ফুলবাড়ী সুবর্ণচর ও চৌগাছায় ২৭ বাড়ি লকডাউন

লোকজনকে সতর্ক করতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা
 যুগান্তর ডেস্ক 
৩০ মার্চ ২০২০, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও যশোরের চৌগাছা উপজেলায় অন্তত ২৭টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়িগুলোতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে অনেককে। যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : ফুলবাড়ী উপজেলায় ৬৬ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করেছে প্রশাসন। চিকিৎসকরা বাড়িগুলোর সদস্যদের ১৪ দিনের আগে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজিব কুমার রায় জানান, বিদেশ ফেরত ৬৬ জন নজরদারিতে রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন এসেছেন চোরাই পথে ভারত থেকে। ইতোমধ্যেই ১৮টি বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। গণসচেতনতা সৃষ্টিতে এলাকার হাটবাজার ও মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে।

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) : করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে এক অটোরিকশা চালকের বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ওই বাড়িসহ আশপাশের ৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম ইবনুল হাসান বাড়ি চারটি লকডাউন ঘোষণা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম ইবনুল হাসান জানান, একজন অটোরিকশা চালক কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে গিয়ে উপসর্গগুলো দেখে করোনা সন্দেহ হয়েছে। এ কারণে তার বাড়ি লকডাউন করার পাশাপাশি লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশপাশের লোকজনকে সতর্ক করার জন্য আরও তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌফিকুল হাসান জানান, জ্বর নিয়ে দু’দিন আগে অটোরিকশা চালক স্থানীয় ডা. সাব্বিরের কাছে যান।

রোগী ৬ দিন ধরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন। পরে ডাক্তার সাব্বির তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বললে তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি থাকেন। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে উপজেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট (আইপিএইচ) চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। ৩ দিন পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এরপরই জানা যাবে তার শরীরে করোনা আছে কিনা। যশোর : চৌগাছায় করোনা সন্দেহে এক নারীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ওই নারীকে চৌগাছা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, ওই নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর তার বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। সকর্তকতার জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন