কুড়িগ্রামে ৪০ সহস্রাধিক অটোরিকশা

দিনে খরচ তিন লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ

 আহসান হাবীব নীলু, কুড়িগ্রাম 
৩০ জুলাই ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম জেলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যান, মিশুক ও রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নেই এসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন আর চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স; তারপরও বেপরোয়া দ্রুতগতিতে চলছে অলিগলি থেকে মহাসড়কে। নিয়ন্ত্রণের নেই কোনো ব্যবস্থা, নেই কোনো শৃঙ্খলা।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার কর আদায়কারী শাহ আলম মিয়া জানান, পৌরসভায় প্রায় চার হাজার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করে। এসব ইজিবাইক ৬-৮ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। আর ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে প্রায় দুই হাজার। মিশুক আর ভ্যান তো আছেই। রিকশার রেজিস্ট্রেশন পৌরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও ইজিবাইকের কোনো রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয় না। তবে পৌর এলাকায় ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তা ইজারা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ইজিবাইক প্রতি ১০ টাকা হারে টোল আদায় করে ইজারাদার।

জেলা ব্যাটারিচালিত রিকশা মিশুক ও ভ্যান সমিতির সভাপতি আবদার হোসেন বুলু জানান, এ জেলায় ব্যাটারিচালিত বাহনের সংখ্যা ৪০ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার, নাগেশ্বরীতে ৭ হাজার, কুড়িগ্রাম সদরে ৮ হাজার, উলিপুরে ৮ হাজার, রাজারহাটে ৪ হাজার, চিলমারীতে ২ হাজার, রৌমারীতে ২ হাজার এবং রাজিবপুর উপজেলায় প্রায় ৫০০ ব্যাটারিচালিত এসব বাহন আছে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক এ পেশায় জড়িত। তাদের ওপর নির্ভর করছে প্রায় ২ কোটি মানুষের রুটি-রোজি।

এদের বঁঁচাতে সরকারকে পরিকল্পিত টেকসই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম রকেট বলেন, ব্যাটারিচালিত বড় অটোরিকশার (ইজিবাইক) ৫টি ব্যাটারি চার্জে প্রতিদিন লাগে ৯-১০ ইউনিট বিদ্যুৎ, মিশুক ও রিকশায় লাগে ৪ থেকে ৫ ইউনিট বিদ্যুৎ। এ হিসাবে ৪০ সহস্রাধিক বাহনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কুড়িগ্রাম বিআরটিএ বিভাগের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, আমাদের আইনের আওতায়ও নেই এসব বাহন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন