ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা
গ্রেফতার ৩
যুগান্তর প্রতিবেদন
২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৫০ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দর্পণ গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শ্রমিক পদের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার পদে প্রত্যেকের জন্য এক লাখ টাকা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং এমডি টাকা হাতে পেয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন টার্মিনাল-৩ এ চাকরি দেওয়ার নামে এমন প্রতারণায় যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলো-দর্পণ গ্রুপের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৫২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির (৫০) ও ম্যানেজার মিন্টল রায় ওরফে অপূর্ব রায় (২৮)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাং গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে তাদের অফিসের সামনে ডিজিটাল ব্যানারে ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ দক্ষ-অদক্ষ লেবার ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে’-এমন একটি বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে রাখে। বিজ্ঞাপন দেখে চাকরিপ্রত্যাশী ভুক্তভোগী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। এরপর তাদের থেকে নেওয়া হয় টাকা।
সিআইডির কর্মকর্তা শেখ ওমর ফারুক বলেন, ভুক্তভোগী ১০০-১৫০ জন দর্পণ গ্রুপ কোম্পানির অফিসে গিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ যোগদানের বিষয় আলাপ করলে প্রতিষ্ঠানটি অপেক্ষা করতে বলে। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ চাকরি দেওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে কেউ কাজের অনুমতি দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুরের সুজন বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গেলে জানানো হয়, সুপারভাইজার এক লাখ, অদক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা দিলেই চাকরি হবে। এর দুদিন পর ভাইভা হয়। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে হাতে নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে নেওয়া হয় আড়াই লাখ টাকা। এরপর করোনা টেস্টের কথা বলে নেওয়া হয় আরও পাঁচ হাজার টাকা। সন্দেহ হলে সবাই বিমানবন্দরে যাই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান কাজের অনুমতি পায়নি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা
গ্রেফতার ৩
চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৫০ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দর্পণ গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শ্রমিক পদের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার পদে প্রত্যেকের জন্য এক লাখ টাকা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং এমডি টাকা হাতে পেয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন টার্মিনাল-৩ এ চাকরি দেওয়ার নামে এমন প্রতারণায় যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলো-দর্পণ গ্রুপের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৫২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির (৫০) ও ম্যানেজার মিন্টল রায় ওরফে অপূর্ব রায় (২৮)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাং গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে তাদের অফিসের সামনে ডিজিটাল ব্যানারে ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ দক্ষ-অদক্ষ লেবার ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে’-এমন একটি বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে রাখে। বিজ্ঞাপন দেখে চাকরিপ্রত্যাশী ভুক্তভোগী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। এরপর তাদের থেকে নেওয়া হয় টাকা।
সিআইডির কর্মকর্তা শেখ ওমর ফারুক বলেন, ভুক্তভোগী ১০০-১৫০ জন দর্পণ গ্রুপ কোম্পানির অফিসে গিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ যোগদানের বিষয় আলাপ করলে প্রতিষ্ঠানটি অপেক্ষা করতে বলে। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ চাকরি দেওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে কেউ কাজের অনুমতি দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুরের সুজন বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গেলে জানানো হয়, সুপারভাইজার এক লাখ, অদক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা দিলেই চাকরি হবে। এর দুদিন পর ভাইভা হয়। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে হাতে নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে নেওয়া হয় আড়াই লাখ টাকা। এরপর করোনা টেস্টের কথা বলে নেওয়া হয় আরও পাঁচ হাজার টাকা। সন্দেহ হলে সবাই বিমানবন্দরে যাই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান কাজের অনুমতি পায়নি।