খুলে নেওয়া হচ্ছে রাজশাহীর ‘প্রজাপতি বাতি’
ধূলিঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারের লোকজন। ফলে শহরের বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সিটি বাইপাস সড়কটির ডিভাইডার খালি হচ্ছে। বুধবার থেকে উপড়ে পড়া বাতির খুঁটিগুলো খোলার কাজ শুরু হয়েছে। এগুলো ঠিকঠাক করে আবার সড়ক ডিভাইডারে বসানো হবে।
৪ এপ্রিল বিকালে ধূলিঝড়ে ১৭৪টি প্রজাপতি বাতির ৮৬টিই উপড়ে যায় গোড়া থেকে। অনেকগুলো হেলে পড়ে। এ নিয়ে নগরবাসীর মাঝে ক্ষোভ যেমন ছড়িয়েছে তেমনি কাজের মান নিয়ে চলছে সমালোচনাও। যদিও ঘটনার পর ঠিকাদার দাবি করেন ঝড়ে টিউবওয়েলও উড়ে যায়, আর এত বিদ্যুতের খুঁটি।
জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বাহারি এসব প্রজাপতি বাতি উদ্বোধন করেছিলেন। চীন থেকে আনা এ সড়কবাতি বসাতে ব্যয় হয়েছে পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা। রাসিকের এই সড়কবাতি বসানোর কাজটি করেন ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে, কংক্রিটের যে স্তম্ভের ওপর খুঁটিগুলো বসানো হয়েছিল তা যেনতেন করেই করা হয়। সেভাবে ডিজাইনও করা হয়নি। আকারে ছোট সেই স্তম্ভটি সামান্য গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে সামান্য ঝড়েই সেটি গোড়া থেকেই উপড়ে যায়। সোমবার সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন উৎপাটিত খুঁটিগুলো সরেজমিন পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি খুঁটিগুলোর সবই তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর কংক্রিটের স্তম্ভটি গভীর করে পোঁতার পর তার ওপর আবারো খুঁটিগুলো স্থাপন করতে বলেন।
ঠিকাদারের শ্রমিকেরা জানান, সড়কবাতির খুঁটিগুলো খুলে নগরীর সিটিহাট এলাকার এক গুদামে রাখা হচ্ছে। সব খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার পর কংক্রিটের কাঠামোটি পুনরায় মাটি খুঁড়ে তোলা হবে। তারপর সেটি আরও গভীর করে মাটির নিচে পুঁতে সড়কবাতির খুঁটিগুলো আবারো বসানো হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো বলেন, কংক্রিটের কাঠামোটি গভীর করে পুঁতে দিলে সড়কবাতির দৃষ্টিনন্দন অংশটি আইল্যান্ডে ঢাকা পড়ে যেত। তাই তিনি বেশি গভীর করেননি। ঝড়ে পড়ে যাবে তা তার ধারণা ছিল না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খুলে নেওয়া হচ্ছে রাজশাহীর ‘প্রজাপতি বাতি’
ধূলিঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারের লোকজন। ফলে শহরের বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সিটি বাইপাস সড়কটির ডিভাইডার খালি হচ্ছে। বুধবার থেকে উপড়ে পড়া বাতির খুঁটিগুলো খোলার কাজ শুরু হয়েছে। এগুলো ঠিকঠাক করে আবার সড়ক ডিভাইডারে বসানো হবে।
৪ এপ্রিল বিকালে ধূলিঝড়ে ১৭৪টি প্রজাপতি বাতির ৮৬টিই উপড়ে যায় গোড়া থেকে। অনেকগুলো হেলে পড়ে। এ নিয়ে নগরবাসীর মাঝে ক্ষোভ যেমন ছড়িয়েছে তেমনি কাজের মান নিয়ে চলছে সমালোচনাও। যদিও ঘটনার পর ঠিকাদার দাবি করেন ঝড়ে টিউবওয়েলও উড়ে যায়, আর এত বিদ্যুতের খুঁটি।
জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বাহারি এসব প্রজাপতি বাতি উদ্বোধন করেছিলেন। চীন থেকে আনা এ সড়কবাতি বসাতে ব্যয় হয়েছে পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা। রাসিকের এই সড়কবাতি বসানোর কাজটি করেন ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে, কংক্রিটের যে স্তম্ভের ওপর খুঁটিগুলো বসানো হয়েছিল তা যেনতেন করেই করা হয়। সেভাবে ডিজাইনও করা হয়নি। আকারে ছোট সেই স্তম্ভটি সামান্য গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে সামান্য ঝড়েই সেটি গোড়া থেকেই উপড়ে যায়। সোমবার সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন উৎপাটিত খুঁটিগুলো সরেজমিন পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি খুঁটিগুলোর সবই তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর কংক্রিটের স্তম্ভটি গভীর করে পোঁতার পর তার ওপর আবারো খুঁটিগুলো স্থাপন করতে বলেন।
ঠিকাদারের শ্রমিকেরা জানান, সড়কবাতির খুঁটিগুলো খুলে নগরীর সিটিহাট এলাকার এক গুদামে রাখা হচ্ছে। সব খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার পর কংক্রিটের কাঠামোটি পুনরায় মাটি খুঁড়ে তোলা হবে। তারপর সেটি আরও গভীর করে মাটির নিচে পুঁতে সড়কবাতির খুঁটিগুলো আবারো বসানো হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো বলেন, কংক্রিটের কাঠামোটি গভীর করে পুঁতে দিলে সড়কবাতির দৃষ্টিনন্দন অংশটি আইল্যান্ডে ঢাকা পড়ে যেত। তাই তিনি বেশি গভীর করেননি। ঝড়ে পড়ে যাবে তা তার ধারণা ছিল না।