মশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী
অসচেতনতায় ব্যর্থ কেসিসির চেষ্টা
খুলনা ব্যুরো
৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন খুলনা নগরবাসী। পরিস্থিতি এমন যে দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে শুতে হয়। মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু নানা কারণে এটা ব্যর্থ হয়েছে। কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান, গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে ফেলার কারণে সেখানে পানি জমে মশার উৎপত্তি হচ্ছে।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী তৌহিদুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা দিন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। রাতে বাসায় ফিরি শান্তিতে একটু ঘুমানোর জন্য। কিন্তু মশার উৎপাতে ঘুমাতে পারি না। মশা তাড়াতে কয়েল ব্যবহার করেও কাজ হয় না। মাঝে মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন ফগার মেশিন নিয়ে ধোয়া দিয়ে যায়, কিন্তু তাতে মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ফগার মেশিনের ধোয়ার ধাক্কায় ড্রেনের মশা ঘরে উঠে আসে।
খালিশপুরের আলমনগরের গৃহিণী জাহানারা আহমেদ জানান, কয়েক দিন হল মশার উৎপাত খুব বেড়েছে। কয়েল জ্বালিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। মশার যন্ত্রণায় তার সন্তানরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, এখন মশা প্রজননের মৌসুম। মশা তাড়ানোর উদ্যোগ সিটি কর্পোরেশন থেকে নেয়া হয়েছে। মশক নিধনে তেল আমদানির জন্য টেন্ডার হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও জানান, ৩১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয়ভাবে নতুন করে ২০ জন স্প্রে ম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৭০টি স্প্রে এবং ১৩টি নতুন ফগার মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। মশার লার্ভা নিধনের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কালো তেল এবং ওষুধ ব্যবহার করছি।
সিটি কর্পোরেশনের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মশা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ড্রেনে মায়লা-আবর্জনা যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পানি জমে থাকলে সেখানে মশার লার্ভা সৃষ্টি হবেই। আর সেখান থেকে সৃষ্টি হবে মশা। সম্প্রতি কেসিসি’র কনজারভেন্সি বিভাগের এক সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি নগরীতে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অসচেতনতায় ব্যর্থ কেসিসির চেষ্টা
মশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী
মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন খুলনা নগরবাসী। পরিস্থিতি এমন যে দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে শুতে হয়। মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু নানা কারণে এটা ব্যর্থ হয়েছে। কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান, গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে ফেলার কারণে সেখানে পানি জমে মশার উৎপত্তি হচ্ছে।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী তৌহিদুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা দিন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। রাতে বাসায় ফিরি শান্তিতে একটু ঘুমানোর জন্য। কিন্তু মশার উৎপাতে ঘুমাতে পারি না। মশা তাড়াতে কয়েল ব্যবহার করেও কাজ হয় না। মাঝে মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন ফগার মেশিন নিয়ে ধোয়া দিয়ে যায়, কিন্তু তাতে মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ফগার মেশিনের ধোয়ার ধাক্কায় ড্রেনের মশা ঘরে উঠে আসে।
খালিশপুরের আলমনগরের গৃহিণী জাহানারা আহমেদ জানান, কয়েক দিন হল মশার উৎপাত খুব বেড়েছে। কয়েল জ্বালিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। মশার যন্ত্রণায় তার সন্তানরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, এখন মশা প্রজননের মৌসুম। মশা তাড়ানোর উদ্যোগ সিটি কর্পোরেশন থেকে নেয়া হয়েছে। মশক নিধনে তেল আমদানির জন্য টেন্ডার হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও জানান, ৩১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয়ভাবে নতুন করে ২০ জন স্প্রে ম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৭০টি স্প্রে এবং ১৩টি নতুন ফগার মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। মশার লার্ভা নিধনের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কালো তেল এবং ওষুধ ব্যবহার করছি।
সিটি কর্পোরেশনের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মশা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ড্রেনে মায়লা-আবর্জনা যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পানি জমে থাকলে সেখানে মশার লার্ভা সৃষ্টি হবেই। আর সেখান থেকে সৃষ্টি হবে মশা। সম্প্রতি কেসিসি’র কনজারভেন্সি বিভাগের এক সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি নগরীতে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।