চরফ্যাশনে দক্ষিণ আইচা হাসপাতাল
জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত
চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা ২০ শয্যার হাসপাতালে দৃষ্টিনন্দন ভবন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবল সংকটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা এই হাসপাতালে রয়েছেন একজন চিকিৎসক। তিনিও বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালানো হয় অফিস সহকারী দিয়ে। দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আইচা থানায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপিত হয়। পাঁচজন চিকিৎসক ও ১৫ জন স্টাফ নিয়ে হাসপাতালটি সেসময় পরিচালিত হলেও এক বছরের মাথায় সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০ বছর ধরে কাগজে-কলমে পাঁচজন চিকিৎসক কর্মরত দেখানো হলেও বাস্তবে এখানে কর্মরত আছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। অন্য এক চিকিৎসক ডা সুমিত কুমার বিশ্বাস ডেপুটেশনে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন এবং তিন চিকিৎসক চাকরি ছেড়ে গেছেন। ফলে এখানে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক। অন্যদিকে কাগজে-কলমে ১৫ জন কর্মকতা-কর্মচারী থাকলেও বাস্তবে আছেন ছয়জন। এর মধ্যে হেডক্লার্ক, একজন অফিস সহকারী, একজন ওয়ার্ড বয়, একজন নৈশপ্রহরী, একজন সুইপার ও একজন আয়া কর্মরত আছেন। অন্য এক ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন ডেপুটেশনে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে কর্মরত। শুরুতেই দু’জন এমএলএসএসের একজন বোরহান উদ্দিন হাসপাতালে এবং একজন ভোলা সিভিল সার্জন অফিসে ডেপুটেশনে। নৈশপ্রহরী একজন দৌলতখান হাসপাতালে ডেপুটেশনে আছেন। অন্য একজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। সুইপারদের মধ্যে একজন তজুমদ্দিন হাসপাতালে এবং একজন ভোলা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে আছেন। দক্ষিণ আইচা হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. হাবিবুর রহমান জানান, চিকিৎসক সংকটের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডা. হুমায়ুন কবির নামের এক চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও তিনি নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। মাসে দু-একদিন তাকে দেখা যায়। অফিস সহকারী দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। ডা. হুমায়ুন কবির জানান, সিভিল সার্জনের অনুমতি ছাড়া আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, পুরো ভোলা জেলাতেই চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।
জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত
চরফ্যাশনে দক্ষিণ আইচা হাসপাতাল
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা ২০ শয্যার হাসপাতালে দৃষ্টিনন্দন ভবন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবল সংকটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা এই হাসপাতালে রয়েছেন একজন চিকিৎসক। তিনিও বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালানো হয় অফিস সহকারী দিয়ে। দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আইচা থানায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপিত হয়। পাঁচজন চিকিৎসক ও ১৫ জন স্টাফ নিয়ে হাসপাতালটি সেসময় পরিচালিত হলেও এক বছরের মাথায় সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০ বছর ধরে কাগজে-কলমে পাঁচজন চিকিৎসক কর্মরত দেখানো হলেও বাস্তবে এখানে কর্মরত আছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। অন্য এক চিকিৎসক ডা সুমিত কুমার বিশ্বাস ডেপুটেশনে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন এবং তিন চিকিৎসক চাকরি ছেড়ে গেছেন। ফলে এখানে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক। অন্যদিকে কাগজে-কলমে ১৫ জন কর্মকতা-কর্মচারী থাকলেও বাস্তবে আছেন ছয়জন। এর মধ্যে হেডক্লার্ক, একজন অফিস সহকারী, একজন ওয়ার্ড বয়, একজন নৈশপ্রহরী, একজন সুইপার ও একজন আয়া কর্মরত আছেন। অন্য এক ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন ডেপুটেশনে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে কর্মরত। শুরুতেই দু’জন এমএলএসএসের একজন বোরহান উদ্দিন হাসপাতালে এবং একজন ভোলা সিভিল সার্জন অফিসে ডেপুটেশনে। নৈশপ্রহরী একজন দৌলতখান হাসপাতালে ডেপুটেশনে আছেন। অন্য একজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। সুইপারদের মধ্যে একজন তজুমদ্দিন হাসপাতালে এবং একজন ভোলা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে আছেন। দক্ষিণ আইচা হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. হাবিবুর রহমান জানান, চিকিৎসক সংকটের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডা. হুমায়ুন কবির নামের এক চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও তিনি নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। মাসে দু-একদিন তাকে দেখা যায়। অফিস সহকারী দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। ডা. হুমায়ুন কবির জানান, সিভিল সার্জনের অনুমতি ছাড়া আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, পুরো ভোলা জেলাতেই চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023