মেঘনা তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
চরফ্যাশন (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
০৯ আগস্ট ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়েছে রুপালি ইলিশ। মৎস্য ঘাটগুলো এখন উৎসবের আমেজে পরিণত হয়েছে।
শনিবার কয়েকটি জেলে পল্লীতে ঘুরে দেখা গেছে, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়েছে। আড়তদার ও জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।
মাছগুলো ঘাটে এনে বেচাকেনা হচ্ছে। চরফ্যাশনের মৎস্যঘাটগুলোর মধ্যে বেতুয়া, সামরাজ, নতুন স্লুইসগেট, খেজুরগাছিয়া, ঢালচর, মেঘভাষান, হাজিরহাট রাস্তার মাথা, ভায়রানী, বকসীরঘাট, ঘোষেরহাট, বাংলাবাজার, চরকচ্ছপিয়া ও কুকরি মুকরির প্রায় অর্ধশত মৎস্যঘাট এখন সরগরম।
ঢালচরের আনিচর হক মাঝি বলেন, আমি ৯ দিনে ১৭ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করছি। আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি ৬ দিনে ৭ লাখ টাকার মাছ বরিশাল আড়তে বিক্রি করে শনিবার সকালে ঘাটে আসছি। মাছের দাম পেয়েছি ভালো।
চরফ্যাশনের দু’পাশ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ঘাটগুলোতে আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ।
মাছের হালি বড় সাইজ ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। মাঝারি ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। ছোট সাইজ ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেঘনার বেতুয়া ঘাটের আবদুল হক মানি জানান, আমরা ২ মণ মাছ পেয়েছি। কিন্তু আড়তদারের জন্য তেমন লাভ করতে পারছি না।
মেঘনার আসলামপুর বেতুয়া মৎস্য ঘাটের আড়তদার নুরে আলম বলেন, ৩ দিন ধরে নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ পড়েছে। জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। এদিকে নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ ধরা হচ্ছে।
কোনো আইন মানছে না জাটকা শিকারিরা। চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, নদীতে মাছ পড়া শুরু করেছে। জেলেদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ৩টা টিম জাটকা ও কারেন্ট জাল অভিযান অব্যহত রেখেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মেঘনা তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়েছে রুপালি ইলিশ। মৎস্য ঘাটগুলো এখন উৎসবের আমেজে পরিণত হয়েছে।
শনিবার কয়েকটি জেলে পল্লীতে ঘুরে দেখা গেছে, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়েছে। আড়তদার ও জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।
মাছগুলো ঘাটে এনে বেচাকেনা হচ্ছে। চরফ্যাশনের মৎস্যঘাটগুলোর মধ্যে বেতুয়া, সামরাজ, নতুন স্লুইসগেট, খেজুরগাছিয়া, ঢালচর, মেঘভাষান, হাজিরহাট রাস্তার মাথা, ভায়রানী, বকসীরঘাট, ঘোষেরহাট, বাংলাবাজার, চরকচ্ছপিয়া ও কুকরি মুকরির প্রায় অর্ধশত মৎস্যঘাট এখন সরগরম।
ঢালচরের আনিচর হক মাঝি বলেন, আমি ৯ দিনে ১৭ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করছি। আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি ৬ দিনে ৭ লাখ টাকার মাছ বরিশাল আড়তে বিক্রি করে শনিবার সকালে ঘাটে আসছি। মাছের দাম পেয়েছি ভালো।
চরফ্যাশনের দু’পাশ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ঘাটগুলোতে আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ।
মাছের হালি বড় সাইজ ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। মাঝারি ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। ছোট সাইজ ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেঘনার বেতুয়া ঘাটের আবদুল হক মানি জানান, আমরা ২ মণ মাছ পেয়েছি। কিন্তু আড়তদারের জন্য তেমন লাভ করতে পারছি না।
মেঘনার আসলামপুর বেতুয়া মৎস্য ঘাটের আড়তদার নুরে আলম বলেন, ৩ দিন ধরে নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ পড়েছে। জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। এদিকে নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ ধরা হচ্ছে।
কোনো আইন মানছে না জাটকা শিকারিরা। চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, নদীতে মাছ পড়া শুরু করেছে। জেলেদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ৩টা টিম জাটকা ও কারেন্ট জাল অভিযান অব্যহত রেখেছে।