মহামারীকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছে সরকার
সেলিমা
যুগান্তর রিপোর্ট
২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সরকার করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়ে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আজ অসহায় অবস্থায়। মন্ত্রী-এমপিরা বলেছিলেন, তারা করোনার চেয়েও শক্তিশালী। অথচ সরকার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোনো কাজই করতে পারেনি। তারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফেলে দিয়েছে মৃত্যুর দিকে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক চিকিৎসা পায়নি, চিকিৎসকরা পায়নি তাদের সুরক্ষা সামগ্রী। বরং করোনাকালীন সময়ে সাহেদ, ডা. সাবরিনার মতো ছাত্রলীগ-যুবলীগের ব্যবসায়ীরা বগল বাজিয়েছিল, টাকা লুটপাট করেছে। লুটের রাজ্যে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে তি?নি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সেলিমা রহমান বলেন, সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে অর্থনীতি নেই, ব্যাংক শূন্য, শেয়ারবাজার শূন্য, মানুষের পকেট কেটে টাকা নেয়া হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। মানুষের পেটে ভাত নেই, চাকরি নেই, মানুষ বেকার ক্রমাগতভাবে হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।
ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের এহসানুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম, শিরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড্যাবের জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা. মাসুদ আখতার জীতু, ডা. মেহবুব উল কাদির, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, শামীমা রাহিম, মো. আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, বিপ্লব উজ-জামান বিপ্লব, দবির উদ্দিন তুষার, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাবি ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদলের ইডেন কলেজ ছাত্রদলের রেহানা আক্তার শিরিন প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মহামারীকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছে সরকার
সেলিমা
সরকার করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়ে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আজ অসহায় অবস্থায়। মন্ত্রী-এমপিরা বলেছিলেন, তারা করোনার চেয়েও শক্তিশালী। অথচ সরকার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোনো কাজই করতে পারেনি। তারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফেলে দিয়েছে মৃত্যুর দিকে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক চিকিৎসা পায়নি, চিকিৎসকরা পায়নি তাদের সুরক্ষা সামগ্রী। বরং করোনাকালীন সময়ে সাহেদ, ডা. সাবরিনার মতো ছাত্রলীগ-যুবলীগের ব্যবসায়ীরা বগল বাজিয়েছিল, টাকা লুটপাট করেছে। লুটের রাজ্যে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে তি?নি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সেলিমা রহমান বলেন, সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে অর্থনীতি নেই, ব্যাংক শূন্য, শেয়ারবাজার শূন্য, মানুষের পকেট কেটে টাকা নেয়া হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। মানুষের পেটে ভাত নেই, চাকরি নেই, মানুষ বেকার ক্রমাগতভাবে হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।
ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের এহসানুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম, শিরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড্যাবের জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা. মাসুদ আখতার জীতু, ডা. মেহবুব উল কাদির, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, শামীমা রাহিম, মো. আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, বিপ্লব উজ-জামান বিপ্লব, দবির উদ্দিন তুষার, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাবি ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদলের ইডেন কলেজ ছাত্রদলের রেহানা আক্তার শিরিন প্রমুখ।