ক্ষতিপূরণ ও মালিকের বিচার দাবি
jugantor
তাজরিন ট্র্যাজেডির ৯ বছর
ক্ষতিপূরণ ও মালিকের বিচার দাবি

  যুগান্তর প্রতিবেদন, সাভার  

২৫ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নয় বছর পূর্তিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন ভবনের মূল ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘তাজরীন ট্র্যাজেডিসহ সব শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি নিরাপদ কারখানা ও কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে। তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেনের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ আহত মৌসুমি আক্তার বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডিকে আজও ভুলতে পারিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় জীবন বাঁচাতে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হই। এখন আমি বেঁচে থেকেও মৃত। পঙ্গু হয়ে নামেমাত্র বেঁচে আছি। একই কারখানায় কাজ করত আমার বোন আছমা আক্তার। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনে আটকা পরে সে। হয়তো ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তার দেহ। কেউ তার লাশটিও সন্ধান করে দিতে পারেনি। স্বজন হারিয়ে আজ আমরা নিঃস্ব। এখন পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাইনি। সরকারের কাছে কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচার চাই।

টেক্সটাইল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা বলেন, নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের কোনো ধরনের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়নি সরকার, বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ও তদন্তে তাজরিন ফ্যাশনের মালিক দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনসহ মালিক দেলোয়ারের বিচার চাই।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ১১৪ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন দুই শতাধিক শ্রমিক।

তাজরিন ট্র্যাজেডির ৯ বছর

ক্ষতিপূরণ ও মালিকের বিচার দাবি

 যুগান্তর প্রতিবেদন, সাভার 
২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নয় বছর পূর্তিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন ভবনের মূল ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘তাজরীন ট্র্যাজেডিসহ সব শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি নিরাপদ কারখানা ও কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে। তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেনের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ আহত মৌসুমি আক্তার বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডিকে আজও ভুলতে পারিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় জীবন বাঁচাতে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হই। এখন আমি বেঁচে থেকেও মৃত। পঙ্গু হয়ে নামেমাত্র বেঁচে আছি। একই কারখানায় কাজ করত আমার বোন আছমা আক্তার। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনে আটকা পরে সে। হয়তো ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তার দেহ। কেউ তার লাশটিও সন্ধান করে দিতে পারেনি। স্বজন হারিয়ে আজ আমরা নিঃস্ব। এখন পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাইনি। সরকারের কাছে কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচার চাই।

টেক্সটাইল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা বলেন, নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের কোনো ধরনের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়নি সরকার, বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ও তদন্তে তাজরিন ফ্যাশনের মালিক দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনসহ মালিক দেলোয়ারের বিচার চাই।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ১১৪ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন দুই শতাধিক শ্রমিক।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন