সিলেটে ঊনপঞ্চাশ হাজার দুইশ’ ডোজ টিকা আসছে
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সিলেটে আসছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা। পর্যায়ক্রমে ১০ লাখের বেশি টিকা পাবে এ বিভাগ। টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠু সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহানগর এলাকায় ১২টি কেন্দ্রে এবং উপজেলা পর্যায়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে জেলা ও মহানগর এলাকার জন্য পৃথক দুটি কমিটিও করা হয়েছে।
মহানগর এলাকায় ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক সিলেট কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সদস্য সচিব প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর সিলেটের উপ-পরিচালক।
জেলা পর্যায়ে করা ৮ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে আছেন জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসাবে আছেন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এ কমিটির উপদেষ্টা হিসাবে থাকবেন। একইভাবে বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জেও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকভাবে আসা টিকা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাবেন সম্মুখসারির যোদ্ধারা। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৪টি ও সদর হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রপ্রতি ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৪৯ হাজার ২শ ডোজ টিকা পাচ্ছে সিলেট। প্রথম চালানে সিলেট বিভাগে আসা ৩৭ কার্টন টিকার মধ্যে ৫ কার্টন মৌলভীবাজারে, ৬ কার্টন হবিগঞ্জে ও ৭ কার্টন যাবে সুনামগঞ্জে। বাকিগুলো সিলেট জেলার জন্য থাকবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ২২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ফ্রিজে টিকা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। টিকা দানে প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তার নেতৃত্বে চিকিৎসকের ৭ জনের একটি টিম থাকবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুত আছে।
সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল যুগান্তরকে বলেন, সিলেটে আসা টিকার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান অন প্রোগ্রাম-ইপিআই ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিলেটে ঊনপঞ্চাশ হাজার দুইশ’ ডোজ টিকা আসছে
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সিলেটে আসছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা। পর্যায়ক্রমে ১০ লাখের বেশি টিকা পাবে এ বিভাগ। টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠু সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহানগর এলাকায় ১২টি কেন্দ্রে এবং উপজেলা পর্যায়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে জেলা ও মহানগর এলাকার জন্য পৃথক দুটি কমিটিও করা হয়েছে।
মহানগর এলাকায় ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক সিলেট কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সদস্য সচিব প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর সিলেটের উপ-পরিচালক।
জেলা পর্যায়ে করা ৮ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে আছেন জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসাবে আছেন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এ কমিটির উপদেষ্টা হিসাবে থাকবেন। একইভাবে বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জেও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকভাবে আসা টিকা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাবেন সম্মুখসারির যোদ্ধারা। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৪টি ও সদর হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রপ্রতি ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৪৯ হাজার ২শ ডোজ টিকা পাচ্ছে সিলেট। প্রথম চালানে সিলেট বিভাগে আসা ৩৭ কার্টন টিকার মধ্যে ৫ কার্টন মৌলভীবাজারে, ৬ কার্টন হবিগঞ্জে ও ৭ কার্টন যাবে সুনামগঞ্জে। বাকিগুলো সিলেট জেলার জন্য থাকবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ২২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ফ্রিজে টিকা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। টিকা দানে প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তার নেতৃত্বে চিকিৎসকের ৭ জনের একটি টিম থাকবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুত আছে।
সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল যুগান্তরকে বলেন, সিলেটে আসা টিকার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান অন প্রোগ্রাম-ইপিআই ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।