নেপথ্যের কারিগরদের খুঁজছে র্যাব-পিবিআই সিআইডি
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা
আবুল খায়ের, কুমিল্লা
২৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় পুলিশ এজহার নামীয় আসামিদের সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করলেও র্যাব, সিআইডি, পিবিআই হাঁটছে ভিন্ন পথে। ছায়াতদন্তে অপরাধ উদ্ঘাটনে পারদর্শী ওই তিনটি সংস্থা ঘটনার নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ড শনাক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে কেউ নেপথ্যের কারিগর হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন ছায়া তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। ফলে তারা ভিন্ন পথে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
আলোচিত কাউন্সিলর সোহেল হত্যায় জড়িত আসামিরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশত্যাগ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অপরদিকে মামলার এজহারভুক্ত গ্রেফতার আসামি মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এ মামলায় এজহার নামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার সন্ধ্যায় ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় কুমিল্লার র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। র্যাব জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত ৬নং আসামি আশিকুর রহমান রকিকে লালমনিরহাটের চন্ডীবাজার থেকে এবং ৭নং আসামি আলম মিয়াকে জেলার কোতোয়ালি থানার বড়জালা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাউন্সিলর সোহেল হত্যার ঘটনাটি নিয়ে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই। মাদক ব্যবসা, আধিপত্য ও আসছে সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা-এ তিনটি কারণ সামনে রেখে তারা ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবারও বিভিন্ন সংস্থার লোকজনকে নগরীর ১৭ এবং ১৬নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে সাধারণ লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। এ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করতে কাজ করছেন ছায়া তদন্তকারীরা। কুমিল্লায় র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, যারা এজাহার নামীয় আসামি, তাদের নাম তো প্রকাশ হয়ে গেছে। আমরা ছায়াতদন্ত করে দেখছি অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে কোনো মাস্টারমাইন্ড আছে কি না? ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি আমাদের চেষ্টাও অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে কুমিল্লার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, আমরা ঘটনার অন্তরালের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করে দেখছি, কী কারণে একজন জনপ্রতিনিধিকে এভাবে হত্যা করা হলো, তা খুঁজে বের করা হবে।
সোমবার বিকালে কাউন্সিলর সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এ সময় কার্যালয়ে ঢুকে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। গুলিতে হরিপদ সাহা নামে কাউন্সিলরের এক সহযোগীও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা
নেপথ্যের কারিগরদের খুঁজছে র্যাব-পিবিআই সিআইডি
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় পুলিশ এজহার নামীয় আসামিদের সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করলেও র্যাব, সিআইডি, পিবিআই হাঁটছে ভিন্ন পথে। ছায়াতদন্তে অপরাধ উদ্ঘাটনে পারদর্শী ওই তিনটি সংস্থা ঘটনার নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ড শনাক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে কেউ নেপথ্যের কারিগর হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন ছায়া তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। ফলে তারা ভিন্ন পথে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
আলোচিত কাউন্সিলর সোহেল হত্যায় জড়িত আসামিরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশত্যাগ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অপরদিকে মামলার এজহারভুক্ত গ্রেফতার আসামি মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এ মামলায় এজহার নামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার সন্ধ্যায় ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় কুমিল্লার র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। র্যাব জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত ৬নং আসামি আশিকুর রহমান রকিকে লালমনিরহাটের চন্ডীবাজার থেকে এবং ৭নং আসামি আলম মিয়াকে জেলার কোতোয়ালি থানার বড়জালা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাউন্সিলর সোহেল হত্যার ঘটনাটি নিয়ে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই। মাদক ব্যবসা, আধিপত্য ও আসছে সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা-এ তিনটি কারণ সামনে রেখে তারা ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবারও বিভিন্ন সংস্থার লোকজনকে নগরীর ১৭ এবং ১৬নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে সাধারণ লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। এ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করতে কাজ করছেন ছায়া তদন্তকারীরা। কুমিল্লায় র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, যারা এজাহার নামীয় আসামি, তাদের নাম তো প্রকাশ হয়ে গেছে। আমরা ছায়াতদন্ত করে দেখছি অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে কোনো মাস্টারমাইন্ড আছে কি না? ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি আমাদের চেষ্টাও অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে কুমিল্লার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, আমরা ঘটনার অন্তরালের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করে দেখছি, কী কারণে একজন জনপ্রতিনিধিকে এভাবে হত্যা করা হলো, তা খুঁজে বের করা হবে।
সোমবার বিকালে কাউন্সিলর সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এ সময় কার্যালয়ে ঢুকে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। গুলিতে হরিপদ সাহা নামে কাউন্সিলরের এক সহযোগীও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।