নিউইয়র্ক সিনেটে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে বিল পাস
হাসানুজ্জামান সাকী, নিউইয়র্ক
১৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্য সরকার বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস পালন করবে। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ নামে বিলটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের সিনেটররা বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতাদের বিষয়টি জানান। সরকারিভাবে দিবস পালনের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরছেন প্রবাসে। তেমনি অভিবাসীদের নানা অধিকার আদায়েও তারা সচেষ্ট। নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা কয়েক বছর ধরেই ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সিনেটর টবি অ্যান স্ত্যাবেস্কি সিনেটে বিলটি উত্থাপন করলে তাকে সরাসরি সমর্থন জানান আরও ৬২ জন আইনপ্রণেতা। পরে সর্বসম্মতিতে বিলটি পাস হয়।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) আমরা জানতে পেরেছি, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে বিল পাস হয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে অভিবাসী দিবসের এই ঘোষণা দারুণ একটি খবর। আমরা ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব অনাবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করুক, এটা এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি।
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট রেজ্যুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭৪ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রথমবার বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এজন্য দিনটি বাংলাদেশি অভিবাসীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার বিলটি গভর্নর অ্যান্ড্র– কুমারের কাছে পাঠানো হয়েছে। গভর্নর বিলটিতে স্বাক্ষর করলে তা স্টেট ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের বাংলাদেশি অভিবাসী দিবসের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা। বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অধিকার আদায়ের প্রশ্নে ইমিগ্রান্ট ডে’র সুফল তখনই পাওয়া যাবে, যখন প্রবাসীরা বাংলাদেশি আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং মূলধারার রাজনীতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নিউইয়র্ক সিনেটে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে বিল পাস
প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্য সরকার বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস পালন করবে। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ নামে বিলটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের সিনেটররা বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতাদের বিষয়টি জানান। সরকারিভাবে দিবস পালনের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরছেন প্রবাসে। তেমনি অভিবাসীদের নানা অধিকার আদায়েও তারা সচেষ্ট। নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা কয়েক বছর ধরেই ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সিনেটর টবি অ্যান স্ত্যাবেস্কি সিনেটে বিলটি উত্থাপন করলে তাকে সরাসরি সমর্থন জানান আরও ৬২ জন আইনপ্রণেতা। পরে সর্বসম্মতিতে বিলটি পাস হয়।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) আমরা জানতে পেরেছি, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে বিল পাস হয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে অভিবাসী দিবসের এই ঘোষণা দারুণ একটি খবর। আমরা ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব অনাবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করুক, এটা এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি।
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট রেজ্যুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭৪ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রথমবার বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এজন্য দিনটি বাংলাদেশি অভিবাসীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার বিলটি গভর্নর অ্যান্ড্র– কুমারের কাছে পাঠানো হয়েছে। গভর্নর বিলটিতে স্বাক্ষর করলে তা স্টেট ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের বাংলাদেশি অভিবাসী দিবসের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা। বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অধিকার আদায়ের প্রশ্নে ইমিগ্রান্ট ডে’র সুফল তখনই পাওয়া যাবে, যখন প্রবাসীরা বাংলাদেশি আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং মূলধারার রাজনীতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে।