কমলনগরে হয়রানিমূলক মামলায় দুর্বিষহ কলেজছাত্রের জীবন
দুশ্চিন্তায় প্রাণ গেল বাবার শয্যাশায়ী মা
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতিপক্ষের একের পর এক মামলায় কমলনগরের এক কলেজছাত্রের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রতিপক্ষের করা চারটি মামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় গত বছরের ২৩ আগস্ট স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যুর পর এখন শয্যাশায়ী তার মাও। এসবের পরও ‘মন গলেনি’ প্রতিপক্ষের। উলটো অভিভাকহীনতার সুযোগ পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করছে। মঙ্গলবার কমলনগর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্স পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র মাইন উদ্দিন মিশু। সংবাদ সম্মেলনে মিশুর বড় ভাই দিদার উদ্দিন, বড় বোন জেসমিন আক্তার ও ছোট বোন কলেজছাত্রী মরিয়ম বেগম ইতি উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মিশু জানান, চরলরেন্স এলাকার বাসিন্দা দাদা মজিবল হক হাওলাদারের ছয় ছেলের মধ্যে তার (মিশু) বাবা শামছু উদ্দিন ছিলেন তৃতীয়। দাদার রেখে যাওয়া জায়গা-জমি থেকে তার বাবা বঞ্চিত ছিলেন। ২০১৬ সালে এসএসসি পাশের পর মিশুর উদ্যোগে বেশ কিছু সম্পত্তি উদ্ধার হলে প্রতিপক্ষের আক্রোশের মুখে পড়েন তিনি। এর জের ধরে ২০১৮ সালে মিশু এইচএসসিতে পড়াকালে তার লেখাপড়া নষ্ট করার উদ্দেশ্যে চাচা আবদুর রব স্ত্রীকে দিয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এতে মিশু ও তার ছোট বোন অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মরিয়ম বেগম ইতিসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। তবে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খারিজ করে দেন। ২০১৯ সালে চাচা নিজেই বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিশুর পরিবারের সব সদস্যকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন। সেটিও মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। মিশুর দাবি, ওইসব ষড়যন্ত্রে কাজ না হওয়ায় আরেক চাচা মোহাম্মদ উল্যাহ একই বছর তাদের নামে কমলনগর থানায় জমি দখল, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এসব করেও তাদেরকে দমাতে না পেরে আরেক জ্যাঠা নুরুল হক ছেলে সোহেল রানাকে দিয়ে ২০২২ সালে থানায় একটি চুরির মামলা করেন। চুরি মামলার বাদী সোহেল রানা দাবি করেন, মামলায় প্রথমে তারা মিশুকে আসামি করেননি। সন্দেহজনক কারণে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিশুকে আটক করেছিল। এজন্য তারা সম্পূরক এজাহারে মিশুকে আসামি করেছেন। মিশুর জ্যাঠাতো বোনজামাই লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নুর আলম বলেন, মিশুর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কমলনগরে হয়রানিমূলক মামলায় দুর্বিষহ কলেজছাত্রের জীবন
দুশ্চিন্তায় প্রাণ গেল বাবার শয্যাশায়ী মা
প্রতিপক্ষের একের পর এক মামলায় কমলনগরের এক কলেজছাত্রের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রতিপক্ষের করা চারটি মামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় গত বছরের ২৩ আগস্ট স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যুর পর এখন শয্যাশায়ী তার মাও। এসবের পরও ‘মন গলেনি’ প্রতিপক্ষের। উলটো অভিভাকহীনতার সুযোগ পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করছে। মঙ্গলবার কমলনগর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্স পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র মাইন উদ্দিন মিশু। সংবাদ সম্মেলনে মিশুর বড় ভাই দিদার উদ্দিন, বড় বোন জেসমিন আক্তার ও ছোট বোন কলেজছাত্রী মরিয়ম বেগম ইতি উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মিশু জানান, চরলরেন্স এলাকার বাসিন্দা দাদা মজিবল হক হাওলাদারের ছয় ছেলের মধ্যে তার (মিশু) বাবা শামছু উদ্দিন ছিলেন তৃতীয়। দাদার রেখে যাওয়া জায়গা-জমি থেকে তার বাবা বঞ্চিত ছিলেন। ২০১৬ সালে এসএসসি পাশের পর মিশুর উদ্যোগে বেশ কিছু সম্পত্তি উদ্ধার হলে প্রতিপক্ষের আক্রোশের মুখে পড়েন তিনি। এর জের ধরে ২০১৮ সালে মিশু এইচএসসিতে পড়াকালে তার লেখাপড়া নষ্ট করার উদ্দেশ্যে চাচা আবদুর রব স্ত্রীকে দিয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এতে মিশু ও তার ছোট বোন অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মরিয়ম বেগম ইতিসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। তবে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খারিজ করে দেন। ২০১৯ সালে চাচা নিজেই বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিশুর পরিবারের সব সদস্যকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন। সেটিও মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। মিশুর দাবি, ওইসব ষড়যন্ত্রে কাজ না হওয়ায় আরেক চাচা মোহাম্মদ উল্যাহ একই বছর তাদের নামে কমলনগর থানায় জমি দখল, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এসব করেও তাদেরকে দমাতে না পেরে আরেক জ্যাঠা নুরুল হক ছেলে সোহেল রানাকে দিয়ে ২০২২ সালে থানায় একটি চুরির মামলা করেন। চুরি মামলার বাদী সোহেল রানা দাবি করেন, মামলায় প্রথমে তারা মিশুকে আসামি করেননি। সন্দেহজনক কারণে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিশুকে আটক করেছিল। এজন্য তারা সম্পূরক এজাহারে মিশুকে আসামি করেছেন। মিশুর জ্যাঠাতো বোনজামাই লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নুর আলম বলেন, মিশুর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।