চুয়াডাঙ্গার আলোকিত মানুষ অধ্যক্ষ হামিদুল
আহাদ আলী মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা
০৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
একজন আলোকিত মানুষ অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। জীবনভর শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন দেশজুড়ে। পেয়েছেন অনেক খ্যাতি, সম্মাননা। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে তার জুড়ি নেই। একাধারে তিনি শিক্ষক, সংগঠক, ইতিহাস গবেষক এবং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। সাহিত্যাঙ্গনেও রয়েছে তার অসামান্য অবদান। অবসর জীবনযাপন করলেও শেখানোর নেশা থেকে দূরে সরে যাননি হামিদুল হক মুন্সী। চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী দায়িত্ব পালন করেছেন নড়াইলের আবদুল হাই সিটি কলেজ, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কলেজ, সিরাজগঞ্জের পুলিশ লাইন্স কলেজ, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ, চাঁদপুরের সুজাতপুর কলেজ ও নাসিরকোট শহিদ স্মৃতি কলেজে। এছাড়া প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধান ছিলেন মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুলের। আলমডাঙ্গার হামিদুল হক মুন্সীর জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৬ মার্চ। তিনি ২০১৭ সালেন ১৬ মার্চ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নাসিরকোট শহিদ স্মৃতি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সম্পাদনা করেছেন অসংখ্য পত্র-পত্রিকা। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র মাথাভাঙ্গা পত্রিকারও প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। স্ত্রী মালেকা হক মাখনও অধ্যাপনা করতেন। তিনিও অবসর জীবনযাপন করছেন। তাদের একমাত্র পুত্রসন্তান মাহমুদুল হক মুন্সী বাঁধন জাপান প্রবাসী।
মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী কর্মজীবনে বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে নড়াইল জেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক, ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা সংগঠক, ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি ১৯৯৮ সালে মধুসূদন পদকে ভূষিত হন। অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সীর লেখা অন্যতম সেরা কাব্যগন্থের মধ্যে রয়েছে ‘বয়েসী রোদের বিউগল’, ‘মাধবী শুধু তোমাকেই’, ‘অবরুদ্ধ নগরে আছি’। তার লেখা ইতিহাসগ্রন্থের মধ্যে আছে ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস’, ‘চুয়াডাঙ্গা-৭১’, ‘নড়াইল পরিচিতি’। তার অন্যতম অনুবাদগ্রন্থ ‘চুয়াডাঙ্গা গেজেট’। তিনি বাউল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পদক, গুণী শিক্ষক সম্মাননা, সময়ের সাহসী পিতা পদক, মওলানা তর্কবাগীশ গুণীজন পদক, আলোকিত মানুষ পদক, সেরা শিক্ষক পদক, সাংবাদিক মাসুদ স্মৃতি সাহিত্য পদক, ডা. লুৎফর রহমান পদক, সুশিক্ষার ফেরিওয়ালা পদক, সততা স্বর্ণপদক, ইউনেস্কো শিক্ষাপদক, কাঙাল হরিনাথ পদক, সুশিক্ষার জাদুকর পদক, লেখক মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননাসহ নানা ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চুয়াডাঙ্গার আলোকিত মানুষ অধ্যক্ষ হামিদুল
একজন আলোকিত মানুষ অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। জীবনভর শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন দেশজুড়ে। পেয়েছেন অনেক খ্যাতি, সম্মাননা। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে তার জুড়ি নেই। একাধারে তিনি শিক্ষক, সংগঠক, ইতিহাস গবেষক এবং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। সাহিত্যাঙ্গনেও রয়েছে তার অসামান্য অবদান। অবসর জীবনযাপন করলেও শেখানোর নেশা থেকে দূরে সরে যাননি হামিদুল হক মুন্সী। চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী দায়িত্ব পালন করেছেন নড়াইলের আবদুল হাই সিটি কলেজ, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কলেজ, সিরাজগঞ্জের পুলিশ লাইন্স কলেজ, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ, চাঁদপুরের সুজাতপুর কলেজ ও নাসিরকোট শহিদ স্মৃতি কলেজে। এছাড়া প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধান ছিলেন মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুলের। আলমডাঙ্গার হামিদুল হক মুন্সীর জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৬ মার্চ। তিনি ২০১৭ সালেন ১৬ মার্চ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নাসিরকোট শহিদ স্মৃতি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সম্পাদনা করেছেন অসংখ্য পত্র-পত্রিকা। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র মাথাভাঙ্গা পত্রিকারও প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। স্ত্রী মালেকা হক মাখনও অধ্যাপনা করতেন। তিনিও অবসর জীবনযাপন করছেন। তাদের একমাত্র পুত্রসন্তান মাহমুদুল হক মুন্সী বাঁধন জাপান প্রবাসী।
মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী কর্মজীবনে বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে নড়াইল জেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক, ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা সংগঠক, ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি ১৯৯৮ সালে মধুসূদন পদকে ভূষিত হন। অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সীর লেখা অন্যতম সেরা কাব্যগন্থের মধ্যে রয়েছে ‘বয়েসী রোদের বিউগল’, ‘মাধবী শুধু তোমাকেই’, ‘অবরুদ্ধ নগরে আছি’। তার লেখা ইতিহাসগ্রন্থের মধ্যে আছে ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস’, ‘চুয়াডাঙ্গা-৭১’, ‘নড়াইল পরিচিতি’। তার অন্যতম অনুবাদগ্রন্থ ‘চুয়াডাঙ্গা গেজেট’। তিনি বাউল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পদক, গুণী শিক্ষক সম্মাননা, সময়ের সাহসী পিতা পদক, মওলানা তর্কবাগীশ গুণীজন পদক, আলোকিত মানুষ পদক, সেরা শিক্ষক পদক, সাংবাদিক মাসুদ স্মৃতি সাহিত্য পদক, ডা. লুৎফর রহমান পদক, সুশিক্ষার ফেরিওয়ালা পদক, সততা স্বর্ণপদক, ইউনেস্কো শিক্ষাপদক, কাঙাল হরিনাথ পদক, সুশিক্ষার জাদুকর পদক, লেখক মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননাসহ নানা ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছেন।