বর্তমান কাউন্সিলর কেউই জয়ী হননি
ঝিকরগাছা পৌর নির্বাচন
যশোর ব্যুরো
১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
২১ বছর পর অনুষ্ঠিত ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলরদের কেউই জয়ী হতে পারেননি। সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রতিটিতে নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে, ভোট গণনায় অনিয়ম ও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এনে তিন মেয়র ও ১০ কাউন্সিলর প্রার্থী পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। রোববার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে-১নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডে আরিফুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ডে সাজ্জাতুল জামান রনি, ৪নং ওয়ার্ডে আলীম গাজী, ৬নং ওয়ার্ডে নুরুজ্জামান বাবু, ৭নং ওয়ার্ডে আমিরুল ইসলাম রাজা, ৮নং ওয়ার্ডে মো. তারিকুজ্জামান, ৯নং ওয়ার্ডে ইউনুস আলী বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে শ্যামলী খাতুন, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে নাজমুননাহার নাজু বিজয়ী হয়েছেন। তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে একটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না করায় মেয়র পদে মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, কাউন্সিলর পদে ৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে একরামুল হক খোকন এবং ৪, ৫ ও ৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জেসমিন সুলতানা বেশি ভোট পেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা?
একরামুল হক খোকন জানায়, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। আমার বিজয় ঘোষণায় আইনত কোনো বাধা দেখছি না।
নির্বাচনের তিন দিন আগে ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তে ৫নং ওয়ার্ডের খাদেমুল ইনসান দাতব্য চিকিৎসালয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। নির্বাচনি ফলাফলে দেখা যায়-মেয়র পদে বর্তমান মেয়র জামাল বিজয়ের পথে এগিয়ে থাকলেও বর্তমান কাউন্সিলরদের সবাই পরাজিত হয়েছেন। সব ওয়ার্ডেই নতুন মুখ এসেছে।
ঝিকরগাছার সেবা সংগঠনের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে বর্তমান কাউন্সিলররা সাধারণ জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য মানুষ নতুন মুখ বেছে নিয়েছে।
যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিন মেয়র প্রার্থী ও ১০ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট গণনায় অনিয়ম ও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেন। তারা পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছেলিমুল হক সালাম বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ ভালো ছিল। এরপর নৌকা প্রতীকের জামাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোটারদের ওপর বলপ্রয়োগ করেছে। পোলিং এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়ে জোর করে ভোট নিয়েছে। ইভিএমেও কারচুপি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন-আমি নিশ্চিত, আমার ভোটগুলো নৌকা প্রতীককে আর নৌকা প্রতীকের ভোট আমাকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন বাতিল করে তিনি পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী একেএম আমানুল কাদির টুল্লু, ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন, কাউন্সিলর প্রার্থী কলিম হোসেন মৃধা বাবু, নিমাই চন্দ্র ঘোষ, মতিয়ার রহমান, সাইফুল আলম সুজন, রাজ্জাক লিটন, শরিফুল ইসলাম, আজাদ রহমান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নাছিমা খাতুন, পপি বেগম ও চিত্রা রানী কর।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঝিকরগাছা পৌর নির্বাচন
বর্তমান কাউন্সিলর কেউই জয়ী হননি
২১ বছর পর অনুষ্ঠিত ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলরদের কেউই জয়ী হতে পারেননি। সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রতিটিতে নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে, ভোট গণনায় অনিয়ম ও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এনে তিন মেয়র ও ১০ কাউন্সিলর প্রার্থী পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। রোববার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে-১নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডে আরিফুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ডে সাজ্জাতুল জামান রনি, ৪নং ওয়ার্ডে আলীম গাজী, ৬নং ওয়ার্ডে নুরুজ্জামান বাবু, ৭নং ওয়ার্ডে আমিরুল ইসলাম রাজা, ৮নং ওয়ার্ডে মো. তারিকুজ্জামান, ৯নং ওয়ার্ডে ইউনুস আলী বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে শ্যামলী খাতুন, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে নাজমুননাহার নাজু বিজয়ী হয়েছেন। তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে একটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না করায় মেয়র পদে মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, কাউন্সিলর পদে ৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে একরামুল হক খোকন এবং ৪, ৫ ও ৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জেসমিন সুলতানা বেশি ভোট পেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা?
একরামুল হক খোকন জানায়, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। আমার বিজয় ঘোষণায় আইনত কোনো বাধা দেখছি না।
নির্বাচনের তিন দিন আগে ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তে ৫নং ওয়ার্ডের খাদেমুল ইনসান দাতব্য চিকিৎসালয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। নির্বাচনি ফলাফলে দেখা যায়-মেয়র পদে বর্তমান মেয়র জামাল বিজয়ের পথে এগিয়ে থাকলেও বর্তমান কাউন্সিলরদের সবাই পরাজিত হয়েছেন। সব ওয়ার্ডেই নতুন মুখ এসেছে।
ঝিকরগাছার সেবা সংগঠনের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে বর্তমান কাউন্সিলররা সাধারণ জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য মানুষ নতুন মুখ বেছে নিয়েছে।
যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিন মেয়র প্রার্থী ও ১০ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট গণনায় অনিয়ম ও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেন। তারা পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছেলিমুল হক সালাম বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ ভালো ছিল। এরপর নৌকা প্রতীকের জামাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোটারদের ওপর বলপ্রয়োগ করেছে। পোলিং এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়ে জোর করে ভোট নিয়েছে। ইভিএমেও কারচুপি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন-আমি নিশ্চিত, আমার ভোটগুলো নৌকা প্রতীককে আর নৌকা প্রতীকের ভোট আমাকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন বাতিল করে তিনি পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী একেএম আমানুল কাদির টুল্লু, ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন, কাউন্সিলর প্রার্থী কলিম হোসেন মৃধা বাবু, নিমাই চন্দ্র ঘোষ, মতিয়ার রহমান, সাইফুল আলম সুজন, রাজ্জাক লিটন, শরিফুল ইসলাম, আজাদ রহমান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নাছিমা খাতুন, পপি বেগম ও চিত্রা রানী কর।