সরকারকে নামাতে গিয়ে বিএনপিই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে
চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো
২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কয়েকজন নেতা সরকারকে টেনে নামানোর কথা বলেছেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার মাস খানেক পর থেকেই তারা এই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বুধবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যখন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন, তখন হাসি পায়। যারা ইতিহাসকে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে বিকৃত করেছেন, তাদের মুখে এসব কথা শোভা পায় না। আজ যখন দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা ইতিহাসের খলনায়ককে নায়ক বানিয়েছিলেন। স্কুলের দফতরিকে তারা হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ধরনের হাস্যকর বক্তব্য ক্রমাগতভাবে না দিয়ে বরং তাদের উচিত নিজেদের দলকে গুছিয়ে, নিজেদের ঘরটাকে সংগঠিত করা।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয়ন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার। আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, অ্যাডভোকেট রতন কুমার রায়, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবু মো. হাশেম প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই সরকার কখনও পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তাদেরকে বলব, পদ্মাপারে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে। চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল চালু হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে নামাতে গিয়ে বিএনপিই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কয়েকজন নেতা সরকারকে টেনে নামানোর কথা বলেছেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার মাস খানেক পর থেকেই তারা এই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বুধবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যখন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন, তখন হাসি পায়। যারা ইতিহাসকে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে বিকৃত করেছেন, তাদের মুখে এসব কথা শোভা পায় না। আজ যখন দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা ইতিহাসের খলনায়ককে নায়ক বানিয়েছিলেন। স্কুলের দফতরিকে তারা হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ধরনের হাস্যকর বক্তব্য ক্রমাগতভাবে না দিয়ে বরং তাদের উচিত নিজেদের দলকে গুছিয়ে, নিজেদের ঘরটাকে সংগঠিত করা।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয়ন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার। আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, অ্যাডভোকেট রতন কুমার রায়, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবু মো. হাশেম প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই সরকার কখনও পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তাদেরকে বলব, পদ্মাপারে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে। চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল চালু হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।