বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠনে ধীরগতি
নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা-ক্ষোভ: করোনায় আক্রান্ত অন্তত ২ ডজন কেন্দ্রীয় নেতা
তারিকুল ইসলাম
২৮ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ ধীরগতিতে চলছে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও এর অধীন থাকা পৌর-থানা-উপজেলাসহ সব ইউনিটে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পুনর্গঠন কাজ সেভাবে এগোচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের পাশাপাশি হতাশাও বাড়ছে। করোনার জন্য সরাসরি সভা করা সম্ভব না হলেও ভার্চুয়ালের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করে দ্রুত কমিটি দেয়ার দাবি তাদের।
দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমানে দলের অন্তত দু’ডজন কেন্দ্রীয় নেতা করোনায় আক্রান্ত। এ ছাড়া আগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। কেউ কেউ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে পারলেও বেশিরভাগই পারছেন না।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। কিন্তু গতিটা কমে গেছে-এটা ঠিক। সরাসরি উপস্থিত থেকে সবাইকে নিয়ে হয়তো হচ্ছে না। তবে অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পুনর্গঠনের কাজ কিন্তু থেমে নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যের সংখ্যাও অনেক। যেটার সঙ্গে পাল্লা দেয়া যাবে না, তাকে এড়িয়ে চলা বা তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, করোনা যে কতদিন থাকবে তা অনিশ্চিত। কে যে এই ভাইরাসের বাহক তা বোঝা মুশকিল। সেকেন্ড ওয়েভের সময়টা একটু দেখে আরেকটু অপেক্ষা করে তৃণমূলের কর্মসূচিগুলোর গতি বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এ ছাড়াও সামনে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও আছে। সেখানেও গণসংযোগ থাকবে। সবকিছু দেখে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসা উচিত।
জানা যায়, নিকটাত্মীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের বাসায় স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে বুলুসহ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ফজলুল হক মিলন (ঢাকা বিভাগ), শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর বিভাগ), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল (ফরিদপুর বিভাগ), শরিফুল আলম (ময়মনসিংহ বিভাগ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, মহিলা বিষয়ক সহসম্পাদক ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ অনেকে। করোনায় মারা গেছেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) আবদুল আউয়াল খান। এদের মধ্যে অনেকে দলের তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত। করোনা ছাড়াও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুনর্গঠন কাজ দেখভাল করতেন। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। শিগগির তিনি দলের কেন্দ্রীয় দফতরে আবারও কাজ শুরু করবেন বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, আমার করোনা নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু অসুস্থতা কাটেনি। মাঝেমধ্যে শরীর কাঁপে। সারা শরীর এখনও ব্যথা, হাঁটতে কষ্ট হয়। ডাক্তারের পরামর্শে চলছি। তারপরও দলের কাজ করছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ঢাকা বিভাগের নেতারা সব সময় শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলা শাখার মধ্যে বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে ৩১ জেলা শাখায় রয়েছে আহ্বায়ক কমিটি। মাদারীপুরের জেলা কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলার নতুন কমিটি দেয়া হয়।
একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দল পুনর্গঠন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা হল, মেয়াদোত্তীর্ণ জেলায় ৩ মাসের জন্য প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি করা হবে। তারা ইউনিয়ন-থানাসহ সংশ্লিষ্ট জেলার সব পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অথবা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বের করবেন। সবশেষে জেলা কাউন্সিল করে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। মার্চের আগেই সব জেলার পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। পরে মার্চের যে কোনো দিন দলের কাউন্সিল করারও চিন্তা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে যেভাবে ধীরগতিতে পুনর্গঠনের কাজ চলছে, তাতে মার্চে কাউন্সিল হচ্ছে না-এটা বলা যায়।
সূত্র জানায়, জেলা কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। একইসঙ্গে জেলার নেতারা তাদের ইউনিট কমিটি করেছেন কি না, তাও দেখভাল করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ৬ মাস কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু করে বিএনপি। সব পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় থমকে আছে পুনর্গঠনের কাজ। কাজের গতি বাড়াতে সম্প্রতি কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোস্তাক মিয়াকে, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইদুল হক সাইদকে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক পদে ওবায়দুর রহমান চন্দনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দলের এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা থাকার কারণে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠনে ধীরগতি
নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা-ক্ষোভ: করোনায় আক্রান্ত অন্তত ২ ডজন কেন্দ্রীয় নেতা
বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ ধীরগতিতে চলছে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও এর অধীন থাকা পৌর-থানা-উপজেলাসহ সব ইউনিটে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পুনর্গঠন কাজ সেভাবে এগোচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের পাশাপাশি হতাশাও বাড়ছে। করোনার জন্য সরাসরি সভা করা সম্ভব না হলেও ভার্চুয়ালের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করে দ্রুত কমিটি দেয়ার দাবি তাদের।
দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমানে দলের অন্তত দু’ডজন কেন্দ্রীয় নেতা করোনায় আক্রান্ত। এ ছাড়া আগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। কেউ কেউ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে পারলেও বেশিরভাগই পারছেন না।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। কিন্তু গতিটা কমে গেছে-এটা ঠিক। সরাসরি উপস্থিত থেকে সবাইকে নিয়ে হয়তো হচ্ছে না। তবে অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পুনর্গঠনের কাজ কিন্তু থেমে নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যের সংখ্যাও অনেক। যেটার সঙ্গে পাল্লা দেয়া যাবে না, তাকে এড়িয়ে চলা বা তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, করোনা যে কতদিন থাকবে তা অনিশ্চিত। কে যে এই ভাইরাসের বাহক তা বোঝা মুশকিল। সেকেন্ড ওয়েভের সময়টা একটু দেখে আরেকটু অপেক্ষা করে তৃণমূলের কর্মসূচিগুলোর গতি বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এ ছাড়াও সামনে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও আছে। সেখানেও গণসংযোগ থাকবে। সবকিছু দেখে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসা উচিত।
জানা যায়, নিকটাত্মীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের বাসায় স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে বুলুসহ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ফজলুল হক মিলন (ঢাকা বিভাগ), শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর বিভাগ), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল (ফরিদপুর বিভাগ), শরিফুল আলম (ময়মনসিংহ বিভাগ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, মহিলা বিষয়ক সহসম্পাদক ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ অনেকে। করোনায় মারা গেছেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) আবদুল আউয়াল খান। এদের মধ্যে অনেকে দলের তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত। করোনা ছাড়াও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুনর্গঠন কাজ দেখভাল করতেন। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। শিগগির তিনি দলের কেন্দ্রীয় দফতরে আবারও কাজ শুরু করবেন বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, আমার করোনা নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু অসুস্থতা কাটেনি। মাঝেমধ্যে শরীর কাঁপে। সারা শরীর এখনও ব্যথা, হাঁটতে কষ্ট হয়। ডাক্তারের পরামর্শে চলছি। তারপরও দলের কাজ করছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ঢাকা বিভাগের নেতারা সব সময় শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলা শাখার মধ্যে বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে ৩১ জেলা শাখায় রয়েছে আহ্বায়ক কমিটি। মাদারীপুরের জেলা কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলার নতুন কমিটি দেয়া হয়।
একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দল পুনর্গঠন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা হল, মেয়াদোত্তীর্ণ জেলায় ৩ মাসের জন্য প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি করা হবে। তারা ইউনিয়ন-থানাসহ সংশ্লিষ্ট জেলার সব পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অথবা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বের করবেন। সবশেষে জেলা কাউন্সিল করে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। মার্চের আগেই সব জেলার পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। পরে মার্চের যে কোনো দিন দলের কাউন্সিল করারও চিন্তা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে যেভাবে ধীরগতিতে পুনর্গঠনের কাজ চলছে, তাতে মার্চে কাউন্সিল হচ্ছে না-এটা বলা যায়।
সূত্র জানায়, জেলা কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। একইসঙ্গে জেলার নেতারা তাদের ইউনিট কমিটি করেছেন কি না, তাও দেখভাল করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ৬ মাস কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু করে বিএনপি। সব পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় থমকে আছে পুনর্গঠনের কাজ। কাজের গতি বাড়াতে সম্প্রতি কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোস্তাক মিয়াকে, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইদুল হক সাইদকে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক পদে ওবায়দুর রহমান চন্দনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দলের এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা থাকার কারণে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়।