লোহাগড়ায় টাকা না দেওয়ায় টিকা বঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থী
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ে অবস্থিত শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাদান কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলামের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে টিকা না দিয়ে ফেরত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ শেখ ফারুক আহমেদ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়কে টিকা প্রদানকারী কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচন করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রথম দিন ১৫ জানুয়ারি ওই কেন্দ্রে টিকা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গেলে আপ্যায়ন ও এসি খরচ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হাসানুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলাম। তাদের দাবিকৃত টাকা কিছুকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদান করে টিকা নেয়। কিন্তু লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথম দিন ওই টাকা না দেওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলাম অধ্যক্ষ ফারুক আহমদকে ফোন করে ওই টাকা প্রদানের কথা বলেন। টাকা না দিলে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার করোনার টিকা দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়। অধ্যক্ষ ৫ হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বাদ পড়া প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে টিকা না দিয়ে কেন্দ্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশক্রমে টিকাদান কর্মীদের আপ্যায়ন ও এয়ার কন্ডিশন ক্রয় ব্যবদ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে টাকা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সঠিক নয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লোহাগড়ায় টাকা না দেওয়ায় টিকা বঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থী
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ে অবস্থিত শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাদান কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলামের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে টিকা না দিয়ে ফেরত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ শেখ ফারুক আহমেদ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়কে টিকা প্রদানকারী কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচন করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রথম দিন ১৫ জানুয়ারি ওই কেন্দ্রে টিকা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গেলে আপ্যায়ন ও এসি খরচ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হাসানুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলাম। তাদের দাবিকৃত টাকা কিছুকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদান করে টিকা নেয়। কিন্তু লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথম দিন ওই টাকা না দেওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলাম অধ্যক্ষ ফারুক আহমদকে ফোন করে ওই টাকা প্রদানের কথা বলেন। টাকা না দিলে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার করোনার টিকা দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়। অধ্যক্ষ ৫ হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বাদ পড়া প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে টিকা না দিয়ে কেন্দ্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশক্রমে টিকাদান কর্মীদের আপ্যায়ন ও এয়ার কন্ডিশন ক্রয় ব্যবদ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে টাকা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সঠিক নয়।