সব রেলস্টেশনে মিলবে ভালোবাসার পাঠশালা
‘নিজ দায়িত্বে এখান থেকে একটি বই নিন। এখানে বসুন এবং পড়ুন। পড়া শেষ না হলে নিজ দায়িত্বে বইটি নিয়ে যান এবং প্রয়োজনে বইটি সর্বোচ্চ ১ মাস রাখুন। বইটি পড়া শেষ হলে নিজ দায়িত্বে বইটি ‘ভালোবাসার পাঠশালা’য় পাঠিয়ে দিন। সম্ভব হলে এক বা একাধিক বই আপনার নামে এই পাঠশালায় উপহার দিন। মনে রাখবেন, যিনি পাঠ্যসূচির বাইরের বই পড়েন তিনি সমাজের ক্ষতি অথবা কর্মক্ষেত্রে কোনো অনৈতিক কাজ করতে পারেন না। খুলনার আধুনিক রেলস্টেশনে ঢুকতেই বিভিন্ন ব্যানারে রয়েছে এমন লেখা।’
চোখে পড়বে দুটি ফ্রিজ। এটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত না। তবে এর মধ্যে রয়েছে মূল্যবান সম্পদ। মূলত ফ্রিজগুলোতে পাঠ্যসূচির বাইরে নানাবিধ বইয়ের সমাহার দিয়ে সাজানো হয়েছে। মানুষের নীতি- নৈতিকতা ও বিভিন্ন ধরনের প্রেরণামূলক বইও আছে। বাদ যায়নি ধর্মীয় বইয়ের সমাহারও।
খুলনা পাবলিক কলেজ পরিবারের উদ্যোগে খুলনার আধুনিক রেলস্টেশনে যাত্রা শুরু হয়েছে ‘ভালোবাসার পাঠশালা’র। কোনো মূল্য ছাড়াই এই বইগুলো পড়তে পারবেন সবাই। এমনকি প্রয়োজনে সঙ্গে নিয়েও যেতে পারবেন। শুধু খুলনা রেলস্টেশনেই নয়। পর্যায়ক্রমে কমলাপুর রেলস্টেশন, রাজশাহী রেলস্টেশনসহ দেশের সব রেলস্টেশনেই ‘ভালোবাসার পাঠশালা’র কার্যক্রম করা হবে। এমনটা চুক্তি হয়েছে খুলনা পাবলিক কলেজ পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের। ফলে যাত্রীরা যে কোনো স্টেশন থেকে বই সংগ্রহ করে সেটি পড়া শেষে অন্য স্টেশনে রেখে দিতে পারবেন।
ফ্রিজে বই সংরক্ষিত করার বিষয়ে খুলনা পাবলিক কলেজের পরিবারের কর্তৃপক্ষরা জানান, সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্যই অকেজো ফ্রিজে বই রাখা হয়েছে। এখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেটি হলো, ফ্রিজের মতো করে তোমার বুদ্ধি সংরক্ষিত না করে বই পড়ার মাধ্যমে সেটি বের করা হোক। কারণ যারা বই পড়ে তারা কখনোই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না। কর্তৃপক্ষ আরও জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশনগুলোতে ‘ভালোবাসার পাঠশালা’র কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯ মাস ধরে কাজ করা হচ্ছে। খুলনা রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশের স্টেশনগুলোতেই এই পাঠাশালার কার্যক্রম শুরু হবে। শুধু তাই নয়, এরপর ট্যুরিস্ট জাহাজগুলো এবং আকাশপথের (প্লেনে) যাত্রীদের জন্যও এই কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘ভালোবাসার পাঠশালা’র কার্যক্রম বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবদুল মোক্তাদের। প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের এরিয়া অপারেটিং ম্যানেজার মজিবর রহমান এবং খুলনা পাবলিক কলেজের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সব রেলস্টেশনে মিলবে ভালোবাসার পাঠশালা
নূর ইসলাম রকি, খুলনা
২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
‘নিজ দায়িত্বে এখান থেকে একটি বই নিন। এখানে বসুন এবং পড়ুন। পড়া শেষ না হলে নিজ দায়িত্বে বইটি নিয়ে যান এবং প্রয়োজনে বইটি সর্বোচ্চ ১ মাস রাখুন। বইটি পড়া শেষ হলে নিজ দায়িত্বে বইটি ‘ভালোবাসার পাঠশালা’য় পাঠিয়ে দিন। সম্ভব হলে এক বা একাধিক বই আপনার নামে এই পাঠশালায় উপহার দিন। মনে রাখবেন, যিনি পাঠ্যসূচির বাইরের বই পড়েন তিনি সমাজের ক্ষতি অথবা কর্মক্ষেত্রে কোনো অনৈতিক কাজ করতে পারেন না। খুলনার আধুনিক রেলস্টেশনে ঢুকতেই বিভিন্ন ব্যানারে রয়েছে এমন লেখা।’
চোখে পড়বে দুটি ফ্রিজ। এটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত না। তবে এর মধ্যে রয়েছে মূল্যবান সম্পদ। মূলত ফ্রিজগুলোতে পাঠ্যসূচির বাইরে নানাবিধ বইয়ের সমাহার দিয়ে সাজানো হয়েছে। মানুষের নীতি- নৈতিকতা ও বিভিন্ন ধরনের প্রেরণামূলক বইও আছে। বাদ যায়নি ধর্মীয় বইয়ের সমাহারও।
খুলনা পাবলিক কলেজ পরিবারের উদ্যোগে খুলনার আধুনিক রেলস্টেশনে যাত্রা শুরু হয়েছে ‘ভালোবাসার পাঠশালা’র। কোনো মূল্য ছাড়াই এই বইগুলো পড়তে পারবেন সবাই। এমনকি প্রয়োজনে সঙ্গে নিয়েও যেতে পারবেন। শুধু খুলনা রেলস্টেশনেই নয়। পর্যায়ক্রমে কমলাপুর রেলস্টেশন, রাজশাহী রেলস্টেশনসহ দেশের সব রেলস্টেশনেই ‘ভালোবাসার পাঠশালা’র কার্যক্রম করা হবে। এমনটা চুক্তি হয়েছে খুলনা পাবলিক কলেজ পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের। ফলে যাত্রীরা যে কোনো স্টেশন থেকে বই সংগ্রহ করে সেটি পড়া শেষে অন্য স্টেশনে রেখে দিতে পারবেন।
ফ্রিজে বই সংরক্ষিত করার বিষয়ে খুলনা পাবলিক কলেজের পরিবারের কর্তৃপক্ষরা জানান, সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্যই অকেজো ফ্রিজে বই রাখা হয়েছে। এখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেটি হলো, ফ্রিজের মতো করে তোমার বুদ্ধি সংরক্ষিত না করে বই পড়ার মাধ্যমে সেটি বের করা হোক। কারণ যারা বই পড়ে তারা কখনোই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না। কর্তৃপক্ষ আরও জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশনগুলোতে ‘ভালোবাসার পাঠশালা’র কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯ মাস ধরে কাজ করা হচ্ছে। খুলনা রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশের স্টেশনগুলোতেই এই পাঠাশালার কার্যক্রম শুরু হবে। শুধু তাই নয়, এরপর ট্যুরিস্ট জাহাজগুলো এবং আকাশপথের (প্লেনে) যাত্রীদের জন্যও এই কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘ভালোবাসার পাঠশালা’র কার্যক্রম বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবদুল মোক্তাদের। প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের এরিয়া অপারেটিং ম্যানেজার মজিবর রহমান এবং খুলনা পাবলিক কলেজের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023