ছাতকে ২২ বছর পর রায় নয়জন দণ্ডিত, যাবজ্জীবন ১
হত্যা মামলা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুনামগঞ্জের ছাতকে তেরা মিয়া হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ২৭ জন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ২২ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ছাতক উপজেলার গন্ধর্বপুরের ফারুক আহমদ মধু মিয়া। আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে বলারপীরপুরে তেতইখালী খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই আজাদ মছকু মিয়া ও আরজু মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বন্দুকের গুলিতে আরজু মিয়ার বড় ভাই তেরা মিয়া নিহত ও উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় তেরা মিয়ার ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর ছাতক থানায় ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা চলাকালে আট আসামির মৃত্যু হয়। ছাতক থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ২২ জনের সাক্ষী গ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় দেন। মামলার রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে আসামি ফারুক আহমদ মধু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাকি আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি গোলাম মোস্তফা যুগান্তরকে বলেন, রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সালেহ আহমদ বলেন, আসামি পক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট নয়, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হত্যা মামলা
ছাতকে ২২ বছর পর রায় নয়জন দণ্ডিত, যাবজ্জীবন ১
সুনামগঞ্জের ছাতকে তেরা মিয়া হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ২৭ জন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ২২ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ছাতক উপজেলার গন্ধর্বপুরের ফারুক আহমদ মধু মিয়া। আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে বলারপীরপুরে তেতইখালী খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই আজাদ মছকু মিয়া ও আরজু মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বন্দুকের গুলিতে আরজু মিয়ার বড় ভাই তেরা মিয়া নিহত ও উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় তেরা মিয়ার ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর ছাতক থানায় ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা চলাকালে আট আসামির মৃত্যু হয়। ছাতক থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ২২ জনের সাক্ষী গ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় দেন। মামলার রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে আসামি ফারুক আহমদ মধু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাকি আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি গোলাম মোস্তফা যুগান্তরকে বলেন, রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সালেহ আহমদ বলেন, আসামি পক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট নয়, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।