ভোগান্তি কমাতে বাড়ানো হয়েছে বিআরটিসি বাস
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
যমুনার পণ্যে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রায় সব স্টলের পণ্যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কেউ ২০ ভাগ, কেউবা ১০ ভাগ ছাড় দিচ্ছে। এদিকে ছুটির দিনে দর্শনার্থী বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহণে ভোগান্তি কমাতে বিআরটিসি বাস বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় দেওয়ার পর থেকে মেলা জমে উঠেছে। যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পণ্যে প্রিমিয়াম ইনস্টলে থাকছে ৩০০% পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। যমুনার স্মার্ট টিভিতে রয়েছে অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়। আর মূল্যছাড়ে হোম অ্যাপ্লায়েন্স কিনতে যমুনার প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার ১৯তম দিন বুধবারে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থী ছিল। রাজধানী থেকে আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য বাড়ানো হয়েছে বিআরটিসি দোতলা বাস। যাত্রীপ্রতি ৩০ টাকায় কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াত করছেন দর্শনার্থীরা। মেলা অঞ্চলে নিয়োজিত বিআরটিসি বাস মনিটরিং কর্মকর্তা রাকিব হাসান মিন্টু বলেন, মেলার কারণে আশপাশের অন্যান্য পরিবহণ যেমন সিএনজি, অটোরিকশা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি ছুটির দিন বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম হয়। তাদের ভোগান্তি কমাতে ১২০টি বাস রাখা আছে। প্রয়োজনে এসব বাস কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত চলাচল করছে।
মেলায় ঘুরতে আসা মধুখালীর বাসিন্দা জামান মিয়া বলেন, এ নিয়ে ৫ দিন এলাম। এতদিন ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যমূল্যে ছাড় না দেওয়ায় দর্শনার্থী কম ছিল। এখন মূল্যছাড় দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন মেলায় আসছেন। ফলে মেলা জমে উঠেছে।
রঘুরামপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ মালুম বলেন, বাড়ির পাশে মেলা হওয়ায় গ্রামের লোকজন বেশি কেনাকাটা করছেন। প্রথমদিকে পণ্যে ছাড় না দেওয়ায় নিু আয়ের লোকজন কিছুটা হতাশ ছিলেন। এখন স্টলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কেনাকাটা আগের তুলনায় বেশি।
পিতলগঞ্জের বাসিন্দা আরিফ খান জয় বলেন, সড়কে সব ধরনের যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে বিআরটিসি বাস বাড়িয়ে দেওয়ায় ভোগান্তি কিছুটা কমেছে।
অপর দর্শনার্থী গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডলি আক্তার বলেন, শীতের কাপড়ের বিদেশি স্টল দেখলাম। এসব স্টলে কাশমিরি শাল, আদর, জ্যাকেট, কার্টিগান ও শিশুদের জামাকাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না। তাই একাধিক বস্ত্র কিনেছি।
মেলা ঘুরে আরও দেখা যায়, প্রবেশপথের পূর্বপাশে রয়েছে স্যুট, ব্লেজার ও পাজামার স্টল। শীতে পুরুষদের ব্লেজার ব্যবহার বেড়ে যায়। তাই মেলার ব্লেজারের স্টলে ক্রেতাদের ভিড়। একই মেলার উত্তর পাশে থাকা একাধিক স্টলে শোভা পাচ্ছে দেশীয় শীতের কাপড়। অন্যসব স্টলের তুলনায় শীতের কাপড়ের স্টলে ভিড় বেশি। যমুনা ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, যুমনার পণ্যের বাইকে ২০ ভাগ ছাড়সহ সব পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় রয়েছে। ফলে বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
ভোগান্তি কমাতে বাড়ানো হয়েছে বিআরটিসি বাস
যমুনার পণ্যে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়
পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রায় সব স্টলের পণ্যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কেউ ২০ ভাগ, কেউবা ১০ ভাগ ছাড় দিচ্ছে। এদিকে ছুটির দিনে দর্শনার্থী বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহণে ভোগান্তি কমাতে বিআরটিসি বাস বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় দেওয়ার পর থেকে মেলা জমে উঠেছে। যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পণ্যে প্রিমিয়াম ইনস্টলে থাকছে ৩০০% পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। যমুনার স্মার্ট টিভিতে রয়েছে অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়। আর মূল্যছাড়ে হোম অ্যাপ্লায়েন্স কিনতে যমুনার প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার ১৯তম দিন বুধবারে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থী ছিল। রাজধানী থেকে আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য বাড়ানো হয়েছে বিআরটিসি দোতলা বাস। যাত্রীপ্রতি ৩০ টাকায় কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াত করছেন দর্শনার্থীরা। মেলা অঞ্চলে নিয়োজিত বিআরটিসি বাস মনিটরিং কর্মকর্তা রাকিব হাসান মিন্টু বলেন, মেলার কারণে আশপাশের অন্যান্য পরিবহণ যেমন সিএনজি, অটোরিকশা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি ছুটির দিন বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম হয়। তাদের ভোগান্তি কমাতে ১২০টি বাস রাখা আছে। প্রয়োজনে এসব বাস কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত চলাচল করছে।
মেলায় ঘুরতে আসা মধুখালীর বাসিন্দা জামান মিয়া বলেন, এ নিয়ে ৫ দিন এলাম। এতদিন ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যমূল্যে ছাড় না দেওয়ায় দর্শনার্থী কম ছিল। এখন মূল্যছাড় দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন মেলায় আসছেন। ফলে মেলা জমে উঠেছে।
রঘুরামপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ মালুম বলেন, বাড়ির পাশে মেলা হওয়ায় গ্রামের লোকজন বেশি কেনাকাটা করছেন। প্রথমদিকে পণ্যে ছাড় না দেওয়ায় নিু আয়ের লোকজন কিছুটা হতাশ ছিলেন। এখন স্টলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কেনাকাটা আগের তুলনায় বেশি।
পিতলগঞ্জের বাসিন্দা আরিফ খান জয় বলেন, সড়কে সব ধরনের যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে বিআরটিসি বাস বাড়িয়ে দেওয়ায় ভোগান্তি কিছুটা কমেছে।
অপর দর্শনার্থী গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডলি আক্তার বলেন, শীতের কাপড়ের বিদেশি স্টল দেখলাম। এসব স্টলে কাশমিরি শাল, আদর, জ্যাকেট, কার্টিগান ও শিশুদের জামাকাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না। তাই একাধিক বস্ত্র কিনেছি।
মেলা ঘুরে আরও দেখা যায়, প্রবেশপথের পূর্বপাশে রয়েছে স্যুট, ব্লেজার ও পাজামার স্টল। শীতে পুরুষদের ব্লেজার ব্যবহার বেড়ে যায়। তাই মেলার ব্লেজারের স্টলে ক্রেতাদের ভিড়। একই মেলার উত্তর পাশে থাকা একাধিক স্টলে শোভা পাচ্ছে দেশীয় শীতের কাপড়। অন্যসব স্টলের তুলনায় শীতের কাপড়ের স্টলে ভিড় বেশি। যমুনা ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, যুমনার পণ্যের বাইকে ২০ ভাগ ছাড়সহ সব পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় রয়েছে। ফলে বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।