতিক্রম করে ফেলল! দীর্ঘ সময় এটি। শুরু থেকেই যে দাপটের সঙ্গে পথ চলেছে যুগান্তর, এখনো সেটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই কর্তৃপক্ষ প্রশংসার দাবিদার। দীর্ঘদিন আমি অভিনয় নেই। কিন্তু আমার প্রিয় পরিবার ‘চলচ্চিত্র’র খবরগুলো গণমাধ্যমের কল্যাণেই পাই। তার মধ্যে যুগান্তর অন্যতম। চলচ্চিত্র, নাটক বা গান!-সবই প্রচার ও প্রসারে গণমাধ্যম বিরাট একটি ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যম হিসাবে যুগান্তরকে আমি পছন্দ করি। পত্রিকাটি সব সময় আমার খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি প্রত্যাশা করি নিজের কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে যুগান্তর।
-রোজিনা, অভিনেত্রী
কাজের ক্ষেত্রের পাশাপাশি এখন প্রচারমাধ্যমও বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে গণমাধ্যমের সংখ্যাও। কিন্ত মান ধরে রাখতে পারছে কটি প্রতিষ্ঠান? যুগান্তর সেটা সাফল্যের সঙ্গে করছে। কাজের ক্ষেত্রে চলতি পথে সব সময় যুগান্তরের সহযোগিতা পেয়েছি। যেতে যেতে দুই যুগে পা দিল পত্রিকাটি। আরও অনেকদূর এগিয়ে যাক যুগান্তর। সব সময় সুস্থ ধারার বিনোদন প্রচারের মুখপত্র হয়ে থাকবে যুগান্তরের বিনোদন বিভাগ। দুই যুগ পদার্পণ উপলক্ষ্যে আশা করব যুগান্তর যেন আগামীতেও আমাদের চলচ্চিত্রের পাশে থাকে। পাশাপাশি পথপরিক্রমার দীর্ঘ এ পথচলায় এতগুলো বছর পেরিয়ে আসায় শুভকামনা থাকল যুগান্তর পরিবারের জন্য।
-দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, অভিনেত্রী
আমি অনেক আগে থেকেই অভিনয়ে নেই। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততার ফাঁকে আমি দেশ ও বিদেশের খবর নেওয়ার চেষ্টা করি। চলচ্চিত্রের খবরও নিয়ে থাকি। দেশের ও চলচ্চিত্রের খবর নিতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমের সহযোগিতা লাগবে। অন্যান্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি যুগান্তর থেকেও সেটা পাই। কিছুটা ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে যুগান্তরের মধ্যে। নইলে ২৩ বছর টিকে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। আমি আশা করি যুগান্তর সব বিষয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখবে আগামীতেও।
-শাকিল খান, অভিনেতা
গত ২৩ বছর ধরে দৈনিক যুগান্তর সাফল্যের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। এখন যে অবস্থা তাতে কোনো প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা সহজ কথা নয়। যুগান্তর পারছে এবং করছে। এমনিতে সব সময় চেষ্টা করেছে পত্রিকাটি মানুষের কথা বলতে। আমিও সব সময় পাশে পেয়েছি। এখন তো প্রযুক্তির যুগ। এক ক্লিকেই খবর পাওয়া যায়। যুগান্তরও চেষ্টা করে আসছে অনলাইন ভার্সনেও সবার মাঝে সব রকম খবর পৌঁছে দিতে। সব সময় মানুষের কথা বলুক, শিল্পী সংস্কৃতির কথা বলুক এটাই প্রত্যাশা করি।
তাহসান, সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা
দৈনিক যুগান্তরের জন্য অনেক শুভকামনা। দিন দিন বেড়েই চলছে পত্রিকাটির বয়স। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুগান্তরের কাছে আমার অনুরোধ, তাদের বিনোদন বিভাগে আমাদের মঞ্চের জন্য যেন নিয়মিত কোনো সেগমেন্ট প্রকাশ করে। নাটকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। আশা করি এটি যুগান্তর পারবে। পত্রিকাটি সব সময় শিল্প-সংস্কৃতিবান্ধব হয়ে কাজ করে আসছে আগামীতেও করবে আমার বিশ্বাস। অনেক শুভকামনা যুগান্তর পরিবারের জন্য।
-আজিজুল হাকিম, অভিনেতা
যুগান্তরের জন্মের সময় আমি মিডিয়ায় আসিনি। কিন্তু আমার মিডিয়া-জন্ম যুগান্তর দেখেছে। দেখতে দেখতে যুগান্তরের বয়স চব্বিশ হয়ে গেল। বেশ লম্বা একটি সময়। শুরু থেকেই যুগান্তর বেশ প্রশংসা পেয়ে আসছে। আমিও ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যুগান্তরকে পাশে পেয়েছি। সংবাদ প্রকাশের বাইরেও যুগান্তর আমার খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুগান্তরকে আমি আমার পরিবারের একটি অংশ বলে মনে করি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুগান্তরকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। ভালোবাসা যুগান্তর পরিবারের জন্য।
তমা মির্জা, অভিনেত্রী
যুগান্তর আমার প্রিয় একটি পত্রিকা। আমি বলি যুগান্তর আমাদের পত্রিকা। এ পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম ভাইয়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। তাই সব সময়ই এ পত্রিকার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। বিশেষ করে পত্রিকার বিনোদন বিভাগ আমাকে সব সময় সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমাকে সাপোর্ট দেবে। শুধু বিনোদন সংবাদই নয়, যুগান্তর সব সময় মানুষের কথা বলার চেষ্টা করে আসছে। সামনেও বলবে আমার বিশ্বাস। শুভ কামনা যুগান্তর পরিবারের জন্য।
-এসডি রুবেল, সংগীতশিল্পী
আমার গানের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যুগান্তরের সান্নিধ্য পেয়েছি। সব সময় আমার খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৩ বছর অতিক্রম করল! এটা অবশ্যই দারুণ খবর। তবে যেতে হবে আরও অনেকদূর। শুরু থেকে যেমন করে যুগান্তর দেশ ও মানুষের কথা বলে এসেছে আগামী দিনগুলোতেও সেরকম কথা বলবে। শিল্প ও সংস্কৃতির কথা বলবে। বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ধরে রাখবে-এটাই প্রত্যাশা করি। একই সঙ্গে শুভ কামনা জানাই যুগান্তর পরিবারকে। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক যুগান্তর।
-মৌসুমী আক্তার সালমা, সংগীতশিল্পী