প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন নিহতের স্ত্রী
সিরাজগঞ্জে কাউন্সিলর হত্যা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিরাজগঞ্জে নির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যার বিচার চাইলেন নিহতের স্ত্রী মোছা. হাসি খাতুন। সদর পৌরসভার নতুন ভাঙ্গাবাড়ির নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আবেদন জানান। এ সময় নিহত তরিকুলের ছেলে একরামুল হাসান হৃদয় ও মেয়ে তাহিদা জাহান তিজা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তরিকুলের স্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থল, ভরসা ও নারীর সাহস। আপনি আমাদের মা। তাই মায়ের কাছে স্বামী হত্যার বিচার চাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, মা তার দুঃখী সন্তানকে কখনোই খালি হাতে ফেরান না।
নিহতের স্ত্রী বলেন, আমাদের আইনের শাসনের প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে। তাই কোনোকিছু না ভেবে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আইনের দ্বারস্থ হই। স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনি বুদ্দিনসহ সব আসামিকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকেই গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় আছেন। শুধু তা-ই নয়, তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে-সরকার, পুলিশ প্রসাশন তাদের কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, সন্ত্রাসী কোনো দলের নয়। তাহলে এই নরপিশাচরা এই নির্লজ্জ সাহস কোথায় পায়? হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামী গ্রাম পঞ্চায়েত মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু খুনিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত করতে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অপপ্রচার এখানেই শেষ নয়, গত কদিন ধরে কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রচার করা হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে তরিকুল মারা গেছেন। এ তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ভীত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত। নিশ্চিত পরাজয় আগে থেকে অনুমান করতে পেরে খুনি বুদ্দিন এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়েই এসেছিল হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
তরিকুলের স্ত্রী বলেন, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত তরিকুল ইসলাম খানকে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন বুদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিরাজগঞ্জে কাউন্সিলর হত্যা
প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন নিহতের স্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিরাজগঞ্জে নির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যার বিচার চাইলেন নিহতের স্ত্রী মোছা. হাসি খাতুন। সদর পৌরসভার নতুন ভাঙ্গাবাড়ির নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আবেদন জানান। এ সময় নিহত তরিকুলের ছেলে একরামুল হাসান হৃদয় ও মেয়ে তাহিদা জাহান তিজা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তরিকুলের স্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থল, ভরসা ও নারীর সাহস। আপনি আমাদের মা। তাই মায়ের কাছে স্বামী হত্যার বিচার চাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, মা তার দুঃখী সন্তানকে কখনোই খালি হাতে ফেরান না।
নিহতের স্ত্রী বলেন, আমাদের আইনের শাসনের প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে। তাই কোনোকিছু না ভেবে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আইনের দ্বারস্থ হই। স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনি বুদ্দিনসহ সব আসামিকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকেই গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় আছেন। শুধু তা-ই নয়, তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে-সরকার, পুলিশ প্রসাশন তাদের কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, সন্ত্রাসী কোনো দলের নয়। তাহলে এই নরপিশাচরা এই নির্লজ্জ সাহস কোথায় পায়? হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামী গ্রাম পঞ্চায়েত মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু খুনিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত করতে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অপপ্রচার এখানেই শেষ নয়, গত কদিন ধরে কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রচার করা হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে তরিকুল মারা গেছেন। এ তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ভীত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত। নিশ্চিত পরাজয় আগে থেকে অনুমান করতে পেরে খুনি বুদ্দিন এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়েই এসেছিল হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
তরিকুলের স্ত্রী বলেন, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত তরিকুল ইসলাম খানকে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন বুদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।